প্রশ্নঃ কখন মিথ্যা বলা বৈধ?
উত্তরঃ যেসব ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা বৈধঃ
উম্মে কুল্সূম বিন্তে ’উক্ববাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِيْ يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، وَيَقُوْلُ خَيْرًا وَيَنْمِيْ خَيْرًا.
‘‘সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয় যে মানুষের পরস্পর বিরোধ মীমাংসা করে এবং সে উক্ত উদ্দেশ্যেই ভালো কথা বলে এবং তা বানিয়ে বলে’’।
(বুখারী ২৬৯২; মুসলিম ২৬০৫)
উম্মে কুল্সূম বিন্তে ’উক্ববাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধুমাত্র তিনটি ব্যাপারেই মিথ্যা বলার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলতেন:
لَا أَعُدُّهُ كَاذِبًا : الرَّجُلُ يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ، يَقُوْلُ الْقَوْلَ وَلَا يُرِيْدُ بِهِ إِلاَّ الْإِصْلَاحَ، وَالرَّجُلُ يَقُوْلُ فِيْ الْـحَرْبِ، وَالرَّجُلُ يُحَدِّثُ اِمْرَأَتَهُ، وَالْـمَرْأَةُ تُحَدِّثُ زَوْجَهَا.
‘‘আমি মিথ্যা মনে করি না যে, কোন ব্যক্তি মানুষের পরস্পর বিরোধ মীমাংসার জন্য কোন কথা বানিয়ে বলবে। তার উদ্দেশ্য কেবল বিরোধ মীমাংসাই। অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি শত্রু পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধে জেতার জন্য কোন কথা বানিয়ে বলবে। তেমনিভাবে কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীর সঙ্গে এবং কোন মহিলা নিজ স্বামীর সঙ্গে কোন কথা বানিয়ে বলবে’’।
(আবূ দাউদ ৪৯২১)
ইব্নু শিহাব যুহ্রী বলেন: আমার শুনাজানা মতে তিন জায়গায়ই মিথ্যা কথা বলা যায়। আর তা হচ্ছে যুদ্ধ, মানুষের পরস্পর বিরোধ মীমাংসা এবং স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর কথা।
🖋 তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় সত্যকথা ছাড়া এই সুন্দর আল্লাহর দেয়া নেয়ামত মুখে মিথ্যাকথা বলে নিজেকে কুলষিত যেন না করি। সত্যবাদীই হোক আমাদের পরিচয়।