ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম

প্রশ্ন: (৫৩০) ১২ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা ত্যাগ করার পর কাজ থাকার কারণে কেউ যদি সূর্যাস্তের পর আবার মিনায় ফিরে আসে। এখন কি মিনায় রাত থাকা তার ওপর আবশ্যক হয়ে যাবে?

উত্তর: না, মিনায় রাত থাকা তার ওপর আবশ্যক হবে না। সে তাড়াহুড়াকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা সে হজের যাবতীয় কার্যাদী…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৯) মিথ্যা পাসপোর্ট বানিয়ে হজ করলে হজ হবে কী?

উত্তর: তার হজ হয়ে যাবে। হজ বিশুদ্ধ হবে। কেননা পাসপোর্ট নকল করা হজের কর্মসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা হজের বাইরের কাজ।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২০) কখন জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারলে আদায় হবে এবং কখন মারলে কাযা মারা হবে?

উত্তর: ঈদের দিন সর্বসাধারণের জন্য কঙ্কর মারার সময় হচ্ছে, সূর্য উঠার পর থেকে শুরু হবে। আর দুর্বলদের জন্য এ সময়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৯) জনৈক ব্যক্তি রাত বরোটা পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মক্কা চলে গেছে, ফজরের পূর্বে আর মিনায় ফেরত আসে নি। তার বিধান কী?

উত্তর: রাত বারোটা যদি মধ্য রাত্রি হয়, তবে তারপর মিনা থেকে বের হলে কোনো অসুবিধা নেই। যদিও উত্তম হচ্ছে রাত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৮) হজ করতে এসে পাপের কাজে লিপ্ত হলে কি হজের সাওয়াব কমে যাবে?

উত্তর: সাধারণভাবে সব ধরনের পাপকাজ হজের সাওয়াব হ্রাস করে দেয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ ٱلۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৯) তাওয়াফে ইফাদ্বার পূর্বে হজের সা‘ঈ করা কি জায়েয?

উত্তর: হাজী সাহেব যদি ইফরাদ বা ক্বিরানকারী হয়, তবে তার জন্য তাওয়াফে ইফাদ্বার পূর্বে হজের সা‘ঈ করা জায়েয আছে। তাওয়াফে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৮) ক্বিরানকারীর জন্য একটি তাওয়াফ ও একটি সা‘ঈ যথেষ্ট হবে?

উত্তর: কোনো মানুষ যদি ক্বিরান হজ করতে চায়, তবে তার তাওয়াফে ইফাদ্বা বা হজের তাওয়াফ ও হজের সা‘ঈ উমরা ও…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৭) হজের ইচ্ছা করার পর যদি তাকে নিষেধ করে দেওয়া হয়, তবে তার করণীয় কী?

উত্তর: যদি সে ইহরাম না করে থাকে তবে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো কিছু তার উপর আবশ্যক হবে না। কেননা কোনো…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৮) কেউ কেউ বলেন, যে কঙ্কর একবার নিক্ষিপ্ত হয়েছে তা নাকি আবার নিক্ষেপ করা যাবে না। এ কথাটি কি ঠিক? এর কোনো দলীল আছে কি?

উত্তর: একথা সঠিক নয়। কেননা যারা নিক্ষিপ্ত কঙ্কর পুনরায় নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেন তাদের যুক্তি হচ্ছে- ১. নিক্ষিপ্ত কঙ্কর (মায়ে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৭) ইফরাদ হজকারী যদি তাওয়াফে কুদূমের সাথে সা‘ঈ করে নেয়, তবে তাওয়াফে ইফাদ্বার পর তাকে কি আবার সা‘ঈ করতে হবে?

উত্তর: তাওয়াফে ইফাদ্বার পর তাকে আর সা‘ঈ করতে হবে না। কেননা তার উমরা নেই। সুতরাং তাওয়াফে কুদূমের সাথে সে যদি…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৬) জনৈক ব্যক্তি মীকাত থেকে হজের ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছে সে প্রশাসন (ডিউটি পুলিশ) কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। কেননা সে হজের অনুমতি পত্র নেয় নি। এখন তার করণীয় কী?

উত্তর: এ অবস্থায় মক্কা প্রবেশ করতে না পারলে সে ‘মুহছার’ বা বাধাগ্রস্ত বলে বিবেচিত হবে। তখন বাধাপ্রাপ্ত স্থানে হাদঈ যবেহ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৭) সাতটি কঙ্করের মধ্যে থেকে যদি একটি বা দু’টি কঙ্কর জামরায় না পড়ে এবং এভাবে এক বা দু’দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে কি তাকে সবগুলো জামরায় পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?

উত্তর: যদি কারো কোনো জামরায় একটি বা দু’টি পাথর নিক্ষেপ বাকী থাকে, তবে ফিক্বাহবিদগণ বলেন, যদি এটা শেষ জামরায় হয়ে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৬) মুযদালিফার সীমা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বাইরে অবস্থান করলে করণীয় কী?

উত্তর: বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদইয়াস্বরূপ একটি দম দিতে হবে অর্থাৎ একটি কুরবানী শুদ্ধ হওয়ার মতো প্রাণী যবেহ করতে হবে এবং…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৫) উমরাকারীর জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করার বিধান কী?

উত্তর: উমরাকারী মক্কা আগমন করার সময় যদি নিয়ত করে যে, তাওয়াফ, সা‘ঈ ও মাথা মুণ্ডন তথা উমরার কার্যাদী সম্পন্ন করার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৬) জনৈক হাজী পূর্ব দিক থেকে জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মেরেছে। কিন্তু তা হাওয বা গর্তের মধ্যে পড়ে নি। ঘটনাটি ছিল ১৩ তারিখে। তাকে কি তিনটি জামরাতেই পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?

উত্তর: সবগুলো স্থানে তাকে পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে না; বরং যে ক্ষেত্রে ভুল করেছে সেটাই শুধু পুনরায় মারবে। অতএব, শুধুমাত্র…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৫) জনৈক হাজী ‘আরাফাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মীনায় রাত কাটায় নি, কঙ্কর নিক্ষেপ করে নি এবং তাওয়াফে ইফাদ্বাও করে নি। তাকে এখন কী করতে হবে?

উত্তর: ‘আরাফাতের ময়দানে যে লোকটি অসুস্থ হয়েছে, তার অসুখ যদি এমন পর্যায়ের হয় যে, হজের অবশিষ্ট কাজ পূর্ণ করা তার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৪) জনৈক ব্যক্তি সকালে বিদায়ী তাওয়াফ করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আছরের পর সফর করার ইচ্ছা করে। তাকে কী কিছু করতে হবে?

উত্তর: হজ ও উমরা উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «لا يَنْفِرَنَّ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৫) জনৈক নারী মুযদালিফা থেকে শেষ রাত্রে যাত্রা করেছে এবং সামর্থ্য থাকা সত্বেও নিজের ছেলেকে তার পক্ষ থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের দায়িত্ব প্রদান করেছে। এর বিধান কী?

উত্তর: হজের কার্যাদির মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে কঙ্কর নিক্ষেপ করা। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাজের নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিজে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৪) কঙ্কর মারার সময় কখন?

উত্তর: জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারার সময় হচ্ছে ঈদের দিন। সামর্থ্যবান লোকদের জন্য এ সময় শুরু হবে ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩৩) মিনায় স্থান না পাওয়ার কারণে কোনো লোক যদি সেখানে শুধুমাত্র রাতের বেলায় আগমন করে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করে। তারপর মক্কা চলে যায় এবং রাত ও দিনের অবশিষ্ট অংশ তথায় অবস্থান করে তবে কী হবে?

উত্তর: তার এ কাজ যথেষ্ট হবে। কিন্তু এর বিপরীত করাই উত্তম। উচিৎ হচ্ছে, হাজী সাহেব রাত ও দিনের পূরা সময়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৪) ‘আরাফাত থেকে ফেরার পথে একদল লোক মুযদালিফার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। রাত একটার দিকে তারা মাগরিব ও এশা সালাত আদায় করে। মুযদালিফা পৌঁছার সময় ফজরের আযান হয়ে যায়। সেখানে তারা ফজর সালাত আদায় করে। এখন তাদেরকে কি কোনো জরিমানা দিতে হবে?

উত্তর: এদেরকে কোনো ফিদইয়া বা জরিমানা দিতে হবে না। কেননা তারা ফজরের আযানের সময় মুযদালিফায় প্রবেশ করেছে এবং সেখানে অন্ধকার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২৩) উমরায় যে ব্যক্তি মাথার এদিক ওদিক থেকে অল্প করে চুল কাটে, তার সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

উত্তর: আমি মনে করি এ লোকের চুল খাটো করা সম্পন্ন হয় নি। তার ওপর ওয়াজিব হচ্ছে ইহরামের কাপড় পুনরায় পরিধান…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩২) জনৈক ব্যক্তি ১২ তারিখে কঙ্কর না মেরেই মিনা ছেড়েছে এ ধারণায় যে, এটাই অনুমোদিত তাড়াহুড়া এবং বিদায়ী তাওয়াফও করে নি। তার হজের কি হবে?

উত্তর: তার হজ বিশুদ্ধ। কেননা সে হজের কোনো রুকন পরিত্যাগ করে নি। কিন্তু সে তিনটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে- যদি ১২…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১৩) তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বাঁধার পর উমরা শেষ করে অজ্ঞতাবশতঃ হালাল হয় নি। এভাবে হজের কাজ শেষ করে কুরবানী করেছে। তার করণীয় কী? তার হজ কি বিশুদ্ধ?

উত্তর: জানা আবশ্যক যে, কোনো মানুষ তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বাঁধলে তার ওপর ওয়াজিব হচ্ছে, তাওয়াফ, সা‘ঈ শেষ করে মাথার চুল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২২) সা‘ঈ আবশ্যক ছিল কিন্তু তাওয়াফ করার পর সরাসরি সা‘ঈ না করে বাইরে বেরিয়ে গেছে। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হলো, সে কি এখন শুধু সা‘ঈ করবে নাকি পুনরায় তাওয়াফ করার পর সরাসরি সা‘ঈ করবে?

উত্তর: কোনো মানুষ যদি তাওয়াফ করে এ বিশ্বাসে যে তাকে সা‘ঈ করতে হবে না। কিন্তু পরে তাকে জানানো হলো যে,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫৩১) সঊদী আরবের বাইরে অবস্থান করে এমন জনৈক হাজী হজের কাজ সম্পাদন করেছে। যিলহজের ১৩ তারিখে আসর তথা বিকাল চারটার সময় তার সফরের সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু ১২ তারিখ কঙ্কর মারার পর সে মিনা থেকে বের হয় নি। ১৩ তারিখের রাত সেখানেই অবস্থান করেছে। এখন ১৩ তারিখ সকালে কঙ্কর মেরে মিনা থেকে বের হওয়া তার জন্য জায়েয হবে কী? উল্লেখ্য যে, যোহরের পর কঙ্কর মেরে বের হলে নির্ঘাত তার সফর বাতিল হয়ে যাবে, ফলে সে বিরাট অসুবিধায় পড়বে। এর উত্তর যদি না জায়েয হয়, তবে যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারার ব্যাপারে কি কোনো মত পাওয়া যায় না?

উত্তর: কোনো অবস্থাতেই যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারা জায়েয নয়। জরুরী অবস্থা হিসেবে কঙ্কর নিক্ষেপ করা রহিত হবে না। তবে তার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১২) তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বেঁধে উমরা করে কোনো কারণবশতঃ হজের ইচ্ছা পরিত্যাগ করেছে। তাকে কি কোনো কাফফারা দিতে হবে?

উত্তর: তাকে কোনো কাফফারা দিতে হবে না। কেননা তামাত্তু‘কারী উমরার ইহরাম বাঁধার পর উমরা পূর্ণ করে যদি হজের ইচ্ছা পরিত্যাগ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫২১) বিশেষ করে ঈদের দিনের তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করা কি জায়েয?

উত্তর: সঠিক কথা হচ্ছে, (মুযদালিফার পরে) ঈদের দিন বা অন্য দিনে কোনো পার্থক্য নেই। সর্বাবস্থায় (মুযদালিফার পরে) তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১১) উমরা করে জনৈক লোক নিজ দেশে গিয়ে মাথা মুণ্ডন করেছে। তার উমরার বিধান কী?

উত্তর: বিদ্বানগণ বলেন, মাথা মুণ্ডন করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। মক্কা বা মক্কা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে মুণ্ডন করলে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০০) অনেক তাওয়াফকারীকে দেখা যায় ভীড়ের মধ্যে ঠেলে ঠেলে তাদের নারীদেরকে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য পাঠায়। তাদের জন্য কোনটি উত্তম হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা? নাকি পুরুষদের ভীড় থেকে দূরে অবস্থান করা।

উত্তর: প্রশ্নকারী যখন এ আশ্চর্য বিষয় দেখেছে, আমি এর চাইতে অধিক আশ্চর্যজনক বিষয় দেখেছি। আমি দেখেছি কিছু লোক ফরয সালাতান্তে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৯) অজ্ঞতাবশতঃ তাওয়াফে ইফাদ্বা ছেড়ে দিলে করণীয় কী?

উত্তর: তাওয়াফে ইফাদ্বা (হজের তাওয়াফ) হজের অন্যতম রুকন। এটি আদায় না করলে হজ সম্পন্ন হবে না। কোনো মানুষ তা ছেড়ে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৮) নফল সা‘ঈ করা কি জায়েয আছে?

উত্তর: নফল সা‘ঈ করা জায়েয নয়। কেননা সা‘ঈ শুধুমাত্র হজ-উমরার সময় শরী‘আতসম্মত। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫১০) তামাত্তু‘কারী কুরবানী দিতে পারে নি। হজে সে তিনটি সাওম রেখেছে। কিন্তু হজ থেকে ফিরে এসে সাতটি সাওম রাখে নি। এভাবে তিন বছর কেটে গেছে। তার করণীয় কী?

উত্তর: তার ওপর আবশ্যক হচ্ছে দশ দিনের মধ্যে থেকে অবশিষ্ট সাত দিনের সিয়াম এখনই পালন করে নেওয়া। (আল্লাহর কাছে তার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৭) ইদ্বতেবা‘ কাকে বলে? এ কাজ কোন সময় সুন্নাত?

উত্তর: ইদ্বতেবা‘ হচ্ছে গায়ের চাদরকে ডান বগলের নিচ দিয়ে নিয়ে তার উভয় দিক বাম কাঁধের উপর রাখা এবং ডান কাঁধ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯০) হজের সময় নিকাব দিয়ে নারীর মুখ ঢাকার বিধান কী? আমি একটি হাদীস পড়েছি যার অর্থ হচ্ছে “ইহরামকারী নারী নেকাব পরবে না এবং হাতমোজা পরিধান করবে না।” আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার অন্য একটি কথা পড়েছি। তিনি বলেন, “আমাদের সামনে কোনো পুরুষ এলে আমরা মুখের উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। যখন আমরা ওদের সামনে চলে যেতাম, তখন মুখমণ্ডল খুলে রাখতাম” সে সময় তারা হজে ছিলেন। দু’টি হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য কী?

উত্তর: এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, হাদীসের মর্ম অনুযায়ী নারী ইহরাম অবস্থায় নেকাব পরবে না। পুরুষ তার সম্মুখে আসুক বা না…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮০) ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম এ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে কেউ যদি স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তবে তার হজের বিধান কী?

উত্তর: একথা সুবিদিত যে, স্ত্রী সহবাস ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম; বরং তা ইহরামের সর্বাধিক কঠিন ও বড় নিষেধাজ্ঞা। আল্লাহ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৯) যে ব্যক্তি তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বেঁধে উমরা শেষ করে চুল কাটে নি বা মুণ্ডনও করে নি। পরে হজের সকল কাজ শেষ করেছে তাকে কী করতে হবে?

উত্তর: এ ব্যক্তি উমরায় চুল ছোট করা পরিত্যাগ করেছে। আর চুল ছোট করা উমরার একটি ওয়াজিব কাজ। বিদ্বানদের মতে ওয়াজিব…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৬) উমরায় তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করার বিধান কী?

উত্তর: উমরাকারী তাওয়াফের পূর্বে যদি সা‘ঈ করার পর তাওয়াফ করে থাকে তবে তাকে পুনরায় সা‘ঈ করতে হবে। কেননা দু’টি কাজে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৯) মীকাত থেকে ঋতুবতী অবস্থায় জনৈক নারী ইহরাম বাঁধে। মক্কায় এসে পবিত্র হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র সে খুলে ফেলে। এর বিধান কী?

উত্তর: ঋতুবতী অবস্থায় নারী যদি মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে, তারপর মক্কায় এসে পবিত্রা হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র খুলে ফেলে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭০) ইহরামের জন্য বিশেষ কোনো সালাত আছে কি?

উত্তর: ইহরামের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সালাত নেই। কিন্তু কোনো লোক যদি এমন সময় মীকাতে পৌঁছে যখন ফরয সালাতের সময় উপস্থিত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৯) শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কীভাবে ইহরাম করবে?

উত্তর: কোনো মানুষ যদি ইহরামের কাপড় পরিধান করতে সক্ষম না হয়, তবে যে ধরনের কাপড় পরতে সক্ষম হবে তাই পরিধান…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৮) জনৈক হাজী তামাত্তু‘ হজ করতে এসে, উমরার তাওয়াফ ও সা‘ঈ শেষ করে ইহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরিধান করে নিয়েছে। মাথা মুণ্ডন করে নি বা চুল ছোট করে নি। হজের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এ সম্পর্কে সে জানতে চেয়েছে। এখন তার করণীয় কী?

উত্তর: এ ব্যক্তি উমরার একটি ওয়াজিব কাজ পরিত্যাগ করেছে। তা হচ্ছে, চুল খাটো করা বা মাথা মুণ্ডন করা। বিদ্বানদের মতে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৫) তাওয়াফ চলাবস্থায় যদি সালাতের ইকামত হয়ে যায়, তবে কি করবে? তাওয়াফ কি পুনরায় শুরু করবে? পুনরায় শুরু না করলে কোথা থেকে তাওয়াফ পূর্ণ করবে?

উত্তর: মানুষ যদি উমরা বা হজ বা বিদায়ী তাওয়াফ বা নফল তাওয়াফে লিপ্ত থাকে, আর ফরয সালাতের ইকামত হয়ে যায়,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৮) জনৈক নারী ঋতু অবস্থায় মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধেছে। মক্কায় আগমন করে বিলম্ব করে পবিত্র হওয়ার পর উমরা আদায় করেছে। তার এ উমরার বিধান কী?

উত্তর: তার উমরা বিশুদ্ধ। যদিও একদিন বা দু’দিন বা ততোধিক দিন বিলম্ব করে থাকে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু শর্ত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৯) মৃত দাদার পক্ষ থেকে হজ করার বিধান কী? অবশ্য তার পক্ষ থেকে হজ আদায়কারী নিজের হজ সম্পাদন করেছে।

উত্তর: যে মৃত দাদা নিজের হজ করে নি তার পক্ষ থেকে হজ সম্পাদন করা জায়েয। কেননা সুন্নাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৮) ইহরাম অবস্থায় ছাতা ব্যবহার করার বিধান কী? অনুরূপভাবে সিলাইকৃত বেল্ট ব্যবহার করা যাবে কি?

উত্তর: সূর্যের তাপ বা বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো ক্ষতি নেই। একাজ হাদীসে পুরুষের…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৭) উমরায় মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করার বিধান কী? এ দু’টির মধ্যে কোনটি উত্তম?

উত্তর: উমরায় মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা ওয়াজিব। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে মক্কায় আগমন করে তাওয়াফ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৪) রামাযানে বারবার উমরা করার বিধান কী? এরকম কোনো সময় কি নির্দিষ্ট আছে যে, এতদিন পরপর উমরা করতে হবে?

উত্তর: রামাযানে বারবার উমরা করা বিদ‘আত। কেননা এক মাসের মধ্যে বারবার উমরা করা সালাফে সালেহীন তথা সাহাবায়ে কেরামের নীতির বিপরীত।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৭) ইহরামকারী নারীর হাতমোজা এবং পা মোজা পরার বিধান কী?

উত্তর: হাতমোজা ব্যবহার করা জায়েয নেই। পায়ের মোজা ব্যবহার করতে কোনো অসুবিধা নেই। হাত মোজার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৮) ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর গোসল করার বিধান কী?

উত্তর: ইহরামে প্রবেশ করার পর গোসল করতে কোনো বাধা নেই। কেননা তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত রয়েছে। চাই…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৬) কা‘বা শরীফের গিলাফ ধরে দো‘আ বা কান্নাকাটি করা জায়েয কি?

উত্তর: কা‘বা শরীফের গিলাফ ধরে বরকত কামনা করা বা দো‘আ বা কান্নাকাটি করা বিদ‘আত। কেননা এ কাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৭) তামাত্তু‘কারী যদি নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার হজের জন্য সফর করে, তবে কি ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে?

উত্তর: হ্যাঁ, তামাত্তু‘কারী উমরা আদায় করার পর নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার সেই বছর হজের জন্য মক্কা সফর করলে সে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯৩) তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করা কি জায়েয?

উত্তর: তাওয়াফে ইফাদ্বার পূর্বে সা‘ঈ করা জায়েয। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন একস্থানে দণ্ডায়মান হলেন, লোকেরা তাকে প্রশ্ন…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৬) ইহরাম অবস্থায় নারী কি স্বীয় কাপড় বদল করতে পারবে? নারীর জন্য কি ইহরামের বিশেষ কোনো পোশাক আছে?

উত্তর: নারী যে কাপড়ে ইহরাম করেছে তা পরিবর্তন করে অন্য কাপড় পরিধান করতে পারে। পরিবর্তন করার দরকার থাক বা না…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৭) কোনো ব্যক্তি যদি নিজ দেশ থেকে জেদ্দা সফর করে অতঃপর উমরা আদায় করার ইচ্ছা করে। সে কি জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে?

উত্তর: এ মাসআলাটির দু’টি অবস্থা: প্রথমঃ লোকটি উমরার নিয়ত না করে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৫) মাক্বামে ইবরাহীমে যে পদচিহ্ন দেখা যায়, তা কি প্রকৃতই ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পায়ের চিহ্ন?

উত্তর: সন্দেহ নেই মাক্বামে ইবরাহীম সুপ্রমাণিত। কাঁচে ঘেরা স্থানটিই মাক্বামে ইবরাহীম। কিন্তু এর মধ্যে যে গর্ত দেখা যায় তাতে পায়ের…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৬) প্রশাসনকে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে মক্কায় পৌঁছে ইহরাম বাঁধলে হজ বিশুদ্ধ হবে কী?

উত্তর: তার হজ তো বিশুদ্ধ হয়ে যাবে কিন্তু মুসলিম শাসককে ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে হারাম কাজ করেছে। এটা হারাম হয়েছে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফফারা দেওয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কাফফারা কি নিজ দেশে আদায় করা জায়েয হবে? নাকি মক্কাতেই পাঠাতে হবে? যদি মক্কাতেই পাঠাতে হয়, তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া কি জায়েয হবে?

উত্তর: হজ পালনকারী কি ভুল করেছেন তা নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। যদি কোনো ওয়াজিব পরিত্যাগ করে থাকে, তবে ফিদইয়া হিসেবে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৫) ঋতু এসে যাওয়ার কারণে জনৈক নারী উমরা না করেই মক্কা থেকে ফেরত চলে গেছে। তার বিধান কী?

উত্তর: উমরার ইহরাম বাঁধার পর যদি নারীর ঋতু এসে যায়, তবে ইহরাম বাতিল হবে না। উমরার ইহরাম বাঁধার পর ঋতুর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৬) উমরার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কী?

উত্তর: যে ব্যক্তি হজ বা উমরার উদ্দেশ্যে মীকাত অতিক্রম করতে চায় সে যেন ইহরাম ছাড়া অতিক্রম না করে। কেননা নবী…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৪) উমরা শেষ করার পর ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পেলে কী করবে?

উত্তর: কোনো মানুষ উমরার তাওয়াফ ও সা‘ঈ শেষ করার পর যদি ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পায়, তবে তার তাওয়াফ বিশুদ্ধ,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৫) অজ্ঞতাবশতঃ মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেলে তার ওপর আবশ্যক কী?

উত্তর: অজ্ঞতাবশতঃ যে হাজী সাহেব মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেছে, তার উপর কোনো কিছু আবশ্যক নয়। কেননা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৯১) ভুলক্রমে অথবা অজ্ঞতাবশতঃ ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেললে, তার বিধান কী?

উত্তর: ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর অন্তরে দৃঢ় ইচ্ছা করে ইহরাম না বেঁধে থাকে আর নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে তবে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৫) আকাশপথে আগমনকারী কীভাবে ইহরাম বাঁধবে?

উত্তর: হজ বা উমরার উদ্দেশ্যে আকাশ পথে আগমনকারী যে স্থানের উপর দিয়ে যাবে সে এলাকার মীকাতের বরাবর হলে ইহরাম বাঁধবে।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৪) জনৈক নারী তাওয়াফে ইফাদ্বা করে নি। ইতোমধ্যে সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। তার ঠিকানা সঊদী আরবের বাইরে। হজ কাফেলাও চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই দেরী করা সম্ভব হবে না এবং পরবর্তীতে মক্কা ফিরে আসাটাও তার জন্য দুরহ ব্যাপার। এখন সে কী করবে?

উত্তর: বিষয়টি যদি এরূপই হয় যেমন প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজের তাওয়াফ না করেই নারী ঋতুবতী হয়ে গেছে। পবিত্র…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৪) ইহরাম বেঁধে কি মাথা আঁচড়ানো জায়েয আছে?

উত্তর: ইহরাম অবস্থায় মাথা আঁচড়ানো উচিৎ নয়। কেননা ইহরামকারীর উচিৎ হচ্ছে এলোকেশ ও ধুলোমলিন থাকা। তবে গোসল করতে কোনো অসুবিধা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০৩) তাওয়াফ-সা‘ঈতে কি বিশেষ কোনো দো‘আ আছে?

উত্তর: হজ-উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দো‘আ নেই। মানুষ জানা যে কোনো দো‘আ পাঠ করতে পারবে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৪) ‘লাব্বাইক’ বলাটাই কি ইহরামে প্রবেশ করার নিয়ত?

উত্তর: হজ বা উমরার কাজে প্রবেশ করার জন্য অন্তরে নিয়ত (ইচ্ছা বা সংকল্প) করে পাঠ করবে: ‘লাব্বাইকা উমরাতান’ আর হজের…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮৩) জনৈক নারী স্বামীর সাথে ঋতু অবস্থাতেই ইহরাম বাঁধে। কিন্তু পবিত্র হওয়ার পর কোনো মাহরাম ছাড়াই সে উমরার কাজ সমাধা করে। কাজ শেষ হলে আবার রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর বিধান কী?

উত্তর: প্রশ্নের ধরনে বুঝা যায় এ নারী মাহরামের সাথে মক্কায় আগমন করেছে। কিন্তু ঋতু অবস্থাতেই সে মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০২) উমরা বা হজকারী যদি দো‘আ না জানে, তবে তাওয়াফ, সা‘ঈ প্রভৃতির সময় কি কোনো বই হাতে নিয়ে দেখে দেখে দো‘আ পাঠ করা জায়েয হবে?

উত্তর: হজ বা উমরাকারী যে সমস্ত দো‘আ জানে এগুলোই তার জন্যে যথেষ্ট। কেননা সাধারণতঃ সে যা জানে তা সে বুঝে।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি কী? উমরা এবং হজের ক্ষেত্রে কখন তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করতে হবে?

উত্তর: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি হচ্ছে নিম্নরূপ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬৩) বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কী?

উত্তর: বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রমকারী দু’প্রকারের লোক হতে পারে: ১। হজ বা উমরা আদায় করার ইচ্ছা করেছে। তাহলে তার ওপর…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮২) নারী বিদায়ী তাওয়াফ করার পূর্বে ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কী?

উত্তর: যদি সে তাওয়াফে ইফাদ্বাসহ হজের যাবতীয় কাজ পূর্ণ করে থাকে এবং শুধুমাত্র বিদায়ী তাওয়াফ বাকী থাকে, তারপর ঋতুবতী হয়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৫০১) জনৈক নারী স্বামীর সাথে তামাত্তু‘ হজ করতে এসেছে। তারা উমরার তাওয়াফ করার সময় ৬ষ্ঠ চক্করে স্বামী বললেন, এটাই সপ্তম চক্কর এবং তিনি নিজ মতের উপর অটল ছিলেন। এখন স্ত্রীর করণীয় কী?

উত্তর: উক্ত নারী যদি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে সে ৬ চক্কর দিয়েছে এবং তাওয়াফ পূর্ণ করে নি। তবে এখন পর্যন্ত…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬২) হজের জন্য মীকাতের স্থানসমূহ কী কী?

উত্তর: হজের জন্য মীকাতের স্থানসমূহ হচ্ছে পাঁচটি: ১) যুল হুলায়ফা ২) জুহ্‌ফা ৩) ইয়ালামলাম ৪) কারণে মানাযেল ৫) যাতু ঈরক্ব।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৮১) ইহরাম অবস্থায় নারী কীভাবে পর্দা করবে? পর্দা মুখ স্পর্শ করতে পারবে না এ রকম কোনো শর্ত আছে কী?

উত্তর: ইহরাম অবস্থায় নারী যদি মাহরাম নয় এমন কোনো পুরুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে বা তার নিকট কোনো পুরুষ অতিক্রম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৭১) কোনো ব্যক্তি যদি হজের মাসে উমরা আদায় করে মদীনা সফর করে, অতঃপর যুলহুলায়ফা থেকে হজের ইহরাম বাঁধে, তবে সে কি তামাত্তু‘কারীরূপে গণ্য হবে?

উত্তর: যখন কিনা এ ব্যক্তি হজের মাসে উমরা সম্পাদন করে এবছরেই হজ আদায় করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করেছে, তখন সে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬১) হজের মাসসমূহ আসার পূর্বে হজের ইহরাম বাঁধার বিধান কী?

উত্তর: হজের মাসসমূহ আসার পূর্বে হজের ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে বিদ্বানগণ মতভেদ করেছেন। কেউ বলেন, এটা বিশুদ্ধ হবে এবং হজের ইহরাম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৬০) হজের মাস কী কী?

উত্তর: হজের সময় শুরু হয় শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং শেষ হয় যিলহজের দশ তারিখে তথা ঈদের দিনে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৯) জনৈক নারীর কথা হচ্ছে, আমি রামদান মাসে উমরা করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। কিন্তু আমার সাথে থাকছে আমার সহদোর বোন, তার স্বামী ও আমার মা। এ উমরায় যাওয়া কি আমার জন্য জায়েয হবে?

উত্তর: এদের সাথে উমরায় যাওয়া আপনার জন্য জায়েয হবেনা; কেননা বোনের স্বামী আপনার মাহরাম নয়। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৮) মাহরাম ছাড়া কোনো নারী যদি হজ সম্পাদন করে, তবে কি তা বিশুদ্ধ হবে? বুদ্ধিমান বালক কি মাহরাম হতে পারে? মাহরাম হওয়ার জন্য কী কী শর্ত আবশ্যক?

উত্তর: তার হজ বিশুদ্ধ হবে। কিন্তু মাহরাম ছাড়া সফর করা হারাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাফরমানী। কেননা তিনি বলেন,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৭) মৃতের পক্ষ থেকে উমরা আদায় করা কি জায়েয?

উত্তর: মৃতের পক্ষ থেকে হজ বা উমরা আদায় করা জায়েয। অনুরূপভাবে তাওয়াফ এবং যাবতীয় নেক আমল তার পক্ষ থেকে আদায়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৬) হজ বা উমরা আদায় করার জন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান করার বিধান কী?

উত্তর: বদলী হজ বা উমরা করার দু’টি অবস্থা: প্রথম অবস্থাঃ তার পক্ষ থেকে ফরয হজ বা উমরা আদায় করবে। দ্বিতীয়…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৫) পুত্র যদি পিতার পক্ষ থেকে হজ বা উমরা সম্পাদন করে, তবে নিজের জন্য দো‘আ করতে পারবে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, সে হজ বা উমরা অবস্থায় নিজের জন্য তার পিতার জন্য এবং সমস্ত মুসলিমদের জন্য দো‘আ করতে পারবে। কেননা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৪) বদলী হজ করার পর যদি কিছু অর্থ থেকে গেলে কি করবে?

উত্তর: বদলী হজ করার জন্য যদি অর্থ নিয়ে থাকে, আর হজ সম্পাদন করার পর কিছু অর্থ তার কাছে রয়ে যায়,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫৩) অতিবৃদ্ধ জনৈক ব্যক্তি উমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছার পর উমরা আদায় করতে অপারগ হয়ে গেছে এখন সে কি করবে?

উত্তর: সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবে, অতঃপর উমরা আদায় করবে। কিন্তু যদি ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করে থাকে,…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫২) মায়ের পক্ষ থেকে হজ সম্পাদন করার জন্য জনৈক লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পরে জানা গেল এ লোক আরো কয়েকজনের হজ আদায় করার দায়িত্ব নিয়েছে। এ সময় করণীয় কী? এ লোকের বিধান কী?

উত্তর: প্রত্যেক মানুষের উচিৎ হচ্ছে, যে কোনো কাজ করার পূর্বে বিচার বিশ্লেষণ ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া। ধর্মীয় দিক থেকে নির্ভরযোগ্য…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫১) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির কি হজ করা আবশ্যক?

উত্তর: মানুষের ওপর যদি এমন ঋণ থাকে যা পরিশোধ করার জন্য তার সমস্ত সম্পদ দরকার, তবে তার ওপর হজ ফরয…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৫০) ব্যাপকভাবে দেখা যায় অনেক মুসলিম বিশেষ করে অনেক যুবক ফরয হজ আদায় করার ব্যাপারে শীথিলতা প্রদর্শন করে। এ বছর নয় ঐ বছর এভাবে বিলম্ব করে। কখনো কর্ম ব্যস্ততার ওযর পেশ করে। এদেরকে আপনার নসীহত কী? কখনো দেখা যায় কোনো কোনো পিতা যুবক ছেলেদেরকে ফরয হজ আদায় করতে বাধা দেয় এ যুক্তিতে যে, এখনো তাদের বয়স হয় নি, হজের ক্লান্তি সহ্য করতে পারবে না। অথচ হজের পূর্ণ শর্ত তাদের মধ্যে পাওয়া যায়। পিতার এ কাজের বিধান কী? এ ধরনের পিতার আনুগত্য করার বিধান কী?

উত্তর: এ কথা সর্বজন বিদিত যে, হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুকন এবং বিরাট একটি ভিত্তি। হজের শর্ত পাওয়া গেলে হজ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৪০) শাওয়ালের ছয়টি সাওম পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি কী?

উত্তর: শাওয়ালের ছয়টি সাওম পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, ঈদের পর পরই উহা আদায় করা এবং পরস্পর আদায় করা।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৪৯) বে-নামাযীর হজের বিধান কী? যদি এ ব্যক্তি তাওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে?

উত্তর: সালাত পরিত্যাগ করা কুফুরী। সালাত ছেড়ে দিলে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। একথার…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৩০) এয়ারপোর্টে থাকাবস্থায় সূর্য অস্ত গেছে মুআয্যিন আযান দিয়েছে, ইফতারও করে নিয়েছে। কিন্তু বিমানে চড়ে উপরে গিয়ে সূর্য দেখতে পেল। এখন কি পানাহার বন্ধ করতে হবে?

উত্তর: খানা-পিনা বন্ধ করা অবশ্যক নয়। কেননা যমীনে থাকাবস্থায় ইফতারের সময় হয়ে গেছে সূর্যও ডুবে গেছে। সুতরাং ইফতার করতে বাধা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৩৯) রামাযানের সাওম বাকী থাকাবস্থায় পরবর্তী রামাযান এসে গেলে কি করবে?

উত্তর: একথা সবার জানা যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪২০) সাওম আদায়কারী হস্ত মৈথুন করলে কি সাওম ভঙ্গ হবে? তাকে কি কোনো কাফফারা দিতে হবে?

উত্তর: সাওম আদায়কারী হস্ত মৈথুন করে যদি বীর্যপাত করে তবে তার সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে। দিনের বাকী অংশ তাকে সিয়াম…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪২৯) রামাযানের কোনো কোনো ক্যালেন্ডারে দেখা যায় সাহুরের জন্য শেষ টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তার প্রায় দশ/পনর মিনিট পর ফজরের টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্নাতে কি এর পক্ষে কোনো দলীল আছে নাকি এটা বিদ‘আত?

উত্তর: নিঃসন্দেহে এটি বিদ‘আত। সুন্নাতে নববীতে এর কোনো প্রমাণ নেই। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সম্মানিত কিতাবে বলেন, وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৪৮) ই‘তিকাফ এবং ই‘তিকাফকারীর বিধান কী?

উত্তর: ই‘তিকাফ হচ্ছে নিঃসঙ্গ অবস্থায় আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য মসজিদে অবস্থান করা। লায়লাতুল কদর অনুসন্ধান করার জন্য ই‘তিকাফ করা সুন্নাত।…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৩৮) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি রামাযানে সাওম কাযা করেছে। কিন্তু পরবর্তী মাস শুরু হওয়ার চারদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। তার পক্ষ থেকে কি কাযা সাওমগুলো আদায় করতে হবে?

উত্তর: তার এ অসুখ যদি চলতেই থাকে সুস্থ না হয় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়, তবে তার পক্ষ থেকে কাযা…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪১৯) সাওম রেখে রক্ত পরীক্ষা (Blood test) করার জন্য রক্ত প্রদান করার বিধান কী? এতে কি সাওম নষ্ট হবে।

উত্তর: ব্লাড টেষ্ট করার জন্য রক্ত বের করলে সাওম ভঙ্গ হবে না। কেননা ডাক্তার অসুস্থ ব্যক্তির চেক আপ করার জন্য…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৪৭) কোনো মানুষ যদি নফল সিয়াম ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কি গুনাহগার হবে? যদি সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে, তবে কি কাফফারা দিতে হবে?

উত্তর: কোনো মানুষ নফল সাওম রেখে যদি পানাহার বা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কোনো গুনাহ্ নেই। নফল…

আরও পড়ুন ➲

প্রশ্ন: (৪৩৭) সিয়াম কাযা থাকলে শাওয়ালের ছয়টি সাওম রাখার বিধান কী?

উত্তর: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْرَ» “যে ব্যক্তি রামাযানের…

আরও পড়ুন ➲
Back to top button