কতটুকু ত্রুটি ও ঘাটতি নিয়ে ইমামতি করা যায়?
সমাজে এমন কিছু লোক আছে যাদেরকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইমাতির জন্য যোগ্য বলে মনে হয় না, তারাও ইমামতি করতে পারবে। যেমন-
(১) অন্ধ, ইবনে উম্মে মাকতুম নামক একজন অন্ধ সাহাবী ইমামতি করেছেন। (তিরমিযী: ১১২১),
(২) ক্রিতদাস (বুখারী: ৬৯২),
(৩) মুসাফির,
(৪) তায়াম্মুমকারী,
(৫) মহিলাদের জামাআতে মহিলা,
(৬) মহিলাদের জামাআতে পুরুষ,
(৭) কমপক্ষে ৬-৭ বছরের নাবালেগ কিশোর (বুখারী: ৪৩০২)। আর তা ফরজ-নফল। সকল সালাতেই,
(৮) অধিক সম্মানী মুক্তাদীর সামনে অপেক্ষাকৃত কম সম্মানী ব্যক্তির ইমামতি। সাহাবী আবদুর রহমান ইবনে আউফের পেছনে রাসূলুল্লাহ (স.) সালাত আদায় করেছেন (মুসলিম),
(৯) ফরজ সালাতের ইমামের পেছনে নফল; নফলের পেছনে ফরজ, তারাবীহর ইমামের পেছনে এশা, আসরের জামাআতের ইমামের পেছনে যোহরের কাযা সালাত আদায় জায়েয। (বুখারীর: ৭১১ নং হাদীসের আলোকে)
সূত্র: প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত
লেখক: অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম