অন্যান্য

প্রশ্ন: অভিশাপ দিলে কি লাগে? কাউকে অভিশাপ দিলে কি গুনাহ বা পাপ?

উত্তরঃ অভিশাপ দেবারতো কোন দরকার নেই  কারণ কেউ যদি আমার সাথে কোন অন্যায় করে  আমার কোন ক্ষতি করে তবে তাকে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে — এবং তিনি কঠিন শাস্তি ভোগ করবেন – যদিনা আমি তাকে ক্ষমা করে দেই – তাহলে অভিশাপ কেন দিতে হবে???

📖 অভিশাপ না দেয়ার
ব্যাপারে সবার অবগতির জন্য নিম্নে কিছু হাদিস তুলে ধরলাম:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসলমান তো সেই ব্যক্তি ব্যক্তি যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ থাকে………।( সুনানে তিরমিজী- ২৬২৭নং হাদীস, সুনানে আবু দাউদ- ২৪৮১নং হাদীস)

📖 সুতরাং কোন মুসলমানের জন্য এমন কোন কাজ করা শোভনীয় নয়, যাতে অপর কোন মুসলমান কষ্ট পায়। কখনো যদি নিজরে অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেলে তাহলে তা বুঝার সাথে সাথে তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। তেমনিভাবে কারো কাছ থেকে কোন জুলুমের শিকার হলে তাকে ক্ষমা করে দেয়াই মহৎ চরিত্রের পরিচায়ক। হাদীসে পাকে এসেছে-
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো। মুসনাদে আহমদ- ১৭৩৩৪ নং হাদীস।

📖 এছাড়া নবীজি ও সাহাবা কেরাম রা.-এর চরিত্রের মাঝে ক্ষমার গুণ অনেক বেশি পরিলক্ষিত হয়। তাই এই মহৎ গুনে নিজেদের সুসজ্জিত করা উচিত।
কাউকে অভিশাপ দেয়া মুমিনের জন্য শোভা পায় না। অন্য হদীসে এসেছে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন কখনো অভিসম্পাদকারী হয় না। (সুনানে তিরমিযি-২০৮৮ নং হাদীস।)

📖 অন্যত্র এরশাদ হয়েছে,
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পরষ্পরে আল্লাহর লা’নত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দিবে না। (সুনানে তিরমিযি-১৯৮৬)

📖 অভিশাপকারী আখেরাতেও মর্যাদা পাবে না। এ ব্যাপারে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না। এবং সাক্ষ্যপ্রদানও করতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম-২৫৯৮ নং হাদীস।)

📖 মন থেকে অভিশাপ দিলেই তা কার্যকর হয়ে যায়। যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে সে এর যোগ্য হোক বা না হোক। এটাই হিন্দুদের বিশ্বাস। কোন মুসলমানের এ আকীদা হতে পারে না।

📖 কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোন বান্দা কোন ব্যক্তিকে অভিশাপ তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে, তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দয়ো হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোন উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয় তাহলে তার প্রতি পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। (সুনানে আবু দাউদ-৪৯০৭ নং হাদীস।)

📖 মন থেকে অভিশাপ দিলেই তা কার্যকর হয়ে যায়। যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে সে এর যোগ্য হোক বা না হোক। এটাই অনেক বিধর্মীদের বিশ্বাস। কোন মুসলমানের এ আকীদা হতে পারে না।

📖 এ সকল হাদীস থেকে বুঝা গেল মন থেকে লা’নত বা অভিশাপ দিবে সে যদি এই অভিশাপের উপযুক্ত না হয়, তাহলে এই অভিশাপ তার দিকে আসে না বরং অভিশাপকারীর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয়্ এ জন্য অভিশাপ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া চাই। যেন অভিশাপ দেয়ার পর নিজেই পাত্র না হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল অনিষ্ট হতে হিফাযত করুন।
আমীন!

অভিশাপ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন মাসলা মাসায়েল, ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্নোত্তর।

অভিশাপ কি

অভিশাপ মানে বদদোয়া।

ইসলামের দৃষ্টিতে অভিশাপ

কোন মুসলমানের জন্য এমন কোন কাজ করা শোভনীয় নয়, যাতে অপর কোন মুসলমান কষ্ট পায়। কখনো যদি নিজরে অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেলে তাহলে তা বুঝার সাথে সাথে তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। তেমনিভাবে কারো কাছ থেকে কোন জুলুমের শিকার হলে তাকে ক্ষমা করে দেয়াই মহৎ চরিত্রের পরিচায়ক।

অভিশাপকারী আখেরাতেও মর্যাদা পাবে না।

অভিশাপ কি লাগে?

মন থেকে অভিশাপ দিলেই তা কার্যকর হয়ে যায়। যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে সে এর যোগ্য হোক বা না হোক। এটাই হিন্দুদের বিশ্বাস। কোন মুসলমানের এ আকীদা হতে পারে না।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button