প্রশ্ন: মহান আল্লাহ বলেন:﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ﴾ [الانفال: ٢]‘‘যারা প্রকৃত ইমানদার তারা এমন যে, যখন আল্লাহকে স্বরণ করা হয় তখন প্রকম্পিত হয় তাদের হৃদয়। আর যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াত পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা স্বীয় রবের উপরেই ভরসা করে’’ (সূরা আল-আনফাল: ২)উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা কী? আলোচ্য বিষয়ে আয়াত হতে কী সাক্ষ্য পাওয়া যায়, আয়াতের শিক্ষা কী?
উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতে মুমিনদের কতিপয় প্রশংসনীয় গুণ বৈশিষ্ট্যের বিবরণ দিয়েছেন। এ গুণাবলীর মাধ্যমে তারা ঈমানের পূর্ণতা অর্জন করতে পারবে এবং ঈমানের হাকীকত অনুভব করবে।
মুমিনদের গুণ-বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ:
(ক) যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয় তখন তাদের হৃদয় অন্তর প্রকম্পিত হয়। অর্থাৎ মনে ভয় জাগ্রত হয় অতঃপর আল্লাহর ফরযসমূহ পালন এবং নিষিদ্ধ কার্যকলাপ পরিত্যাগ করার প্রেরণা পাওয়া যায়।
(খ) তারা একক আল্লাহকে অবলম্বন, তাঁর উপর নির্ভর ও ভরসা করে তাদের সব কিছুই তাঁর নিকট সোপর্দ করে থাকে। আর আলোচ্য অধ্যায়ে এ সব গুণাবলীর সাক্ষ্যই দেওয়া হয়েছে।
(গ) তাদের নিকট যখন আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তাদের মনোবল সুদৃঢ় হয়।
(ঘ) তারা যথাযথভাবে সালাত প্রতিষ্ঠা করে। আর তা যথাসময়ে ফরয, শর্ত ও রুকন অনুযায়ী পূর্ণভাবে আদায় করে।
(ঙ) তাদেরকে আল্লাহ যে ধন-সম্পদ রিযিক হিসেবে দিয়েছেন তা থেকে তারা আল্লাহর হুকুম মোতাবেক ফরয কিংবা মুস্তাহাব পালনে ব্যয় করে।
উক্ত পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের দ্বারা মুমিনগণ যা লাভ করবে তা হলো:
উত্তম অনাবিল প্রতিদান, উচ্চমর্যাদা, গুনাহ মাফ এবং সুখময় জান্নাতের মধ্যে অঢেল ও অফুরন্ত রিযিক।
আয়াতের শিক্ষা: সৎকাজে ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং অসৎ কাজে ঈমান হ্রাস পায়।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী