প্রশ্ন: কোন সময়ে দুয়া দ্রুত কবুল হয়?
উত্তর: যে দুয়াগুলো আল্লাহ খুব দ্রুত কবুল করে থাকেন, বেশি কবুল হয়।
“বান্দা সিজদার অবস্থায় স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। অতএব তোমরা অধিক মাত্রায় (ঐ অবস্থায়) দো‘আ কর।”
[মুসলিম:৪৮২, নাসায়ী :১১৩৭, আবূ দাউদ :৮৭৫, আহমাদ :৯১৬৫]
যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বলে:
“লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্’দাহ লা-শারীকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা’-নাল্লাহি, ওয়ালহা’মদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার। ওয়া লা- হা’ওলা ওয়ালা- ক্বুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আ’লিয়্যিল আ’যীম। রাব্বিগফির লী”তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।*যদি সে দোআ’ করে, তবে তার দোআ’ কবুল হবে। যদি সে উঠে ওযু করে নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল করা হবে”। [বুখারীঃ ফাতহুল বারীঃ ১১৫৪। সহীহ ইবন মাজাহ্: ২/৩৩৫]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল,
‘কোন দো‘আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’
তিনি বললেন: “রাত্রির শেষভাগে এবং ফরয নামায সমূহের শেষাংশে”।(সম্মিলিত নয়,একা একা)
[তিরমিযী ৩৪৯৯: ইমাম তিরমিযী ও শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ]
রাসূলুল্লাহ (সা:) আরো বলেনঃ
“প্রতি রাতে যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন* আমাদের প্রতিপালক পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন।
তখন তিনি বলেনঃ “কে আছে আমার কাছে দুআ করবে আমি কবুল করব? কে আমার কাছে তার যা দরকার প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দিয়ে দেব? কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি ক্ষমা করে দেব”।
[বুখারীঃ ১১৪৫, মুসলিম]
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত দুআ’ কখনই ফিরিয়ে দেওয়া হয়না”।
[তিরমিযীঃ৩৫৯৪, আবু দাউদঃ৫২৫, শায়খ আলবানী ইরওয়াউল গালীলঃ ১/২৬২]
“যেকোনো প্রয়োজনে কোনো মুসলিম যদি দুয়া ইউনুস পড়ে, আল্লাহ তার দুয়া কবুল করবেন”
[তিরমিযী, সহীহুল জামিঃ ৩৩৮৩]
অন্য হাদীস অনুযায়ী, “দুয়া ইউনুস পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেবেন।
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লা-আনতা, সুবহা’-নাকা ইন্নি কুনতু-মিনায-যোয়ালিমিন।
অর্থঃ “(হে আল্লাহ) তুমি ছাড়া আর কোনো মা’বুদ নাই, তুমি পবিত্র ও মহান! নিশ্চয় আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত।”
{সুরা আল-আম্বিয়াঃ ৮৭}