অন্যান্য

প্রশ্ন: পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে পালিয়ে বিয়ে করা কি ইসলামে বৈধ ?

উত্তর: অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া স্ত্রীলোকের বিবাহ বাতিল

1) আবু মূসা আশআরী (রাঃ) বলেন,  রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ওয়ালী/ অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না
(আহমাদ, তিরমীজি,ইবনু মাজা, মিশকাত/৩১৩০,হাদীস সহীহ)

2) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যদি কোন নারী তার ওয়ালী/ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করে তবে তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল। এরূপ অবৈধ পন্থায় বিবাহিত নারীর সাথে স্বামী সহবাস করলে তাকে মোহর দিতে হবে। কারন স্বামী মোহরের বিনিময়ে তার লজ্জাস্থানকে ব্যবহার করছে। যদি ওয়ালীগন বিবাদ করেন তবে যার ওয়ালী নেই তার ওয়ালী বা অভিভাবক দেশের শাসক (আবুদাঊদ, তিরমিজী, ইবনে মাজা, ইবনু হিব্বান মিশকাত/৩১৩১)

3) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কোন নারী কোন নারীকে বিয়ে দিতে পারে না এবং কোন নারী নিজে নিজেও বিয়ে করতে পারেনা
(ইবনু মাজা, বাংলা মিশকাত/৩০০২, হাদীস সহিহ ইরওয়া/১৮৪১)

 

অত্র হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে নারী নিজে বিয়ে করতে পারে না এবং কারো বিয়ে দিতেও পারে না। র্বতমান সমাজে দেখা যায় অনেক মেয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে কাজীর নিকট বিয়ে করে ফেলে এবং পিতা রাজি নয় পিতা বেঁচে থাকার পরেও তার বান্ধবী, খালা, ফুফু, মামী, চাচী, বোন, খালু, বোন জামাই ইত্যাদি

ওয়ালী হয়ে বিবাহ হয় যা বাতিল বলে গন্য হবে। পিতার র্বতমানে অর্থাত্ রাজি না থাকায় কোন নারী কিংবা খালা খালু মামা মামী নানা নানী বিয়ে দিলে সে বিয়ে বাতিল হবে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সর্তক থাকা উচিত। বিবাহের জন্য দুজন সাক্ষী
জরূরী যা বিস্তারিত পাবেন (সুরা বাকারাহ/২৮২)

4) আয়েশা (রাঃ) বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, একজন ওয়ালী এবং দুজন ন্যায়পরায়ন সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না
(দারাকুতনী, ফিকহুস সুন্নাহ/১৪২পৃঃ)

 

কাউকে পছন্দ হলে পিতা-মাতাকে খুলে বলুন, তবে তাদের অবাধ্য হয়ে কখনও শান্তি খুজে পাবেন না, রাসূলুল্লাহ (স) বলেনঃ ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহগুলো সম্পর্কে অবহিত করবো না ?
(একথা তিনি তিনবার বল্লেন) । সকলেই বললেন, হ্যা, বলুন হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) !

তিনি বললেন,

” আল্লাহর সাথে শরীক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্যতা করা । ”
{বুখারী হা/২৬৫৪; মুসলিম হা/৮৭; তিরমিযী হা/১৯০১}

 

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button