তাওহীদ

Islamicaskbd.com থেকে জেনে নিন তাওহীদ সক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন মাসলা মাসায়েল, ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্নোত্তর।

প্রশ্ন: সবরের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি? তা কয় প্রকার, ঈমানের আলোকে এর হুকুম ও মর্যাদা কী?

উত্তর: সবর আরবী শব্দ; যার অর্থ আকড়ে ধরে রাখা, বিরত রাখা। পারিভাষিক অর্থ হলো: ভয়-ভীতি বা বিপদ-আপদ কালে সংযত থাকা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ কি তার সাথে অন্য কাউকে শরীক করা পছন্দ করেন?

উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। আল্লাহ কখনো তা পছন্দ করেন না। মহান আল্লাহ বলেন: ﴿وَلَا يَرۡضَىٰ لِعِبَادِهِ ٱلۡكُفۡرَۖ ﴾…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ কি আমাদেরকে এ দুনিয়ার জীবনে অবহেলিত অবস্থায় রেখেছেন?

উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। কখনই নয়; বরং তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রয়োজনীয় সব রিযিকের ব্যবস্থাও করেছেন। আর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ বলেন:﴿وَمَن يَقۡنَطُ مِن رَّحۡمَةِ رَبِّهِۦٓ إِلَّا ٱلضَّآلُّونَ ٥٦ ﴾ [الحجر: ٥٦] ‘‘আর রবের রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয়’’। (সূরা আল হিজর: ৫৬)এ আয়াতে উল্লেখিত: পথভ্রষ্ট করা?

উত্তর: সকলকে স্মরণ রাখতে হবে যে, আল্লাহকে যিনি ভয় করবেন তিনি যেন আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে যান। বরং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ বলেন:﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ﴾ [الانفال: ٢]‘‘যারা প্রকৃত ইমানদার তারা এমন যে, যখন আল্লাহকে স্বরণ করা হয় তখন প্রকম্পিত হয় তাদের হৃদয়। আর যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াত পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা স্বীয় রবের উপরেই ভরসা করে’’ (সূরা আল-আনফাল: ২)উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা কী? আলোচ্য বিষয়ে আয়াত হতে কী সাক্ষ্য পাওয়া যায়, আয়াতের শিক্ষা কী?

উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে মুমিনদের কতিপয় প্রশংসনীয় গুণ বৈশিষ্ট্যের বিবরণ দিয়েছেন। এ গুণাবলীর মাধ্যমে তারা ঈমানের পূর্ণতা অর্জন করতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: তাওয়াক্কুল কাকে বলে? তাওয়াক্কুল কত প্রকার, তার হুকুম কী? তার সাথে ঈমানের সম্পর্ক কী?

উত্তর: তাওয়াক্কুল হচ্ছে; কোনো কিছুর উপর নির্ভর করা বা কাউকে কোনো বিষয় সম্পন্ন করার ক্ষমতা রয়েছে মনে কের দায়িত্ব অর্পন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ১ মহান আল্লাহ বলেন:﴿ إِنَّمَا يَعۡمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَلَمۡ يَخۡشَ إِلَّا ٱللَّهَۖ فَعَسَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٨ ﴾ [التوبة: ١٨]‘‘তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহের প্রতিষ্ঠা/তত্ত্বাবধান করবে, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে, আর আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেই ভয় করে না। অতএব আশা করা যায় যে, তারাই হিদায়তপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’’। (আত-তাওবাহ:১৮)উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা কী? ভয় এবং মসজিদসমূহের প্রতিষ্ঠা ও তত্ত্বাবধানের উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: উক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর ইবাদাত বন্দেগীর জন্য মসজিদ ঘর প্রতিষ্ঠা তত্ত্বাবধান ও সেটার রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সংশ্লিষ্টদের যে সব…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: খাওফ (خوف) কী? তা কত প্রকার এবং তার হুকুম কী?

উত্তর: খাওফ এর অর্থ: ভয়-ভীতি, অজানা শাস্তির আশংকা করা, সন্ত্রস্ত থাকা।আর তা চার প্রকার:(১) আল্লাহর ভয়, ইলাহ, মাবুদ হিসেবে এবং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করার উপায় কী এবং বান্দা কীভাবে আল্লাহকে ভালোবাসার প্রমাণ দিবে?

উত্তর: দশটি উপায়ে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন এবং আল্লাহকে ভালোবাসার প্রমাণ দেওয়া যায়;(এক) জেনে-বুঝে, তাৎপর্য অনুধাবন করে কুরআন অধ্যায়ন করা এবং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মহব্বাত বা ভালোবাসা কত প্রকার, কী কী এবং ইহার তাৎপর্য কী?

উত্তর: মহব্বাত বা ভালোবাসা চার প্রকার:(১) আল্লাহকে ভালোবাসা; আর তাই ঈমান ও একত্ববাদের মূল ভিত্তি ও দাবী।(২) আল্লাহর জন্য ভালোবাসা;…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ তাআলা বলেন:﴿ وَتَجۡعَلُونَ رِزۡقَكُمۡ أَنَّكُمۡ تُكَذِّبُونَ ٨٢ ﴾ [الواقعة: ٨٢]‘‘আর সেটাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেই বুঝি তোমরা তোমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে চাও’’। (সূরা আল-ওয়াকিয়া: ৮২)এ আয়াতের ব্যাখ্যা কি?

উত্তর: মহান আল্লাহ বলেন যে, হে মুশরিক সম্প্রদায়, আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর রহমতের ধারা প্রবাহিত করেছেন, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ইসতিসকা (استسقاء) কী এবং তার ভাবার্থ কী? আর আনওয়া (أنواء) কী? এ নামকরণের কারণ কী?

উত্তর: ইসতিসকা হচ্ছে পানির জন্যে প্রার্থনা। পানির প্রবাহ এবং বৃষ্টি বর্ষিত হওয়ার স্থান। আনওয়া বহুবচন এক বচনে ‘নাও’ (نوء) যা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ কেন তারকারাজী সৃষ্টি করেছেন এবং এর দলীল কী? এগুলো যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে তা ব্যতীত অন্য কিছু বিশ্বাস করার হুকুম কি?

উত্তর: আল্লাহ ৩টি বৈশিষ্ট্য দিয়ে তারকারাজী সৃষ্টি করেছেন; (১) আকাশের শোভাবর্ধনের জন্য; মহান আল্লাহ বলেন:﴿ وَلَقَدۡ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنۡيَا بِمَصَٰبِيحَ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:«اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ»হাদীসে উল্লেখিত দো‘আর অর্থ ও শিক্ষণীয় কি?

উত্তর: ‘‘হে আল্লাহ তুমি ছাড়া আর কেউ কল্যাণ এনে দিতে পারে না এবং তুমি ব্যতীত আর কেউ অনিষ্টতা প্রতিরোধ করতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: চারটি বিষয় সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলিমের জ্ঞান লাভ করা অবশ্য কর্তব্য, তা কী কী?

উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। বিষয় চারটি হলো: (ক) ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা। আর এ ইলমের সাহায্যে দলীল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, আল্লাহর রাসূল বলেন:«لَا عَدْوَى، وَلَا طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ» قَالَ قِيلَ: وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ: «الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ»অনুরূপ ‘‘উরওয়াহ ইবনে আমের আল-কুরাশী রাদিয়াল্লাহ বলেন যে,ذُكِرَتِ الطِّيَرَةُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ وَلَا تَرُدُّ مُسْلِمًا، فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِكَ»রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট ত্বিয়ারাহ (অশুভ মানা) সম্পর্কে বলা হলো। তিনি বললেন, উত্তম হলো ফাল বা সুন্দর মন জুড়ান শুনে সুলক্ষণ নেওয়া, আর যেন কোনো মুসলিমকে ফিরিয়ে না দেয়। বরং তোমাদের কেউ যদি কারো অশুভ কিছু দেখে তাহলে সে যেন দো‘আ করে এ বলে যে, ‘‘আল্লাহম্মা লা ইয়াতী বিল হাসানাতি ইল্লা আনতা। ওয়ালা ইয়াদফাউস সাইয়েআতা ইল্লা আনতা, অলা হাওলা অলা কুআতা ইল্লা বিকা। (আবু দাউদ:৩৯১৯, বায়হাকী: ৮/১৩৯)ত্বিয়ারাহ কত প্রকার এবং কী কী? ফাল কি, ফাল ও ত্বিয়ারাহর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: ত্বিয়ারাহ দু’ প্রকার, (১) ফাল; অর্থাৎ সুন্দর বাক্য উচ্চারণ বা মন জুড়ান কথা যা মানুষ শ্রবণ করে মানসিক প্রশান্তি…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:«لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ» وزاد مسلم: «ولا نوء ولا غول» رواه البخاري ومسلم.হাদীসে বর্ণিত নিচে দাগ দেওয়া শব্দসমূহের ভাবার্থ কি?

উত্তর: উক্ত হাদীসে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহেলিয়াতের কুসংস্কারসমূহ বর্জনের কথা বলেছেন। জাহেলরা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত বিভিন্ন কারণে শুভ-অশুভ লক্ষণ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: তাত্বাইউর কী এবং সেটার হুকুম কী?

উত্তর: তাত্বাইউর (تطير) হলো; পাখি বা অন্যকিছু দেখে বা শ্রবণ করে শুভ-অশুভ নির্ধারণ ও বিশ্বাস করা। শুভ-অশুভ মানা এবং বিশ্বাস…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: জ্বিন যদি শর্তারোপ করে যে; সে অন্য জ্বিনের সহযোগিতা গ্রহণ ব্যতীত মানুষের ভিতর থেক বের হবে না, তাহলে কী করতে হবে?

উত্তর: সম্মানীত শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায জ্বিনের সাহায্য সহযোগিতা গ্রহণকে মাকরূহ বলে ফতোয়া দিয়েছেন। আর জ্বিন যে মানুষের মধ্যে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ‘আররাফ (عراف), রম্মাল (رمال), কাহেন (كاهن), মুনাজ্জেম (منجم), এ শব্দসমূহের মধ্যে অর্থগত পার্থক্য কী?

উত্তর: যারা গায়েব জানার দাবী করে এগুলো তাদেরই নাম কিন্তু তাদের পদ্ধতি ভিন্ন: আররাফ = যে ওৎপেতে তথ্য সংগ্রহ করে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: উল্লেখিত হাদীস দুটির বিষয় বস্তুকে একীভূত করলে কি অর্থ দাড়ায়? হাদীস দুটির শিক্ষণীয় বিষয়গুলি কী কী?

উত্তর: একটিতে বলা হয়েছে চল্লিশ দিনের সালাত কবুল হবে না। আর এটা হবে গণকের কাছে গমন করে, তাকে কোনো কিছু…

আরও পড়ুন ➲

হিদায়াত কত প্রকার ও কী কী; উদাহরণ দিন?

উত্তর: হিদায়াত দুই প্রকার:(এক) হিদায়াতুত তাওফীক (হিদায়াত লাভে সক্ষমতা অর্জন করা)। আর এটা হলো পথভ্রষ্টের ক্বলবে হেদায়েতের আবির্ভাব ঘটানো। আলোচ্য…

আরও পড়ুন ➲

মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন: ﴿ إِنَّكَ لَا تَهۡدِي مَنۡ أَحۡبَبۡتَ ﴾ [القصص: ٥٦] ‘‘আপনি ভালবেসে যাকে ইচ্ছা (পছন্দ) তাকে হেদায়েত করতে পারবেন না’’। (সূরা আল-ক্বাসাস: ৫৬) এ আয়াতের ভাবার্থ ও নাযিল হওয়ার উপলক্ষ্য কী?

উত্তর: মহান আল্লাহ তাঁর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উদ্দেশ্যে বলেন: আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে কল্যাণের পথে আনতে চান, তা আপনি পারবেন না। অর্থাৎ হেদায়াতের মালিক আপনি…

আরও পড়ুন ➲

মহান আল্লাহ বলেন: ﴿ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ﴾ [البقرة: ٢٥٥] ‘‘কে আছে এমন যে আল্লাহর নিকট হতে অনুমতি ছাড়া শাফা‘আত করতে পারে’’? (সূরা আল বাক্বারাহ: ২৫৫) এ আয়াতের ভাবার্থ এবং নাযিল হওয়ার উপলক্ষ্যই বা কী?

উত্তর: মহান আল্লাহ বলছেন যে, আখিরাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া শাফা‘আত কার্যকর হবে না।উক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার কারণ: অংশিবাদী মুশরিক সম্প্রদায়…

আরও পড়ুন ➲

আল-কুরআনে কোন ধরনের শাফা‘আত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে?

উত্তর: শির্কযুক্ত শাফা‘আত; যা নিষিদ্ধ ও বর্জনীয়। সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদলেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী

আরও পড়ুন ➲

নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফা‘আত পেয়ে কে সবচেয়ে সুখী হবে? আর এ শাফা‘আতের হাকীকত (তাৎপর্য) কী এবং শাফা‘আত কার জন্যে নির্ধারিত?

উত্তর: নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফা‘আত পেয়ে সেই বেশী সুখী হবে যে অন্তর থেকে খালেছভাবে বলবে ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’। (বা আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

আখিরাতে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফা‘আত কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর:  নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফা‘আত ছয় প্রকার: (ক) বৃহৎ শাফা‘আত;  আখিরাত দিবসে হাশরের ময়দানের কষ্টলাঘবের জন্য মানুষ যখন উঁচুপর্যায়ের…

আরও পড়ুন ➲

কার্যকরী শাফা‘আতের শর্ত ও দলীল কি?

উত্তর: শর্ত দুটি;(এক) শাফা‘আতকারীর জন্য আল্লাহর অনুমতি পাওয়া। যেমন; মহান আল্লাহ বলেন:﴿ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ﴾ [البقرة:…

আরও পড়ুন ➲

শাফা‘আত (সুপারিশ) কাকে বলে এবং তা কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: কোনো উপকার অর্জন অথবা বিপদ হতে উদ্ধারের লক্ষ্যে অন্য কাউকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করাকে শাফা‘আত বলে। শাফা‘আত দুই প্রকার; (ক) কার্যকর ইতিবাচক…

আরও পড়ুন ➲

ইসলাম বিনষ্টের কারণ কী কী?

উত্তর: ইসলাম বিনষ্টের কারণ কয়টি তা নিয়ে মত পার্থক্য আছে। কেউ কেউ বলেছেন ৮০টি। তন্মধ্য থেকে কয়েকটি হলো: (ক) আল্লাহর…

আরও পড়ুন ➲

নিফাক কত প্রকার?

উত্তর: নিফাক দুই প্রকার; (এক) বিশ্বাসগত (অন্তরে) নিফাক, এ নিফাকে জড়িত ব্যক্তি মুসলিম থাকবে না। (নিফাকের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনার জন্য সূরা আত-তাওবা…

আরও পড়ুন ➲

কুফর কত প্রকার?

উত্তর: কুফর দুই প্রকার:(১) বড় কুফর (২) ছোট কুফর।মহান আল্লাহ বলেন:﴿ وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا قَرۡيَةٗ كَانَتۡ ءَامِنَةٗ مُّطۡمَئِنَّةٗ يَأۡتِيهَا رِزۡقُهَا…

আরও পড়ুন ➲

তাগুত সম্পর্কে জাবির রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন যে; এরা হলো গনক-ঠাকুর সম্প্রদায়, প্রত্যেক গোত্রে বা মহল্লায় তাদের একজন থাকে’। জাবের রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর একথার অর্থ কী? এবং (الحي) ‘আল-হাই’ কাকে বলে?

উত্তর: জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু যা বুঝিয়েছেন তা হলো: গনক-ঠাকুর জ্যোতিষরা তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। শয়তান তাদের কাছে এসে তথাকথিত গোপন তথ্য (সত্য-মিথ্যা…

আরও পড়ুন ➲

সুমহান আল্লাহ বলেন: ﴿ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡجِبۡتِ وَٱلطَّٰغُوتِ ﴾ [النساء: ٥١] তারা জিবত এবং তাগুতের প্রতি ঈমান রাখে বা বিশ্বাস করে’’ (আন-নিসা: ৫১) এখানে জিবত এবং তাগুত কী?

উত্তর: খাত্তাবের পূত্র উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: জিবত অর্থ জাদু-বান টোনা, আর তাগুত হলো শয়তান। অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত যার ইবাদাত…

আরও পড়ুন ➲

আবু-হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ” إِذَا قَضَى اللَّهُ الأَمْرَ فِي السَّمَاءِ، ضَرَبَتِ المَلاَئِكَةُ بِأَجْنِحَتِهَا خُضْعَانًا لِقَوْلِهِ، كَأَنَّهُ سِلْسِلَةٌ عَلَى صَفْوَانٍ، ينفذهم ذلك، فَإِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا: مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟ قَالُوا لِلَّذِي قَالَ: الحَقَّ، وَهُوَ العَلِيُّ الكَبِيرُ، فَيَسْمَعُهَا مُسْتَرِقُ السَّمْعِ، وَمُسْتَرِقُ السَّمْعِ هَكَذَا بَعْضُهُ فَوْقَ بَعْضٍ – وَوَصَفَ سُفْيَانُ بِكَفِّهِ فَحَرَفَهَا، وَبَدَّدَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ – فَيَسْمَعُ الكَلِمَةَ فَيُلْقِيهَا إِلَى مَنْ تَحْتَهُ، ثُمَّ يُلْقِيهَا الآخَرُ إِلَى مَنْ تَحْتَهُ، حَتَّى يُلْقِيَهَا عَلَى لِسَانِ السَّاحِرِ أَوِ الكَاهِنِ، فَرُبَّمَا أَدْرَكَ الشِّهَابُ قَبْلَ أَنْ يُلْقِيَهَا، وَرُبَّمَا أَلْقَاهَا قَبْلَ أَنْ يُدْرِكَهُ، فَيَكْذِبُ مَعَهَا مِائَةَ كَذْبَةٍ، فَيُقَالُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ لَنَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا: كَذَا وَكَذَا، فَيُصَدَّقُ بِتِلْكَ الكَلِمَةِ الَّتِي سَمِعَ مِنَ السَّمَاءِ ” ‘‘আল্লাহ আসমান হতে যখন কোনো ফরমান জারি করেন তখন ফিরিশতা ডানা ঝাপটে ঐ মহত্বপূর্ণ আদেশের প্রতি বিনয়াবনত সম্মতি, আনুগত্য প্রকাশ্য করে, আল্লাহর কোনো সিদ্ধান্ত বা ফরমান অত্যন্ত স্পষ্টভাবে নাযিল হওয়ার প্রাক্কালে তা প্রচ্ছন্ন পাথরের উপর লোহার শিকলের হৃদয়গ্রাহী ঝনঝন শব্দের তরঙ্গ মালার ন্যায় ফিরিশতাদের অন্তরে গ্রথিত হয়ে যায়। অতঃপর যখন তাদের ক্বলবের উপর হতে সে চাপ দূরীভূত হয়ে যায় তখন তারা তাদের পরস্পরকে প্রশ্ন করে বলে, তোমাদের রব্ব কি বলেছেন? তারা বলে: সর্বশ্রেষ্ট আল্লাহ শাশ্বত সত্য বলেছেন। ফেরেশতাদের পারস্পরিক কথোপকথন জ্বিন শয়তান ওৎ পেতে শ্রবণ করে। এ শয়তানগুলো একটার উপরে অপরটা অবস্থান করে থাকে (সুফিয়ান হাত সম্প্রসারিত করে এবং আংগুলসমূহ ফাঁকা করে একটার উপরে অপরটা কীভাবে অবস্থান নেয় তা বুঝিয়ে দেন) এবং ফিরিশতাদের নিকটবর্তী ওৎ পেতে থাকা জ্বিন তার নিচের জ্বিনকে শ্রুত কথাগুলো জানিয়ে দেয়। অতঃপর সে তার নিচের জনকে জানায় আর এভাবেই জাদুকর বা গনক ঠাকুরদের কানে পৌছে দেয়। কখনো বা ওৎ পেতে থাকা শয়তান অপরকে জানানোর পূর্বেই ওৎ পেতে থাকা শয়তানকে অগ্নি তারকায় আক্রান্ত করে ফলে। আবার কখনোবা আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই অপরকে জানিয়ে দিতে সক্ষম হয়। অতঃপর জাদু-মন্ত্রণাকারী সত্যের সাথে শত শত মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তাদের কাছে আগত ব্যক্তিকে আশ্চর্যজনক অদ্ভুত করে জানতে চায় সে কি অমুক দিন এরকম এরকম বলে নি? এভাবে আকাশ থেকে শ্রবণকৃত আল্লাহর জারি করা সিদ্ধান্তটিকে মানুষের সত্যয়ণ লাভ করে মানুষ বিভ্রান্ত হয়”। (সহীহ আল-বুখারী, নং ৪৮০০,৮৭০১) পূর্বোক্ত হাদীসের নিচে দাগ দেওয়া বাক্যসমূহের ভাবার্থ কী?

উত্তর: (قَضَى اللَّهُ الأَمْرَ)= আল্লাহ জিব্রিল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে যখন কোনো আদেশ জারি করেন।(خُضْعَانًا لِقَوْلِه) মহামহিয়ান পবিত্র আল্লাহর আমোঘ বাণী…

আরও পড়ুন ➲

মহান আল্লাহ সূরা আন-নমলের ৬২ নং আয়াতে বলেন: ﴿ أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ ﴾ [النمل: ٦٢] ‘‘আর কে আছে এমন যে নিরুপায় আর্তের আহ্বানে সাড়া দেয়, যখন সে তাঁকে ডেকে থাকে এবং তার বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন’’? এ আয়াতের ব্যাখ্যা ও শিক্ষা কী?

উত্তর: আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, আরব এবং অনারব মুশরিক সম্প্রদায় ভালো করেই জানে যে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই অসহায়-আর্তের…

আরও পড়ুন ➲

মহান আল্লাহ বলেন: ﴿ وَمَنۡ أَضَلُّ مِمَّن يَدۡعُواْ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَن لَّا يَسۡتَجِيبُ لَهُۥٓ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَهُمۡ عَن دُعَآئِهِمۡ غَٰفِلُونَ ٥ وَإِذَا حُشِرَ ٱلنَّاسُ كَانُواْ لَهُمۡ أَعۡدَآءٗ وَكَانُواْ بِعِبَادَتِهِمۡ كَٰفِرِينَ ٦ ﴾ [الاحقاف: ٥، ٦] ‘‘(৫) সে ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিবে না। তারা এদের দো‘আ সম্পর্কে অবগতও নয় (৬) হাশরের মাঠে যখন মানুষদেরকে তাদের একত্রিত করা হবে, তখন এগুলো তাদের শত্রু হবে (এ উপাস্য দেবতাগুলো)। আর তারা এদের দ্বারা কৃত ইবাদাত অস্বীকার করবে’’। (সূরা আল আহকাফ: ৫,৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যা কী?

উত্তর:  এ আয়াতে আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়াতা‘আলা বলেছেন যে,  আল্লাহ ছাড়া যে অন্য কিছুকে ডাকে তার চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত আর কেউ নেই। আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

দো‘আ কত প্রকার ও কী কী এবং তার পরিচয় কী?

উত্তর: দো‘আ দুই ভাগে বিভক্ত; উভয় প্রকার দো‘আ মহান আল্লাহর ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত: (এক) ইবাদাতের মাধ্যমে দো‘আ: আর তা হচ্ছে সর্বপ্রকার নেক কাজের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য…

আরও পড়ুন ➲

সাহায্য বা আশ্রয় প্রার্থনা কয় প্রকার এবং প্রত্যেকটির ধরণ-প্রকৃতি ও হুকুম কি?

উত্তর:  সাহায্য বা আশ্রয় প্রার্থনা দুই প্রকার; (ক) শরীয়তসম্মত বৈধ ইস্তিগাসা (খ) শরীয়ত পরিপন্থী নিষিদ্ধ ইস্তিগাসা। নিষিদ্ধ ইসতিগাসা: আল্লাহ ছাড়া…

আরও পড়ুন ➲

আল-ইসতিগাসা কী? ইসতিগাসা এবং দো‘আর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: আল-ইসতেগাসা হচ্ছে, বিপদে-আপদে আক্রান্ত হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করা। ইসতিগাসা এবং দো‘আর মধ্যে পার্থক্য: ইস্তিগাসা বিশেষভাবে বিপদ-আপদ আক্রান্ত হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করা…

আরও পড়ুন ➲

খাওলা বিনতে হাকীম রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি; যে ব্যক্তি কোনো বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করে পাঠ করে: ‘‘আউযু বি কালিমাতিল্লাহিততা-ম্মাতি মিন শাররী মা খালাকা’’ এ বাড়িতে অবস্থান কালে ঐ ব্যক্তির কোনো ক্ষতি হবে না। (মুসলিম-২৭০৮) হাদীসের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো কী কী? ‘কালিমাতিল্লাহি’ দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে এবং আত-তাম্মাত অর্থ কী?

উত্তর: হাদীসের শিক্ষনীয় বিষয় নিম্নরূপ; (১) আল্লাহ তা‘আলা দীন ইসলামের অনুসারীদেরকে আশ্রয় প্রার্থনা করার বৈধ উপায় জানিয়ে দিয়েছে। অতঃপর কেউ যেন জাহিলী…

আরও পড়ুন ➲

মহান আল্লাহ বলেন: ﴿ وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالٞ مِّنَ ٱلۡإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٖ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَزَادُوهُمۡ رَهَقٗا ٦ ﴾ [الجن: ٦] ‘‘মানুষের মধ্য থেকে কতিপয় লোক জ্বিন সম্প্রদায়ের মধ্যস্থিত কিছু জ্বিনের আশ্রয় নিতো। ফলে ঐ মানুষগুলো জ্বিনদের মান মর্যাদা আত্মন্তরিতা বাড়িয়ে দিতো’’। (সূরা আল-জ্বিন:৬) এ আয়াতের ব্যাখ্যা কী? এ আয়াত থেকে কী জানা গেল বা কী প্রমাণিত হলো?

উত্তর: জাহেলীযুগের আরব ব্যক্তি জন-মানবহীন কোনো উপত্যকায় গিয়ে বা অপরাহ্নে অবস্থান করার সময় ভয় পেত এবং বলত যে; এ উপত্যকায় যারা…

আরও পড়ুন ➲

‘‘আল-ইসতি‘আযাহ’’ কাকে বলে? আল-ইয়ায ও লিয়ায এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর: আল-ইসতিআযা হচ্ছে; পানাহ, পরিত্রাণ এবং মযবুত অবলম্বন। আল-ইয়ায এবং লিয়ায এর মধ্যে প্রার্থক্য; আল-ইয়ায হচ্ছে: আশ্রয়-অবলম্বন করা, অনিষ্ট ও ক্ষতি প্রতিরোধের জন্যে। আল-লিয়ায হচ্ছে:…

আরও পড়ুন ➲

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যমূলক মানত করবে সে যেন তা পালন (বাস্তবায়ন) করে, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানীমূলক মানত করবে সে যেন তা পালন না করে’’। (বুখারী নং ২০৫৪ মুখতাসার যুবাইদি পৃ: ৭০৩)। এ হাদীসের ব্যাখ্যা কি এবং শিক্ষণীয় কি?

উত্তর: রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আদেশ করেন:  যে ব্যক্তি মানতের মাধ্যমে নেক কাজ  করার জন্য নিজকে দায়বদ্ধ করলে সে যেন তা…

আরও পড়ুন ➲

পূর্বোক্ত আয়াত কি বিষয়ে প্রমাণ করে?

উত্তর:  ‘‘তারা মানতসমূহ আদায় করে’’। (সূরা আল ইনসান বা আদ-দাহর:৭) মানত করা শরীয়তে বৈধ এবং মানতকারীকে প্রশংসা করা হয়েছে। সূত্রঃ…

আরও পড়ুন ➲

মান্নতের আভিধানিক ও পরিভাষিক অর্থ কি?

উত্তর: আভিধানিক অর্থ হলো বাধ্য হওয়া। পারিভাষিক অর্থে: স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে যথোপযুক্ত বয়সে নিজকে কোনো কিছু পালনে বাধ্য করা যা শরীয়ত…

আরও পড়ুন ➲

যে মানারুল আরদ বদলে দিবে তাকে কেন ল’নত করা হলো?

উত্তর: কেননা সে মুসাফিরদের পথ হারাবার কাজে জড়িত হয়েছে কিংবা তার প্রতিবেশীর জমি অনাধিকার ভোগ-দখলে নিয়ে বড় ধরনের পাপ করেছে।…

আরও পড়ুন ➲

মানারুল আরদ কি? এবং মানারুল আরদের পরিবর্তন করার অর্থ কি?

উত্তর: মানারুল আরদ হচ্ছে জমি-জমার সীমানায় পরিবর্তন ঘটানো, সীমানার চিহ্ন অপসারণ একটার বদলে অন্যটাকে গ্রহণ। পৃথিবীর প্রান্ত সীমা ও নিদর্শনসমূহ মানারুল…

আরও পড়ুন ➲

‘‘আওয়া মুহদিসান’’ অর্থ কি? মুহদিস কাকে বলে?

উত্তর:  ‘আওয়া’ অর্থ দীনের দুশমনকে সাহায্য করা, তার সাথে নিজকে শামিল করা, তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া এবং সত্যকে উপলব্ধি করে তা গ্রহণ করার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা…

আরও পড়ুন ➲

মাতা-পিতাকে লা‘নত করার অর্থ কি? তাদেরকে কীভাবে লা‘নত করা হয়? তাদেরকে লা‘নত করার হুকুম কি?

উত্তর:  মাতা বা পিতাকে গালি দেওয়া বা মন্দ কথা বলা। তাদেরকে দুটি প্রক্রিয়ায় লানত করা হয়: (ক) সরাসরি গালি দেওয়া, মন্দ…

আরও পড়ুন ➲

যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবেহ করবে তাকে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন লা‘নত দিয়েছেন?

উত্তর: কেননা সে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর উদ্দেশ্যে যবাই করে এমন এক গুনাহ করেছে যা অনেক বড়; আর তাহলো আল্লাহর সাথে শির্ক।…

আরও পড়ুন ➲

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে চারটি কথা বলেছেন: ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহারো জন্য যবেহ করে তার জন্য আল্লাহর লা’নত (অভিশাপ বা ধ্বংস), যে ব্যক্তি তার মাতা-পিতাকে অভিশাপ দিবে তার জন্যেও আল্লাহর অবিশাপ বা ধ্বংস, যে ব্যক্তি বিদ‘আত-ভ্রষ্টতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবে তার জন্যেও আল্লাহর অভিশাপ-ধ্বংস, যে ব্যক্তি যমীনের (মালিকানা নির্ধারক) নিদর্শন (চিহ্ন) পরিবর্তন করবে তাকেও আল্লাহ ধ্বংস করে দিবেন’’ (মুসলিম নং ১৯১৮) হাদীসে বর্ণিত আল-লা‘ন শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: আল-লা‘ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে তার অর্থ হবে; আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত এবং বঞ্চিত হওয়া। আর আল-লা‘ন সৃষ্টির পক্ষ…

আরও পড়ুন ➲

মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন: ﴿ قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣ ﴾ [الانعام: ١٦٢، ١٦٣] ‘‘(১৬২) বলুন অবশ্যই আমার নামায, আমার হজ্জ-কুরবানী-ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু শুধুমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্যই। (১৬৩) তার কোনো শরীক বা অংশীদার নেই, আমি ঐ সবের জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং মুসলিমগণের মধ্যে আমিই প্রথম’’। (সূরা আল আন‘আম) মহান আল্লাহ আরো বলেন: ﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [الكوثر: ٢] ‘‘তুমি আল্লাহরই জন্য সালাত পড় এবং যবেহ কর’’। (কাওসার ২) উল্লেখিত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা কি? আর নুসুক বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:  প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি বলুন ঐ সব মুশরিক সম্প্রদায়কে যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের ইবাদাত, উপাসনা এবং অন্যদের জন্য…

আরও পড়ুন ➲

মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন: ﴿ أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ ١٩ وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ ٢٠ ﴾ [النجم: ١٩، ٢٠] ‘‘(১৯) তোমরা কি ভেবে দেখেছ ‘‘লাত ও উযযার অবস্থা সম্বন্ধে? (২০) এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?’’ (সূরা আন-নাজম) এ আয়াতে উল্লেখিত নামগুলো কিসের এবং এ নামকরণের উদ্দেশ্য কি? আয়াতের ব্যাখ্যা কি?

উত্তর: লাত, উযযা এবং মানাত এ তিনটি জাহেলী (অজ্ঞতা, অন্ধকার) যুগের মুশরিকদের দেব-দেবীর নাম। মুশরিকরা এগুলোর ইবাদাত উপাসনা করতো। ‘‘আফরাআইতুম’’ অর্থাৎ তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ইলাহ…

আরও পড়ুন ➲

পাথর এবং গাছ দ্বারা তাবাররুক গ্রহণের অর্থ কী? এ তাবাররুক গ্রহণের হুকুম কি?

উত্তর: পাথর এবং গাছ থেকৈ তাবাররুক অর্জনের প্রচেষ্টা করা শির্ক। কেননা ঐসব বস্তু ছুয়ে-স্পর্শ করে অথবা তার নিকটবর্তী হয়ে পানাহার করা…

আরও পড়ুন ➲

‘তিওয়ালা’ কাকে বলে এবং তা কেন শির্কের অন্তর্ভুক্ত হবে?

উত্তর:  ‘তিওয়ালা’ এক প্রকার জাদুমন্ত্র। ধারণা করা হয়ে থাকে যে, এ ধরনের জাদু-মন্ত্র ব্যবহার করলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা অটুট থাকে। আর শির্কের অন্তর্ভুক্ত…

আরও পড়ুন ➲

তামায়েম বা তাবিয-তুমার বলতে কি বুঝায় এবং তাবিজের হুকুম কি?

উত্তর:  ‘তামায়েম’ শব্দটি আরবী; যা ‘তামীমা’ শব্দের বহুবচন। অভিধানিক অর্থ হলো রক্ষা-কবচ। আর পারিভাষিক অর্থ হলো: যে সব বস্তু তাবিজ-তুমার আকারে…

আরও পড়ুন ➲

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি; ‘‘অবৈধ বা ভ্রান্ত ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ, কবয এবং স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা বজায় রাখার জন্য কোনো বস্ত্র ব্যবহার করা এসবই শির্ক’’। (মুসনাদে আহমাদ, আবু-দাউদ)

অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে ‘‘যে ব্যক্তি কোথাও তাবীয কবয ঝুলানো বা বাধলো তাকে ওগুলোর জিম্মায় সোপর্দ করা…

আরও পড়ুন ➲

‘‘তার সকল দায়-দায়িত্ব আল্লাহর উপর সোপর্দ হলো’’ এ কথার ভাবার্থ কি?

উত্তর: যে ব্যক্তি তার কন্ঠে কলেমার সাক্ষ্য দিবে আখেরাতে তার হিসাব-নিকাশের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবেন স্বয়ং আল্লাহ। সাক্ষ্যদানে সে যদি সত্যবাদী হয়…

আরও পড়ুন ➲

‘‘তার মাল- সম্পদএবং জীবন হারাম হয়ে যাবে’’ এ কথার অর্থ কি?

উত্তর: অর্থ হলো: তার মাল-সম্পদ ভোগ-দখল করা এবং জীবন বিপন্ন করা কোনো মুসলিমের জন্য হালাল নয়, কেননা কালেমার স্বীকৃতি দিয়ে সে…

আরও পড়ুন ➲

‘‘আল্লাহ ব্যতীত অন্য যা কিছুর ইবাদাত উপাসনা করা হয় তা অস্বীকার করা’’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ কথার অর্থ কি?

উত্তর:  অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত মূর্তি, স্মৃতিসৌধ, ফিরিশতা নবী, আওলিয়া বা নেক লোকদের ইবাদাত উপসনা করতে অস্বীকার ও বর্জন করা। কাফেররা এ ধরনের মূর্তি, সৌধ বা…

আরও পড়ুন ➲

‘‘যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ কথার উদ্দেশ্য কি?

উত্তর: অর্থাৎ যে ব্যক্তি জেনে-বুঝে এ কালেমাকে মেনে নিয়ে স্বীকারোক্তি করবে এবং কালেমার দাবী অনুযায়ী কাজ করবে ও কালেমার দলীল…

আরও পড়ুন ➲

সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘যে বলবে আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ বা মা‘বুদ নেই এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য যা কিছুর পূজা ও উপসনা করা হয় সেগুলোকে অস্বীকার করবে: তার মাল-সম্পদ জীবন, নিরাপদ হবে। আর তার হিসাব হবে মহামহিয়ান আল্লাহর যিম্মায়’। (মুসলিম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসের মধ্যে ধন-সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তার যে শর্তারোপ করেছেন তা কি?

উত্তর: নিরাপত্তার দুটি শর্তারোপ করেছেন: (এক) জেনে-বুঝে ইয়াকিন দৃঢ় বিশ্বাস এবং ভালোবাসা। আন্তরিকতার সাথে বলতে হবে ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ বা…

আরও পড়ুন ➲

দীন ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার হুকুম কী? একজন দা‘ঈ দাওয়াতের সূচনা করবে কী দ্বারা এবং কেন? ইহার প্রমাণ কী?

উত্তর: দীন ইসলামের দাওয়াত দেওয়া ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। একজন দা‘ঈকে দাওয়াতী কাজের সূচনায় তাওহীদ বা একত্ববাদ উপস্থাপন করতে হবে।…

আরও পড়ুন ➲

জাবের রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘যে ব্যক্তি শির্ক মুক্ত থেকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে শির্কের সাথে সম্পর্ক রেখে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে সে জাহান্নামে যাবে’’। (মুসলিম নং ৯৩) আল্লাহর সাথৈ সাক্ষাতের অর্থ কি এবং কখন এ সাক্ষাৎ হবে? আর নেতিবাচক (لا) শব্দের ফায়দা কি?

উত্তর: আল্লাহর  সাথে সাক্ষাতের অর্থ হলো: আল্লাহর সামনে উপস্থিত হওয়া এবং সাক্ষাৎ করা। আর এ সাক্ষাত হবে ক্বিয়ামত দিবসে। আর…

আরও পড়ুন ➲

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহর সাথে শির্কে লিপ্ত থেকে যার মৃত্যু হবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে’’। অন্য বর্ণনায় আছে ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে আহ্বান করে মারা যাবে (সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে)’’ এ হাদিসের ব্যাখ্যা কি? এবং ‘‘যার মৃত্যু হবে’’ একথার দ্বারা কাদেরকে আলাদা (চিহ্নিত) করা হয়েছে। এখানে দো‘আর অর্থ কি এবং ‘নিদ্দ’ বলতে কি বুঝায়?

উত্তর:  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিয়েছেন ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করলো এবং তাওবা না করে শির্কে জড়িত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকজন সহধর্মিনী হতে বর্ণিত আছে: রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:«مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً»‘‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যাবে এবং তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করবে অতঃপর তাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে সে ব্যক্তির চল্লিশ দিনের সালাত কবুল হবে না’’। (মুসলিম-২২৩০)আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে: নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:”مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ “‘‘যে জ্যোতিষের কাছে যাবে এবং তাদের কথা বিশ্বাস করলো সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে নাযিলকৃত বিষয়ে কুফরি করলো’’। (আবু দাউদ: ৩৯০৪)হাকেম সহ আরো চারজন বিশুদ্ধতার শর্ত অনুযায়ী আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে;«مَنْ أَتَى كَاهِنًا، أَوْ عَرَّافًا، فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ»‘‘যে ব্যক্তি গণক অথবা জ্যোতিষের কাছে যাবে অতঃপর ঐ গণক অথবা জ্যোতিষ যা বলবে তা বিশ্বাস করলে, গমনকারী ব্যক্তি মুহাম্মাদ নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে নাযিলকৃত বিষয়ে কুফরিতে লিপ্ত হবে’’ (হাকেম ও বায়হাকী)এখানে মুহাম্মদ এর উপর নাযিলকৃত বিষয় কী?

উত্তর: মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবং সহীহ আল-হাদীস। [আল জামে আল-ফরিদ ১১০।] সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদলেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:«الْعِيَافَةُ، وَالطِّيَرَةُ، وَالطَّرْقُ مِنَ الجِبْتِ»(আহমাদ ৩/৪৭৭, আবু দাউদ: ৩৯০৮, নাসায়ী ফিল কুবরা: ৮/২৭৫, আল-বাগায়ী ফি শারহীস সুন্নাহ; ১২/১৭৭)হাদীসে উল্লেখিত শব্দগুলির ভাবার্থ কি?

উত্তর: (الْعِيَافَةُ) (আল-‘ইয়াফা) = পাখীর ডাক, পাখী উড়ানোর মাধ্যমে লক্ষণ গ্রহণ করা এবং পাখীর নড়াচড়া। পাখীর নাম, পাখীর ডাক এবং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: জাদুর হুকুম কি? জাদুকরের শাস্তি এবং তার দলীল কী?

উত্তর: জাদু হারাম; কেননা তা ঈমান ও তাওহীদের পরিপন্থী কুফরী কাজ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:﴿ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: জাদুর আভিধানিক এবং পারিভাষিক অর্থ কী?

উত্তর: আভিধানিক অর্থ হলো: সূক্ষ্ম কারচুপি। পারিভাষিক অর্থ হলো: মন্ত্র পাঠ করে ঝাড়া, গিরায় ফুঁক দেওয়া, তাবিজ করা এবং ঐ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: হাদীসে বর্ণিত; (حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا، وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا) এর অর্থ কী এবং তা কি সংঘটিত হয়েছে?

উত্তর: অর্থাৎ আল্লাহ কাফেরদেরকে মুমিনদের উপরে নিরংকুশ আধিপত্য বিস্তার করতে দিবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদারগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক দীন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ কি দুশমনদের সর্বাত্মক বিজয় না দেওয়ার ব্যাপারে নবীর আবেদন মঞ্জুর করেছেন? (بَيْضَتَهُمْ) অর্থ কী? হাদীসে বর্ণিত (أَقْطَارِ) দ্বারা কী বুঝায়?

উত্তর: হ্যাঁ, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়েছেন যে, আল্লাহ ঐ আবেদন অনুযায়ী মুসলিমদের উপর দুশমনদেরকে সর্বাত্মক বিজয় ও কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: হাদীসে বর্ণিত; (وَأَنْ لَا يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ، فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ) এর ভাবার্থ কি?

উত্তর: অর্থাৎ আমি আমার রব্বের কাছে উম্মতের জন্যে নিবেদন করলাম যে, তাদের উপর কোনো কাফের সম্প্রদায় যেন এমনভাবে বিজয়লাভ করতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: হাদীসে উল্লিখিত ‘সানাতিন আম্মা’ (سنة عامة) শব্দের ভাবার্থ কী?

উত্তর: অর্থাৎ মহামারী দুর্যোগ, যার ফলে সর্বাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়। [আল-জামে-আল-ফরিদ পৃষ্ঠা: ১০১, ১০২।] সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদলেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: পূর্বোক্ত হাদীসে লাল ও সফেদ (শুভ্র) দুটি ভাণ্ডার অর্জনের কথা বলা হয়েছে তা কী এবং কখন অর্জিত হয়েছে?

উত্তর: সফেদ সম্পদের ভাণ্ডার হলো তৎকালীন পারস্যের সম্রাট কিসরার সম্পদ ও ভাণ্ডার যার মধ্যে প্রধান হলো রৌপ্যলংকার সামগ্রী। আর লাল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত সম্রাজ্য বিস্তারের যে খবর বলেছেন তা কি বাস্তবায়িত হয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে স্পেন এবং পূর্ব দিগন্তে ভারত ও চিন দেশ পর্যন্ত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত; নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম:”إِنَّ اللهَ زَوَى لِي الْأَرْضَ، فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا، وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الْأَحْمَرَ وَالْأَبْيَضَ، وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لِأُمَّتِي أَنْ لَا يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ عَامَّةٍ، وَأَنْ لَا يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ، فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ، وَإِنَّ رَبِّي قَالَ: يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لَا يُرَدُّ، وَإِنِّي أَعْطَيْتُكَ لِأُمَّتِكَ أَنْ لَا أُهْلِكَهُمْ بِسَنَةٍ عَامَّةٍ، وَأَنْ لَا أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ، يَسْتَبِيحُ بَيْضَتَهُمْ، وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بِأَقْطَارِهَا – أَوْ قَالَ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا – حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا، وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا “‘‘অবশ্যই আল্লাহ আমার জন্য যমীনকে সংকুচিত করে দেখালেন। অতঃপর আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত দেখতে পেলাম। অবশ্যই আমার উম্মতের কর্তৃত্ব ঐ পর্যন্ত পৌছবে যে পর্যন্ত আমাকে সংকোচন করে দেখানো হয়েছে। আমাকে লাল (কায়সার) ও শ্বেত বর্ণের (কিসরা) দুটি ভাণ্ডার (স্বর্ণ ও রৌপ্য) প্রদান করা হয়েছে। আর আমি আল্লাহর কাছে আবেদন করেছি, তিনি যেন আমার উম্মতকে মহামারী দিয়ে ধ্বংস করে না দেন এবং অন্য জাতিকে এ উম্মতের উপর যেন এমন ব্যাপক নিরংকুশ বিজয় না দেন যার মাধ্যমে তাদের ছোট বড় সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে, তবে এ উম্মতের নিজেদের ব্যাপার ভিন্ন। এরপর আমার রব্ব আমাকে বললেন; হে মুহাম্মদ; ‘আমি যদি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলি তবে তা পরিবর্তন করা হয় না। তোমাকে এবং তোমার উম্মতকে সর্বাত্মকভাবে মহামারী দিয়ে হালাক করে দেব না। আর শত্রুপক্ষ ঐক্যবদ্ধ হয়েও তোমার উম্মতকে সার্বিকভাবে ধ্বংস করতে পারবে না। অথবা বলেছেন: দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত হতে ঐক্যবদ্ধ হলেও তারা তোমার উম্মতকে ধ্বংস করতে পারবে না। তবে এ উম্মতের একে অপরকে ধ্বংস-উৎখাতে লিপ্ত হবে এবং একে অন্যকে বন্দী করায় লিপ্ত থাকবে’’ (মুসলিম: ২৮৮৯ কিতাবুল ফিতান)(زوى لي)এর অর্থ কী?

উত্তর: অর্থাৎ আল্লাহ আমার জন্যে পৃথিবীকে সংকুচিত করে দেখান আর আমি পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত দেখতে পেলাম এবং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন:  ইসলামী শরীয়ত বলতে কি বুঝায় এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। ইসলামী শরীয়ত হলো একটি সুনির্দিষ্ট পথ ও পদ্ধতি; যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা নবী…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী আল্লাহ আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করেছেন এবং তার দলীল কী?

উত্তর: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত বন্দেগী করার জন্যেই আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দলীল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ বলেন:﴿ لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨ ﴾ [التوبة: ١٢٨]‘‘তোমাদের কাছে রাসূল এসেছেন তোমাদের মধ্য থেকেই। তোমাদের দুঃখ-কষ্টে তিনি ব্যাথিত হন। তিনি তোমাদের কল্যাণে মনোযোগী আর তিনি মুমিনদের প্রতি স্নেহময় ও দয়ালু’’। (সূরা আত-তাওবা:১২৮)এ আয়াতের ভাবার্থ কী? আয়াতে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে কয়টি বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে তা থেকে উম্মতের শিক্ষণীয় কিছু আছে কি?

উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে তাঁর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন যে, তাদের কাছে রাসূল প্রেরণ করা হয়েছে। আর তিনি তাদের…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: কবর বা সমাধি স্থানের কাছা-কাছি মসজিদ নির্মাণের হুকুম কী? প্রমাণ দিন?

উত্তর: হারাম। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘তারা আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট জীব।’’ তাছাড়া নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং নিষেধ করেছেন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট জীব কারা? কেন তারা নিকৃষ্ট জীব হিসেবে পরিগণিত হলো?

উত্তর: যারা কবরের পাশে মসজিদ নির্মান করে এবং সেখানে কবরস্ত লোকদের ছবি-প্রতিকৃতি স্থাপন করে তারাই নিকৃষ্ট জীব।তারা নিকৃষ্ট জীব হিসেবে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আয়েশা রাদিয়াল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত আছে; উম্মে হাবীবা ও উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন যে, তারা হাবাশায় (আবিসিনিয়া বা ইথিওপিয়ায়) গীর্জা দেখেছেন এবং গীর্জার ভিতরে ছবি-প্রতিকৃতি ছিল। অতঃপর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,«إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»‘‘সেখানে কোনো সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তি বা নেক বান্দার মৃত্যুর পর ঐ জনপদের লোকেরা কবরের সন্নিকটে মসজিদ বানিয়েছে অতঃপর কবরবাসীদের প্রতিকৃতি তৈরী করে লটকিয়ে রেখেছে। যে লোকেরা ঐ কাজ করছে তারা আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম জীবের অন্তর্ভুক্ত।’’ (মুত্তাফিকুন আলাইহি: বুখারী, ৪২৭; মুসলিম, ৫২৮)হাদীসে যে দু’টি ফিতনার উল্লেখ হয়েছে তা হলো: (ক) কবরের ফিতনা (খ) মূর্তির ফিতনা। এখানে কানীসা বলে কী বুঝানো হয়েছে? আর ‘ঐ লোকদের’ কথা বলে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? ঐ লোকেরা বলতে কাদের দিকে ইশারা করা হয়েছে?

উত্তর: ‘কানীসা’ হচ্ছে খ্রীষ্টানদের গীর্জা বা উপাসনালয়। ঐ লোকদের সম্পর্কে উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে ধারণা দেওয়া হয়েছে। ঐ লোকেরা বলতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহ হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: (মুতানাত্তে‘উন) ‘‘বাড়াবাড়িকারীরা ধ্বংস হোক’’; এ কথাটি তিনবার উচ্চারণ করেন। (মুসলিম- ২৬৭০)মুতানাত্তেউন কারা? (هلك) ধ্বংস হোক কথাটি তিনবার বলার কারণ কী? তানাত্তু‘ কী এবং এর উদাহরণ কী?

উত্তর: মুতানাত্তে‘উন এবং তানাত্তু‘ হচ্ছে; কোনো বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জনের ভাব প্রকাশ করা এবং ঐ বিষয়ে পারদর্শীতা দেখানোর চেষ্টা করা। যেমন;…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহ আনহুমা বলেন: রাসূল সল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:(غلو) ‘‘অতিরঞ্জন বা বাড়াবাড়ি করার ব্যাপারে তোমাদেরকে সাবধান করছি। তোমাদের পূর্ববর্তী যারা বাড়াবাড়ি করেছিল তারা ধ্বংস হয়ে গেছে’’। (মুসনাদে আহমাদ ১/২১৫, নাসায়ী ৫/২৬৮, ইবনে মাজাহ; ৩০২৯)উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা কী?

উত্তর: নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সতর্ক করে দিয়েছেন যেন তারা পূর্ববর্তী উম্মতের মত নবী ও নেককার লোকদেরকে ভক্তি-শ্রদ্ধায়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: ইবনুল ক্বাইয়েম বলেন: একদিকে সালাফে সালেহীন বলেছেন; ঐ সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের পরবর্তী লোকেরা কবরের কাছে ই‘তিকাফ শুরু করে দেয়। অতঃপর কবরবাসীদের প্রতিকৃতি (তামাসিল) স্থাপন করে। এভাবে অনেকদিন (আল-আমাদ) অতিবাহিত হওয়ার পর স্থাপিত ঐ প্রতিকৃতি তথা কবরপূজা চালু হয়।কবরের কাছে ই‘তিকাফ করার অর্থ কী? তামাসিল কী বস্তু? ‘আল-আমাদ’ অর্থ কী?

উত্তর: কবরে ই‘তিকাফ করার অর্থ হচ্ছে; কবর কেন্দ্রিক আস্তনায় ধর্ণা দেওয়া আর তামাসিল হলো; মূর্তি, সাদৃশ্য, প্রতিকৃতি বা ছবি। আল-আমাদ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহুমা থেকে সহীহ সূত্রে আল্লাহর এ বাণী:﴿ وَقَالُواْ لَا تَذَرُنَّ ءَالِهَتَكُمۡ وَلَا تَذَرُنَّ وَدّٗا وَلَا سُوَاعٗا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسۡرٗا ٢٣ ﴾ [نوح: ٢٣]‘‘আর তারা বলেছিল তোমরা তোমাদের ইলাহদেরকে (দেব-দেবী) পরিত্যাগ করবে না এবং ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগু, ইয়াউক, নাসর এদেরকেও পরিত্যাগ করবে না’’। (আন-নূহ: ২৩) প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন:‘‘এ (আয়াতে উল্লিখিত) নামসমূহ নূহ আ: এর কাওমের সৎ লোকদের। তাদের মৃত্যুর পর তাদের অনুরূপ ছবি-মূর্তি তৈরী করে নাম উল্লেখ সহকারে বসবাসের জায়গায় সাজিয়ে রাখার জন্য ঐ কওমের লোকদেরকে শয়তান প্ররোচিত করলো। আর (ঐ সৎ ব্যক্তিদের) কাওমের লোকেরা শয়তানের প্ররোচনা অনুযায়ী কাজ করলো তবে এরা মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়নি। কিন্তু এদের মৃত্যু পরবর্তী প্রজন্মের নিকট থেকে তাওহীদের জ্ঞান বিলুপ্ত হওয়ার ফলে তারা সৎব্যক্তিদের মূর্তিগুলোর ইবাদাত শুরু করে দেয়’’। (বুখারী: ২৬৩ আল-যুবাইদি পৃ: ৯১)হাদীসে উল্লেখিত ছবি মূর্তি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? এ সব মূর্তির ইবাদাত করার কারণ কী? ইলেম ভুলে যাওয়ার তাৎপর্য কী?

উত্তর: এখানে ছবি মূর্তি বলতে: নেক ও সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি বুঝানো হয়েছে।তাদের ইবাদাতের কারণ হলো: পূর্ব-পরুষগণ নেক লোকদের মৃত্যুর পর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: আল্লাহ বলেন:﴿ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَا تَغۡلُواْ فِي دِينِكُمۡ ﴾ [النساء: ١٧١]‘‘হে আহলে কিতাব সম্প্রদায় তোমরা তোমাদের (জন্য নাযিলকৃত) দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না। (সূরা আন-নিসা: ১৭১) এ আয়াতের ভাবার্থ কী? আয়াতের মধ্যে উল্লিখিত গুলু (غلو) কাকে বলে?

উত্তর: আহলে কিতাব অর্থাৎ ইয়াহূদী এবং খ্রষ্টানদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ বলেন যে, তোমরা দীনের ব্যাপারে আল্লাহর নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করো না।…

আরও পড়ুন ➲

৭১: যদি কেউ প্রশ্ন করে, তাহলে নীচের হাদীসটির অর্থ কি? ‘যে ব্যক্তি উত্তম সুন্নাত চালু করলো, সে উক্ত সুন্নাতের এবং উক্ত সুন্নাত বাস্তবায়নকারীর নেকী পাবে’।

  উক্ত হাদীসে উত্তম সুন্নাত বলতে এমন আমল বুঝানো হয়েছে, ইসলামে যার ভিত্তি রয়েছে। কেননা হাদীসটি দান-ছাদাক্বার ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে।…

আরও পড়ুন ➲

৮১: কল্যাণ সাধন বা অকল্যাণ দূরীকরণে তারকারাজির কোনো প্রভাব আছে- এমন বিশ্বাস করা কি জায়েয?

  এমন বিশ্বাস করা জায়েয নয়। কেননা কল্যাণ সাধনে বা অকল্যাণ দূরীকরণে সেগুলির বিন্দুমাত্র কোনো প্রভাব নেই। বরং এমন বিশ্বাস…

আরও পড়ুন ➲

৯০: আল্লাহ বলেন, ﴿وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذ ظَّلَمُوا أَنفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا﴾ “আর তারা যখন নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল, তখন যদি তারা আপনার কাছে আসত, অতঃপর আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রাসূলও যদি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তাহলে অবশ্যই তারা আল্লাহকে তওবাহ কবূলকারী এবং মেহেরবানরূপে পেত” (নিসা ৬৪)। উক্ত আয়াত কি প্রমাণ করে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পরেও তাঁর কাছ থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করা যাবে?

  রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাওয়ার আবেদনের বিষয়টি তাঁর জীবিত অবস্থার সাথে নির্দিষ্ট; তাঁর মৃত্যুর…

আরও পড়ুন ➲

৮০: تَعَلَّمُوْا السِّحْرَ وَلاَ تَعْمَلُوْا بِهِ “তোমরা জাদু শিখ, কিন্তু জাদুর প্রতি আমল করো না” উক্ত হাদীসটি কি সহীহ?

  উক্ত হাদীসটি সহীহ নয়; বরং তা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ। তিনি জাদু থেকে সতর্ক করে কিভাবে আবার…

আরও পড়ুন ➲

৭০: বিদ‘আত কাকে বলে ও কত প্রকার? প্রত্যেক প্রকারের হুকুম কি? ইসলামে ‘উত্তম বিদ‘আত’ বলে কিছু আছে কি?

  বিনা দলীলে বান্দা কর্তৃক তার প্রভুর ইবাদত করার নাম বিদ‘আত। বিদ‘আত দুই প্রকারঃ ১. কাফেরে পরিণতকারী বিদ‘আতঃ যেমনঃ কোনো…

আরও পড়ুন ➲

৭৯: জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার আগে বা পরে তা থেকে বাঁচার উপায় কি?

  সকাল এবং সান্ধ্যকালীন যিকর-আযকারের প্রতি যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তে হবে, «بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ…

আরও পড়ুন ➲

৮৯: যে ব্যক্তি কোনো সাহাবীকে বা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো স্ত্রীকে গালি দেয়, তার শাস্তি কি?

   যে ব্যক্তি কোনো সাহাবীকে বা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোনো স্ত্রীকে গালি দিবে, সে আল্লাহ্‌র রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে…

আরও পড়ুন ➲

৬৯: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর কবরে জীবিত আছেন? মীলাদুন্নবী অনুষ্ঠানে কি তিনি উপস্থিত হন?

  চার ইমাম এমর্মে একমত পোষণ করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র দেহ থেকে রূহ বের না হওয়া পর্যন্ত…

আরও পড়ুন ➲

৭৮: জ্যোতিষী, গণক, ভবিষ্যদ্বক্তা ইত্যাদির কাছে যাওয়া কি বৈধ?

  তাদের কাছে যাওয়া এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হারাম। এদের থেকে মানুষকে সাবধান করা ওয়াজিব। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,…

আরও পড়ুন ➲

৮৮: ছাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম)-এর প্রতি আমাদের কর্তব্য কি? তাঁদের কাউকে গালি দেওয়ার হুকুম কি?

  সকল সাহাবীকে ভালবাসতে হবে, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এবং তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

৬৮: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কি মসজিদের ভেতরে দাফন করা হয়েছিল?

  রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মূলতঃ আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)-এর কামরায় দাফন করা হয়েছিল। দাফনের পর ৮০ বছরেরও বেশী সময়…

আরও পড়ুন ➲

৭৭: চিকিৎসার জন্য জাদুকরের কাছে যাওয়া জায়েয আছে কি?

  কোনো অবস্থাতেই জাদুকর বা জাদুকরীর কাছে যাওয়া জায়েয নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জাদু দিয়ে জাদু নষ্ট করার বিষয়ে…

আরও পড়ুন ➲
Back to top button