অন্যান্য

প্রশ্ন: হুজুরকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কী?

উত্তর : প্রথম শব্দ ‘হুজুর’ শব্দটি ফার্সী, উর্দূ হিসাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহার হয়ে আসা একটি শব্দ। যা আপত্তিকর। হুজুর মানে উপস্থিত। অনেকে মনে করে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাযির-নাযির বা সর্বদা উপস্থিত এমন ধারণা থেকেই ‘হুজুর’ শব্দটির আগমন (ফীরুযুল লুগাত, পৃ. ৫৭১)। তাই ‘হুজুর’ শব্দটি পরিহার করতে হবে। আর ‘মাওলা’ শব্দটি আরবী। এটি বিভিন্ন অর্থ বহন করে। ‘আমাদের’ দিকে সম্বন্ধ হওয়ায় শব্দটি ‘মাওলানা’ হয়েছে। অর্থ ‘আমাদের অভিভাবক’, ‘আমাদের মালিক’ বা ‘আমাদের গোলাম’। ‘মাওলা’ শব্দটি আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়েছে আবার মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়েছে। যেমন পূর্বে ‘গোলাম’-এর ‘মালিক’-কে ‘মাওলা’ বলা হত। আবার মালিক যখন গোলামকে মুক্ত করে দিত, তখনও তাকে ‘মাওলা’ বলা হত। প্রায় সব হাদীছ গ্রন্থকার একটি বিষয় নিয়ে অধ্যায় রচনা করেছেন- بَابُ مَوْلَى القَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ ‘কোন গোত্রের আযাকৃত গোলাম তাদেরই অন্তর্ভুক্ত সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ’ (‘ফারায়েয’ অধ্যায়-৮৫, অনুচ্ছেদ-২৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْ أَنْفُسِهِمْ ‘সম্প্রদায়ের আযাদকৃত গোলাম তাদেরই বলে গণ্য হবে’ (ছহীহুল বুখারী, হা/৬৭৬১)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের মাওলা বা অভিভাবক বানিয়েছি’ (সূরা আন-নিসা : ৩৩)। বুঝা যায় যে, ‘মাওলা’ শব্দটি আল্লাহর জন্য ও অন্যের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। তবে যা আল্লাহকে বুঝানো হয়েছে তা মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করাই উচিত।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button