তাওহীদ

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ বলেন:﴿ لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨ ﴾ [التوبة: ١٢٨]‘‘তোমাদের কাছে রাসূল এসেছেন তোমাদের মধ্য থেকেই। তোমাদের দুঃখ-কষ্টে তিনি ব্যাথিত হন। তিনি তোমাদের কল্যাণে মনোযোগী আর তিনি মুমিনদের প্রতি স্নেহময় ও দয়ালু’’। (সূরা আত-তাওবা:১২৮)এ আয়াতের ভাবার্থ কী? আয়াতে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে কয়টি বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে তা থেকে উম্মতের শিক্ষণীয় কিছু আছে কি?

উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে তাঁর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন যে, তাদের কাছে রাসূল প্রেরণ করা হয়েছে। আর তিনি তাদের মধ্য থেকে নির্ধারিত। অর্থাৎ তাদের মতই মানুষ এবং ভাষাও অভিন্ন। তাদের কাছে তিনি পরিচিত, বিশ্বস্ত এবং আমানতের সুখ্যাতি স্বীকৃত।
অতঃপর আল্লাহ নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসনীয় কিছু গুণ-বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেন, যথা; তিনি তার আশে-পাশের লোকদের হিদায়াতের জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতেন, তাদেরকে সুপরামর্শ দিতেন এবং ইসলাম গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। তাদের কোনো বিপদ-আপদ হলে তিনি পেরেশান হয়ে যেতেন। আর তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি তাঁর কাছে অপছন্দনীয়। তাছাড়াও মুমিনদের প্রতি রয়েছে তাঁর স্নেহের পরশ ও দয়া।
এ সব গুণ-বৈশিষ্ট্য থেকে উম্মতের শিক্ষণীয় হলো: আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসুলের গুণ-বৈশিষ্টসমূহ উল্লেখ করেছেন যেন উম্মতের চেতনা হয়। আর তাদের প্রয়োজনেই রাসূলের আবির্ভাব তিনি তাদেরকে সাবধান বাণী শুনিয়ে শির্কের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় গুনাহ। যে সব কারণে শির্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে তার বর্ণনা করেছেন। অত্যন্ত জোর দিয়েই তিনি শির্ক করতে নিষেধ করেছেন যার মধ্যে আছে কবরের তাজীম-সম্মান এবং বাড়াবাড়ি করা। কবরের কাছে সালাত পড়া এবং অন্যান্য কার্যকলাপ যা কবর পূজা হিসেবে বিবেচিত।

সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button