মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন: ﴿ قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣ ﴾ [الانعام: ١٦٢، ١٦٣] ‘‘(১৬২) বলুন অবশ্যই আমার নামায, আমার হজ্জ-কুরবানী-ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মৃত্যু শুধুমাত্র আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্যই। (১৬৩) তার কোনো শরীক বা অংশীদার নেই, আমি ঐ সবের জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং মুসলিমগণের মধ্যে আমিই প্রথম’’। (সূরা আল আন‘আম) মহান আল্লাহ আরো বলেন: ﴿ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ ﴾ [الكوثر: ٢] ‘‘তুমি আল্লাহরই জন্য সালাত পড় এবং যবেহ কর’’। (কাওসার ২) উল্লেখিত আয়াতসমূহের ব্যাখ্যা কি? আর নুসুক বলতে কি বুঝায়?
উত্তর:
প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি বলুন ঐ সব মুশরিক সম্প্রদায়কে যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের ইবাদাত, উপাসনা এবং অন্যদের জন্য প্রশু যবেহ করে থাকে। অবশ্যই আমি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য আমার সালাত ইবাদাত যবাই কুরবানী, জীবনে বেঁচে থাকা এবং ঈমানের সাথে নেক কাজে জড়িতাবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়। সব কিছুই লা-শরীক আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য সম্পন্ন করতে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর সব কিছুই নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করার জন্য আমি আদিষ্ট এবং এ উম্মতের মধ্যে আমিই প্রথম মুসলিম।
আর ‘নুসুক’ হচ্ছে কুরবানী বা যবাই।
আর সূরা আল কাওসারের দ্বিতীয় আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে; সালাত ইবাদাত এবং কুরবানী একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্যই সম্পন্ন করতে হবে। সর্বাবস্থায় মুশরিকদের বিরুদ্ধাচারণ করতে হবে (25)।
25. আল জামে-আল ফরিদ পৃ:৫৩।
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী