জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(রাত্রে ঘুমাবার আগে) তোমরা পাত্র ঢেকে দাও, পানির…
আরও পড়ুন ➲আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং…
আরও পড়ুন ➲জারীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (অপরিচিত নারীর প্রতি) হটাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি।…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: দুই প্রকার জাহান্নামী আমি (এখন পর্যন্ত) প্রত্যক্ষ করি নি (অর্থাৎ আমার পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে): (১) এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে। (২) এমন এক শ্রেণির মহিলা, যারা (এমন নগ্ন) পোশাক পরবে যে, (বাস্তবে) উলঙ্গ থাকবে, (পর পুরুষকে) নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও (পর পুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মতো। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি (এখন পর্যন্ত)…
আরও পড়ুন ➲আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কী…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার করা হবে, সে হচ্ছে এমন একজন যে শহীদ হয়েছিল। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং আল্লাহ তার নি‘আমত রাশির কথা তাকে বলবেন এবং সে তার সবটাই চিনতে পারবে (যথারীতি তার স্বীকারোক্তিও করবে)। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, এর বিনিময়ে কী আমল করেছিলে? সে বলবে, আমি আপনারই পথে যুদ্ধ করেছি; এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যার বিচার…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: আল্লাহ আদম সন্তানের যিনার যে অংশ নির্ধারিত করেছেন, তা সে অবশ্যই করবে। আর দু’চোখের যিনা হলো দৃষ্টিপাত করা, কানের যিনা শ্রবণ করা, জিহ্বার যিনা কথোপকথন, হাতের যিনা স্পর্শ করা, পায়ের যিনা হেঁটে যাওয়া, অন্তরের যিনা আকাংখা ও কামনা করা। আর লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে কিংবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, “আল্লাহ আদম সন্তানের যিনার যে অংশ নির্ধারিত করেছেন, তা সে অবশ্যই করবে।…
আরও পড়ুন ➲আবূ তালহা যায়েদ ইবন সাহল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (বাড়ির সামনের খোলা) আঙিনায় বসে কথাবার্তা বলছিলাম। তখন…
আরও পড়ুন ➲ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছাড়াই নিজের গোলামকে মারধর করে…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে রোদে দাঁড় করিয়ে তাদের মাথার উপর তেল ঢেলে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘ব্যাপার কী?’ বলা হল, ‘ওদেরকে জমির কর (আদায় না দেওয়ার) জন্য সাজা দেওয়া হচ্ছে।’ অন্য বর্ণনায় আছে যে, ‘রাজস্ব (আদায় না করার) কারণে ওদেরকে বন্দী করা হয়েছে।’ হিশাম বললেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহ তা‘আলা সে সব লোকেদেরকে কষ্ট দেবেন, যারা লোকেদেরকে দুনিয়ায় কষ্ট দেয়।” অতঃপর হিশাম আমীরের নিকট গিয়ে এ হাদীসটি শুনালেন। তিনি তাদের সম্পর্কে নির্দেশ জারি করলেন এবং তাদেরকে মুক্ত ক’রে দিলেন। হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। ‘আন্বাত’ হচ্ছে অনারবী কৃষক।
হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, সিরিয়ায় এমন কিছু চাষী লোকের নিকট দিয়ে তাঁর যাত্রা হচ্ছিল, যাদেরকে…
আরও পড়ুন ➲আবূ খিরাশ হাদরাদ ইবন আবূ হাদরাদ আসলামী থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি তার কোনো (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে বছরব্যাপী…
আরও পড়ুন ➲জাবির রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে যে, আরব উপদ্বীপে সালাত আদায়কারীরা তার ইবাদত করবে,…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন মুসলিমের জন্য এ কাজ বৈধ নয়…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কু-বাক্য উচ্চারণ করে,…
আরও পড়ুন ➲আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোনো মুসলিমের তিনটি নাবালক সন্তান মারা যাবে, তাকে আল্লাহ…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি (গর্বভরে) বলে, লোকেরা ধ্বংস হয়ে গেল, সেই…
আরও পড়ুন ➲আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত…
আরও পড়ুন ➲মু‘আওয়িয়াহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যদি তুমি মুসলিমদের গুপ্ত…
আরও পড়ুন ➲1: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া যে সব মূর্তি ও কবরসমূহের পুজা করা হয়, তা অস্বীকার করা। 2:…
আরও পড়ুন ➲নাফে‘ রহ. থেকে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রথম স্তরের মুহাজিরদের জন্য বাৎসরিক চার হাজার দিরহাম ধার্য করলেন এবং…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যার বিপরীত বলি তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর। (সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি উত্তর দিলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা ‘মুনাফিককী’ আচরণ বলে গণ্য করতাম।”
মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: ‘হে আমীরুল মু’মেনীন! আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীকে বলেন, “তুমি ক্ষমাশীলতার পথ অবলম্বন কর। ভাল কাজের আদেশ প্রদান কর এবং মূর্খদিগকে পরিহার করে চল।” (সূরা আল আ’রাফ, আয়াত: ১৯৮) আর এ একজন মূর্খ।’ আল্লাহর কসম! যখন তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন, তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একটুকুও আগে বাড়লেন না। আর তিনি আল্লাহর কিতাবের কাছে (অর্থাৎ, তাঁর নির্দেশ শুনে) সাথে সাথে থেমে যেতেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন যে, উয়াইনাহ ইবনে হিসন এলেন এবং তাঁর ভাতিজা হুর ইবনে কাইসের কাছে অবস্থান…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: “আর যে কেউ রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট আনুগত্যের বাই‘আত করলো এবং তার হাতে হাত রাখলো ও নিজের অন্তরের একনিষ্ঠতা তাকে দিয়ে দিল, তার উচিত হবে যথাসম্ভব রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করা। অতঃপর অন্য কোনো ব্যক্তি যদি তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে আসে, তবে তোমরা দ্বিতীয় সে ব্যক্তির গর্দান উড়িয়ে দিবে।”
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কোনো এক সফরে ছিলাম। অতঃপর (বিশ্রামের জন্য) কোনো…
আরও পড়ুন ➲আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: পুলসিরাত জাহান্নামের দু’ তীরের মাঝে স্থাপন করা হবে। তাতে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাঁটা সদৃশ কাঁটাসমূহ। লোকজন তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। কতক মুসলিম নিরাপদে তার উপর দিয়ে অতিক্রম করবে, কতক কাঁটার আঁচড় খেয়ে, কতক কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে থাকার পর নাজাত পাবে এবং কতক মুখ থুবড়ে জাহান্নামের তলদেশে নিক্ষিপ্ত হবে।
আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, পুলসিরাত জাহান্নামের দু’ তীরের মাঝে স্থাপন করা হবে। তাতে থাকবে সাদান…
আরও পড়ুন ➲ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় আত্মীয়তার সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা রহমানের কোমরকে আঁকড়ে ধরে থাকে।…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ সকল কিছুকে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর যখন…
আরও পড়ুন ➲উক্ত বর্ণনাকারী থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(শামের) সাইহান ও জাইহান, (ইরাকের) ফুরাত এবং…
আরও পড়ুন ➲আবূ উমামা আল-বাহিলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন) “আমার মহান রব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন…
আরও পড়ুন ➲আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ফিরিশতাদেরকে আলো থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জিন জাতিকে…
আরও পড়ুন ➲আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও…
আরও পড়ুন ➲উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, যে ব্যক্তি তাবীজ ঝুলালো আল্লাহ তার কর্মসমূহ পূর্ণ করবেন না। আর…
আরও পড়ুন ➲রুয়াইফা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে রুওয়াফা, হতে পারে তোমার হায়াত দীর্ঘ হবে। তুমি…
আরও পড়ুন ➲আব্দুল্লাহ ইবন উকাইম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি কোনো কিছু ঝুলালো তাকে তার দিকে সপর্দ করা হবে।”…
আরও পড়ুন ➲আবূ বাশীর আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “কোনো এক সফরে তিনি রাসূলুল্লাহর সাথে ছিলেন। তিনি একজন বার্তাবাহককে পাঠালেন যে, কোনো…
আরও পড়ুন ➲আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো;…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ঈমানের সত্তর ও আরও কিছু অথবা ষাট ও আরও…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সোনা ও চাঁদির অধিকারী ব্যক্তি যে…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসেছিলাম। দলের ভেতর আমাদের সাথে অন্যান্য সাহাবীসহ আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ছিলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝ থেকে উঠে (বাইরে) চলে গেলেন ও আমাদের কাছে ফিরে আসতে দেরী করলেন। আমাদের আশংকা হল যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে তিনি (শত্রু) কবলিত না হন। এ দুশ্চিন্তায় আমরা ঘাবড়ে গেলাম এবং উঠে পড়লাম। তাদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত আমি আনসারদের বনূ নাজ্জারের একটি বাগানে পৌঁছে তার চতুর্দিকে ঘুরতে লাগলাম, যদি কোনো (প্রবেশ) দরজা পাই। কিন্তু তার কোনো (প্রবেশ) দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখলাম বাইরের একটি কুয়া থেকে সরু নালা ঐ বাগানের ভিতরে চলে গেছে। আমি সেখান দিয়ে জড়সড় হয়ে বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। (দেখলাম,) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত। তিনি বলে উঠলেন, “আবূ হুরায়রা?” আমি বললাম, ‘জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, “কী ব্যাপার তোমার?” আমি বললাম, ‘আপনি আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অকস্মাৎ উঠে বাইরে এলেন। তারপর আপনার ফিরতে দেরি দেখে আমরা এই দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে হয়তো আপনি (শত্রু) কবলিত হয়ে পড়বেন। যার ফলে আমরা সকলে ঘাবড়ে উঠলাম। সর্বপ্রথম আমিই বিচলিত হয়ে উঠে এই বাগানে এসে জড়সড় হয়ে শিয়ালের মত ঢুকে পড়লাম। আর সব লোক আমার পিছনে আসছে।’ তিনি আমাকে সম্বোধন করে তাঁর জুতা জোড়া দিয়ে বললেন, “আবূ হুরায়রা! আমার এ জুতো জোড়া সঙ্গে নিয়ে যাও এবং এ বাগানের বাইরে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পাঠকারী যে কোনো ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।” অতঃপর সুদীর্ঘ হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসেছিলাম। দলের ভেতর আমাদের সাথে…
আরও পড়ুন ➲আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে একজন ইয়াহূদী অথবা খ্রিষ্টানকে দিয়ে বলবেন,…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ সুতরাং জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন, কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তার জন্যে গ্রহণযোগ্যতা রাখা হয়।” মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি অমুককে ভালোবাসি, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ তখন জিবরীলও তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন। কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘আমি অমুককে ঘৃণা করি, অতএব তুমিও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন জিবরীল তাকে ঘৃণা করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ‘আল্লাহ অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেন। কাজেই তোমরাও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন আকাশবাসীরাও তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অতঃপর যমীনের বুকেও তাকে ঘৃণ্য করা হয়।
আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালোবাস।’ সুতরাং জিবরীলও…
আরও পড়ুন ➲আনাস বিন মালিক ও আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার রব থেকে বর্ণনা করেন,…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?’’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: “তাঁর শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, জান্নাতবাসীদের অর্ধেক তোমরাই হবে। এটা এ জন্য যে, শুধুমাত্র মুসলিম প্রাণ ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমরা এরূপ, যেরূপ কালো বলদের গায়ে (একটি) সাদা লোম অথবা লাল বলদের গায়ে (একটি) কালো লোম।”
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ জন মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে একটি তাঁবুতে…
আরও পড়ুন ➲ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে পিতলের বালা দেখে জিজ্ঞেস…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: ১৮০৮- নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি স্বর নিম্ন ও উচ্চ করলেন যে, আমরা তাকে সামনের কয়েকটি খেজুর গাছের মধ্যেই ভাবলাম। আমরা যখন তাঁর নিকট গেলাম, তিনি আমাদের মধ্যে তার (উদ্বিগ্নতার) আলামত দেখতে পেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে স্বর নিম্ন ও উচ্চ করলেন, যার ফলে আমরা ধারণা করে বসি যে, সে যেন খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে।’ তিনি বললেন, ‘দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের ব্যাপারে অন্য জিনিসকে আমার আরও বেশী ভয় হয়। আমি তোমাদের মাঝে থাকাকালে দাজ্জাল যদি বের হয়, তাহলে আমি স্বয়ং তোমাদের পক্ষ থেকে তাকে প্রতিরোধ করব। আর যদি সে বের হয় এবং আমি তোমাদের মাঝে না থাকি, তাহলে [তোমরা] প্রত্যেক ব্যক্তি নিজকে রক্ষা করবে। আর আল্লাহ স্বয়ং প্রতিটি মুসলমানের জন্য [আমার] প্রতিনিধিত্ব করবেন। দাজ্জাল হবে যুবক, তার মাথার কেশরাশি হবে খুব বেশি কোঁচকানো। তার একটি চোখ [আঙ্গুরের ন্যায়] ফোলা থাকবে। যেন সে আব্দুল উয্যা ইবনে ক্বাত্বানের মত দেখতে হবে। সুতরাং তোমাদের যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন তার সামনে সূরা কাহ্ফের শুরুর [দশ পর্যন্ত] আয়াতগুলি পড়ে। সে শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে আবির্ভূত হবে। আর তার ডাইনে-বামে [এদিকে ওদিকে] ফিতনা ছড়াবে। হে আল্লাহর বান্দারা। [ঐ সময়] তোমরা অবিচল থাকবে।’ আমরা বললাম, ‘পৃথিবীতে তার অবস্থান কতদিন থাকবে?’ তিনি বললেন, ‘চল্লিশ দিন। একটি দিন এক বছরের সমান দীর্ঘ হবে। একটি দিন হবে এক মাসের সমান লম্বা। একটা দিন এক সপ্তাহের সমান হবে এবং বাকি দিনগুলি প্রায় তোমাদের দিনগুলির সম পরিমাণ হবে।’ আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! যেদিনটি এক বছরের সমান লম্বা হবে, তাতে আমাদের একদিনের [পাঁচ ওয়াক্তের] নামাযই কি যথেষ্ট হবে?’ তিনি বললেন, ‘‘তোমরা [দিন রাতের ২৪ ঘণ্টা হিসাবে] অনুমান করে নামায আদায় করতে থাকবে।’ আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ভূপৃষ্ঠে তার দ্রুত গতির অবস্থা কিরূপ হবে? তিনি বললেন, তীব্র বায়ু তাড়িত মেঘের ন্যায় [দ্রুত বেগে ভ্রমণ করে অশান্তি ও বিপর্যয় ছড়াবে।] সুতরাং সে কিছু লোকের নিকট আসবে ও তাদেরকে তার দিকে আহ্বান জানাবে এবং তারা তার প্রতি ঈমান আনবে ও তার আদেশ পালন করবে। সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণ করতে আদেশ করবে, আকাশ আদেশক্রমে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। আর জমিনকে [গাছ-পালা] উদ্গত করার নির্দেশ দেবে। জমিন তার নির্দেশক্রমে তাই উদ্গত করবে। সুতরাং [সে সব গাছ-পালা ভক্ষণ করে] সন্ধ্যায় তাদের গবাদি পশুদের কুঁজ [ও ঝুঁটি] অধিক উঁচু হবে ও তাদের পালানে অধিক পরিমাণে দুধ ভরে থাকবে। উদর পূর্ণ আহার জনিত তাদের পেট টান হয়ে থাকবে। অতঃপর দাজ্জাল [অন্য] লোকের নিকট যাবে ও তার দিকে [আসার জন্য] তাদেরকে আহ্বান জানাবে। তারা কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেবে না। ফলে সে তাদের নিকট থেকে ফিরে যাবে। সে সময় তারা চরম দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে পড়বে ও সর্বস্বান্ত হবে। তারপর সে কোন প্রাচীন ধ্বংসস্তূপের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় সেটাকে সম্বোধন করে বলবে, ‘তুই তোর গচ্ছিত রত্নভাণ্ডার বের করে দে।’ তখন সেখানকার গুপ্ত রত্নভাণ্ডার মৌমাছিদের নিজ রাণী মৌমাছির অনুসরণ করার মতো [মাটি থেকে বেরিয়ে] তার পিছন ধরবে। তারপর এক পূর্ণ যুবককে ডেকে তাকে অস্ত্রাঘাতে দ্বিখণ্ডিত করে তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যমাত্রার দূরত্বে নিক্ষেপ করে দেবে। তারপর তাকে ডাক দেবে। আর সে উজ্জ্বল সহাস্য-বদনে তার দিকে [অক্ষত শরীরে] এগিয়ে আসবে। দাজ্জাল এরূপ কর্ম-কাণ্ডে মগ্ন থাকবে। ইত্যবসরে মহান আল্লাহ তা’আলা মসীহ বিন মারয়্যাম আলাইহিস সালাম-কে পৃথিবীতে পাঠাবেন। তিনি দামেস্কের পূর্বে অবস্থিত শেবত মিনারের নিকট অর্স ও জাফরান মিশ্রিত রঙের দুই বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় দু’জন ফিরিশ্তার ডানাতে হাত রেখে অবতরণ করবেন। তিনি যখন মাথা নিচু করবেন, তখন মাথা থেকে বিন্দু বিন্দু পানি ঝরবে এবং যখন মাথা উঁচু করবেন, তখনও মতির আকারে তা গড়িয়ে পড়বে। যে কাফেরই তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের নাগালে আসবে, সে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারাবে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টি যত দূর যাবে, তত দূর পৌঁছবে। অতঃপর তিনি দাজ্জালের সন্ধান চালাবেন। শেষ পর্যন্ত [জেরুজালেমের] ‘লুদ’ প্রবেশ দ্বারে তাকে ধরে ফেলবেন এবং অনতিবিলম্বে তাকে হত্যা করে দেবেন। তারপর ঈসা আলাইহিস সালাম এমন এক জনগোষ্ঠীর নিকট আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা দাজ্জালের চক্রান্ত ও ফিতনা থেকে মুক্ত রেখেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বোলাবেন [বিপদমুক্ত করবেন] এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদাসমূহ সম্পর্কে তাদেরকে জানাবেন। এসব কাজে তিনি ব্যস্ত থাকবেন এমন সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট অহি পাঠাবেন যে, ‘‘আমি আমার কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে কারো লড়ার ক্ষমতা নেই। সুতরাং তুমি আমার প্রিয় বান্দাদের নিয়ে ‘ত্বূর’ পর্বতে আশ্রয় নাও।’ আল্লাহ তা’আলা য়্যা’জুজ-মা’জুজ জাতিকে পাঠাবেন। তারা প্রত্যেক উচ্চস্থান থেকে দ্রুত বেগে ছুটে যাবে। তাদের প্রথম দলটি ত্বাবারী হ্রদ পার হবার সময় তার সম্পূর্ণ পানি এমনভাবে পান করে ফেলবে যে, তাদের সর্বশেষ দলটি সেখান দিয়ে পার হবার সময় বলবে, এখানে এক সময় পানি ছিল। আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাছে একটি গরুর মাথা, বর্তমানে তোমাদের একশ’টি স্বর্ণমুদ্রা অপেক্ষা অধিক উত্তম হবে। সুতরাং আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের [য়্যা’জূজ-মা’জূজ জাতির] ঘাড়সমূহে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন। যার শিকারে পরিণত হয়ে তারা এক সঙ্গে সবাই মারা যাবে। তারপর আল্লাহ তা’আলার নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীগণ নিচে নেমে আসবেন। তারপর [এমন অবস্থা ঘটবে যে,] সেই অঞ্চল তাদের মৃতদেহ ও দুর্গন্ধে ভরে থাকবে; এক বিঘত জায়গাও তা থেকে খালি থাকবে না। সুতরাং ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। ফলে তিনি বুখতী উটের ঘাড়ের ন্যায় বৃহদকায় এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। তারা উক্ত লাশগুলিকে তুলে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ যেখানে চাইবেন সেখানে নিয়ে গিয়ে নিক্ষেপ করবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা এমন প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যে, কোন ঘর ও শিবির বাদ পড়বে না। সুতরাং সমস্ত জমিন ধুয়ে মসৃণ পাথরের ন্যায় অথবা স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর জমিনকে আদেশ করা হবে যে, ‘তুমি আপন ফল-মূল যথারীতি উৎপন্ন কর ও নিজ বরকত পুনরায় ফিরিয়ে আন।’ সুতরাং [বরকতের এত ছড়াছড়ি হবে যে,] একদল লোক একটি মাত্র ডালিম ফল ভক্ষণ করে পরিতৃপ্ত হবে এবং তার খোসার নীচে ছায়া অবলম্বন করবে। পশুর দুধে এত প্রাচুর্য প্রদান করা হবে যে, একটি মাত্র দুগ্ধবতী উটনী একটি সম্প্রদায়ের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুগ্ধবতী গাভী একটি গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে। আর একটি দুগ্ধবতী ছাগী কয়েকটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে। তারা ঐ অবস্থায় থাকবে, এমন সময় আল্লাহ তা’আলা এক প্রকার পবিত্র বাতাস পাঠাবেন, যা তাদের বগলের নীচে দিয়ে প্রবাহিত হবে। ফলে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জীবন হরণ করবে। তারপর স্রেফ দুর্বৃত্ত ও অসৎ মানুষজন বেঁচে থাকবে, যারা এই ধরার বুকে গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে লোকচক্ষুর সামনে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। সুতরাং এদের উপরেই সংঘটিত হবে মহাপ্রলয় [কিয়ামত]।’
নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “কোনো মুসলিম যখন সালাত ও যিকিরের জন্যে মসজিদকে অবস্থান করে, তখন আল্লাহ…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: যে আমার কোনো অলীর সাথে শত্রুতা করবে, আমি তার সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছি। আর আমি বান্দার ওপর যা ফরয করেছি তার চেয়ে প্রিয় কোনো জিনিস নেই যার দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করবে, আর বান্দা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে, এক সময় আমি তাকে মহব্বত করি।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: যে আমার কোনো অলীর সাথে শত্রুতা করবে, আমি…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাহ বলেছেন, “মানুষের মধ্যে দু’টি স্বভাব আছে: সে দু’টি স্বভাবে তাদের ভেতর কুফুরী।…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভালো কাজ করা, খারাপ কাজ ত্যাগ করা ও মিসকিনদের ভালোবাসা প্রার্থনা করছি। আরো প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে ক্ষমা ও রহম করুন। আর যদি কোনো কওমকে ফেতনায় ফেলতে চান, আমাকে ফিতনা ছাড়াই মৃত্যু দান করুন এবং আপনার ভালোবাসা, যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসা এবং এমন আমলের তাওফিক প্রার্থনা করছি, যা আপনার ভালোবাসার দিকে নিয়ে যায়।
মুয়ায বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক দিন সকালে ফজরের সালাতে আমাদের থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: একজন ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ, আল্লাহ আসমানসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, যমীনসমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, পাহাড়সমূহকে এক আঙ্গুলের ওপর ধরে রাখবেন, গাছ-পালাকে এক আঙ্গুলের উপর ধরে রাখবেন এবং সমগ্র মাখলুককে আঙ্গুলের উপর ধরে রাখবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমি বাদশাহ।
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফ‘ হিসেবে বর্ণিত, একজন ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওায়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ,…
আরও পড়ুন ➲আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে শাস্তি দিতে চান, তখন শাস্তি তাদেরকেও স্পর্শ…
আরও পড়ুন ➲ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত: “কুরসী দুই পায়ের স্থান আর আরশ, তার পরিমাণ নির্ধারণে কেউ সক্ষম নয়।”…
আরও পড়ুন ➲মারসাদ আল-গানাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কবরের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করো না…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: আল্লাহ তা‘আলা রেহেমের (মাতৃগর্ভের জন্যে একজন মালাইকাহ নির্ধারণ করেছেন। তিনি (পর্যায়ক্রমে) বলতে থাকেন, হে রব! এখন বীর্য-আকৃতিতে আছে। হে রব! এখন জমাট রক্তে পরিণত হয়েছে। হে রব! এখন মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন জিজ্ঞেস করেন, পুরুষ, না স্ত্রী? সৌভাগ্যবান, না দুর্ভাগা? রিযিক ও বয়স কত? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তার মাতৃগর্ভে থাকতেই তা লিখে দেওয়া হয়।”
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা মাতৃগর্ভের জন্যে…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, اللهم رب هذه الدعوة التامة, والصلاة القائمة, آت محمدا الوسيلة والفضيلة, وابعثه مقاما محمودا الذي وعدته “হে আল্লাহ এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই রব! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ও মর্যাদা দান করো এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছো। তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ অনিবার্য হয়ে যাবে।”
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, হে আল্লাহ…
আরও পড়ুন ➲মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করছিলাম।…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: “তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার রবের সাথে কানে কানে (ফিসফিস ক’রে কথা) বলে। আর তার রব তার ও কেবলার মধ্যস্থলে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কেবলার দিকে থুথু না ফেলে; বরং তার বামে অথবা পদতলে ফেলে। অতঃপর তিনি তাঁর চাদরের এক প্রান্ত ধরে তাতে থুথু নিক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি তার এক অংশকে আর এক অংশের সাথে রগড়ে দিয়ে বললেন, কিংবা এইরূপ করে।”
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার (দিকের দেওয়ালে) থুথু দেখতে পেলেন এটা তাঁর প্রতি খুব ভারী…
আরও পড়ুন ➲‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু `আনহা হতে বর্ণিত, উম্মু সালামাহ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তার হাবাশায় দেখা ‘মারিয়া’ নামক একটি গীর্জার…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রাতের শেষ তৃতীয়াংশে বাকী থাকতে প্রতি রাতে আমাদের বরকতময়…
আরও পড়ুন ➲হাদীস: হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে আদম…
আরও পড়ুন ➲উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী এল। তিনি দেখলেন যে, বন্দীদের…
আরও পড়ুন ➲আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারপাশে বসা ছিলাম। আমাদের সাথে অন্যান্য…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : বাচ্চা জন্ম দেয়ার পূর্বেই সতর্ক থাকতে হবে কুকুর যেন বাসাবাড়ীতে স্থান না পায়। তারপরও বাচ্চা জন্ম দিলে সেই…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : রুচি হলে কুচা ও কাঁকড়া খাওয়া যাবে। সামুদ্রিক প্রাণী যা পানিতে থাকে, তা কাঁকড়া হোক বা অন্য প্রাণী…
আরও পড়ুন ➲প্রশ্ন: মাওলানা আবু তাহের বর্ধমানী রচিত ‘কাট হুজ্জতির জওবাব’ বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আহলেহাদীছগণ আমলনামাসহ উপস্থিত হবেন। তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা আহলেহাদীছ বেহেশতে প্রবেশ কর’ (ত্বাবারাণী, আল-ক্বাওলুল বাদী, পৃ. ১৮৯)। উক্ত হাদীছটি কি সঠিক?
উত্তর : বর্ণনাটি মাওযূ‘ বা বানাওয়াট (তাদরীবুর রাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৫; মুহাম্মাদ ইবনু মুকাররম ইবনু মানযূর আল-আফরীক্বী আল-মিছরী, মুখতাছার…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : সমাজে বহু মসজিদ আছে এবং বর্তমানেও অনেক মসজিদ তৈরি হচ্ছে, যেগুলোতে কাতারের মাঝে পিলার দেয়া হচ্ছে। কোন কোন…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : এটা নিষিদ্ধ ও হারাম। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা লা‘নত করেছেন ঐ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : যেসকল ছালাতে একটি তাশাহ্হুদ যেমন ফজরের ছালাত, সে ছালাতের শেষ বৈঠকে বসা নিয়ে মুহাদ্দিছগণের মাঝে দুই ধরনের মত…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : শয়তানী ওয়াসওয়াসায় তাক্বদীর সম্পর্কে মনে কু-চিন্তার উদয় হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আদম সন্তানের অন্তরসমূহ আল্লাহ্র…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : হাদীছে কোন নির্দিষ্ট দূরত্বের কথা নেই। এক হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিন মাইল কিংবা তিন…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : যারা দুই ঈদ, জুমু‘আ কিংবা মাঝে মাঝে ছালাত আদায় করে তারা মূলত মানুষকে দেখানোর জন্য ছালাত পড়ে থাকে।…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : জাহান্নামের সাতটি স্তর রয়েছে, যা একটির পর একটি স্থাপিত। প্রত্যেক জাহান্নামীর জন্য তার নিজ নিজ অপরাধ অনুযায়ী নির্দিষ্ট…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : হিশাম ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَوْمَ أُحُدٍ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : অমুসলিম, কাফির ইহুদী-খ্রিষ্টানরা যেসমস্ত কাজ করে তা তিন ভাগে বিভক্ত। ইবাদত, অভ্যাস এবং কারিগরি ও শিল্পকলা। তন্মধ্যে ইবাদতের…
আরও পড়ুন ➲প্রশ্ন: জনৈক আলেম তার বক্তব্যে বলেন, কোন সদাচরণকারী সন্তান যদি তার পিতা-মাতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকায়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার ‘আমল-নামায় একটি ‘কবুল হজ্জ’ তথা কবুলযোগ্য হজ্জের ছওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। এমনকি দৈনিক একশ’বার তাকালেও। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক!
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৪৭৫)। এর সনদে নাহশাল ইবনু সাঈদ নামে মিথ্যুক রাবী আছে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিতদের কিছু করণীয় রয়েছে। যেমন, (১) দু‘আ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। রাসূলুল্লাহ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : বাজনাযুক্ত যেকোন গান শুনা হারাম। এজন্য তওবাহ না করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : এগুলো করার জন্য মৃত ব্যক্তি যদি কোন নির্দেশ না দিয়ে যায়, তাহলে এজন্য তিনি ছাড় পাবেন। যারা এগুলোর…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : তাশাহ্হুদ পড়ার পর থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত কিংবা শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : উক্ত ধারণা সঠিক নয়। তবে এ মর্মে একটি হাদীছ রয়েছে। যেমন ‘ফজরের ছালাতের পর কোন ছালাত নেই, যতক্ষণ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : তাবীয কোন সময়ই ব্যবহার করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর স্ত্রী যয়নাব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমার…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : পুরুষের জন্য সোনা ব্যবহার করা স্পষ্ট হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক পুরুষ ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (ইবনু মাজাহ, হা/১০৮০, সনদ ছহীহ)। আর যে শিরক করে মারা যাবে রাসূলুল্লাহ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : বর্তমানে কাগজে লিখা কুরআনের যে কপি পাওয়া যায় তা মানুষই তৈরি করে। তাই তা পুরাতনও হবে এবং তা…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : পারবে (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৬, ৫৯৮)। প্রথমতঃ এমনটা যেন না হয় সেটাই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আছর ছালাতের ব্যাপারে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : যেকোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ দিয়ে, যাকাতের টাকা দিয়ে অথবা বায়তুল মালের ভা-ার থেকে সহযোগিতা করা যাবে (উছায়মীন, মাজমূঊ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : প্রকৃত শহীদ কে তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন। তাই প্রকৃত শহীদ বলা বা শহীদ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া আহলে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : মহান আল্লাহই একমাত্র হালাল-হারাম ঘোষণা করার অধিকারী। কোন মানুষের সে অধিকার দেয়া হয়নি। ধর্মীয় ও বৈষয়িকতার দৃষ্টিতে কারো…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা গুণবাচক নামসমূহ অসংখ্য এবং তা মুখস্ত করার ফযীলত হল জান্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : ছালাত পরিত্যাগকারীর জন্য মহান আল্লাহ ও রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : শয়তান চির অভিশপ্ত। সে আদম সন্তানকে সর্বদা কুমন্ত্রণা দিয়ে পাপাচারে লিপ্ত করে। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে শয়তানের ফেতনা…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : কোন জীবের বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা নিষিদ্ধ। তবে দেখার বিষয় হল- ছবি তোলার উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : প্রথম শব্দ ‘হুজুর’ শব্দটি ফার্সী, উর্দূ হিসাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহার হয়ে আসা একটি শব্দ। যা আপত্তিকর। হুজুর মানে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, যাতে জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের দিক নির্দেশনা মওজুদ রয়েছে। অর্থনীতির উপরেও রয়েছে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : ফরয ছালাত ব্যতীত অন্যান্য নফল ছালাত মসজিদের চেয়ে বাড়ীতে আদায় করা উত্তম (আবূ দাঊদ, হা/১০৪৪; মিশকাত, হা/১৩০০, সনদ…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত সত্য কিংবা মিথ্যা শপথ করা ঠিক নয়। পণ্য বেশী বিক্রয়ের জন্য মিথ্যা কসম করা…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : শাড়ী পরে ছালাত আদায় করা অসম্ভব। কেননা মহিলাদের জন্য ছালাতের মধ্যে পুরো শরীর তথা মাথা, মাথার চুল, ঝুলে…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : সঠিক নয়। কেননা উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/ ১৮৬২; সিলসিলা যঈফাহ, হা/১৪১৭)। সূত্র:…
আরও পড়ুন ➲উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বালা-মুছীবত ও বিপদ-আপদ নাযিল করে মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। এর মধ্যে যারা ধৈর্যাধরণ করে তাদের জন্য…
আরও পড়ুন ➲