ফাতাওয়া আরকানুল ইসলামহজ্জ ও উমরা

প্রশ্ন: (৪৭৮) ইহরাম অবস্থায় ছাতা ব্যবহার করার বিধান কী? অনুরূপভাবে সিলাইকৃত বেল্ট ব্যবহার করা যাবে কি?

উত্তর: সূর্যের তাপ বা বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো ক্ষতি নেই। একাজ হাদীসে পুরুষের মাথা ঢাকার নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এটা মাথা ঢাকা নয়; বরং তা রৌদ্র প্রভৃতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছায়া গ্রহণ করা। সহীহ মুসলিমে প্রমাণিত হয়েছে, বিদায় হজে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উসামা ইবন যায়েদ ও বেলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা ছিলেন। তাদের একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উটনির লাগাম ধরে ছিলেন। অপরজন একটি কাপড় উপরে উঠিয়ে তাকে ছায়া প্রদান করছিলেন, এভাবে চলতে চলতে তিনি জামরা আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন।[1] এ হাদীস থেকে দলীল পাওয়া যায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় হালাল হওয়ার পূর্বে কাপড় দিয়ে ছায়া গ্রহণ করেছেন।

পরনের কাপড় বাঁধার জন্য যে কোনো ধরনের বেল্ট ব্যবহার করাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর ‘সেলাইকৃত বেল্ট’ প্রশ্নকারীর এ কথাটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত ভুল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। তাদের ধারণা, যে কোনো প্রকারের সিলাই থাকলেই তা আর পরিধান করা যাবে না। কিন্তু কথাটি ভুল। ‘সিলাইকৃত কাপড় পরিধান করা যাবে না’ একথা দ্বারা বিদ্বানগণ বুঝিয়েছেন এমন সব কাপড় পরিধান করা যা শরীরের মাপে বানানো হয়েছে। সাধারণভাবে পোশাক হিসেবে যা পরিধান করা হয়। যেমন, জামা, পায়জামা, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া প্রভৃতি। এ কারণে কোনো মানুষ যদি এমন চাদর বা লুঙ্গি পরিধান করে যা জোড়া-তালি দেওয়া আছে, তবে তাতেও কোনো অসুবিধা নেই- এমনকি যদি তার উভয় প্রান্ত সেলাই করা থাকে তাতেও কোনো ক্ষতি হবে না।

[1] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: কুরবানীর দিন আরোহী অবস্থায় জামরা আকাবায় কঙ্কর মারা মুস্তাহাব।

 

 

সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button