ওযুর বিবিধ মাসাইল
১. ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর দু’হাত কজি পর্যন্ত আগে ধৌত করে নেওয়া। এর পূর্বে পানির পাত্রে হাত না ঢুকানো। (বুখারী)
২. ওযুর সময় পানি অপচয় করা নিষেধ। এমনকি নদীর পাড়ে বসে ওযূ করলেও । ওযুতে রাসূলুল্লাহ (স) খুবই কম পানি ব্যবহার করতেন।
৩. রাসূলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবীগণ ওযূর পাত্রের ভেতরে বার বার হাত ঢুকিয়ে ওযু করেছেন।
৪. ওযুর সময় হাত মুখ ধোয়ার ব্যবহৃত পানির সামান্য ছিটাফুটা ঐ পাত্রে পড়ে গেলে এ পানি নাপাক হয় না ।
৫. ওযূর সময় কথা বলতে, সালাম দিতে বা সালামের জবাব দিতে কোন নিষেধ নেই ।
৬. ওযূ শেষে ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত। (নাসাঈ: ৯৫)
৭. রাসূলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবায়ে কিরাম ওযু শেষে লজ্জাস্থানে কিছু পানি ছিটিয়ে দিতেন । এ আমলটি স্বয়ং জিবরাঈল (আ) রাসূলুল্লাহ (স)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। (আহমাদ)।
৮. ওযূর পর পবিত্র তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভিজা অঙ্গ মুছা জায়েয আছে। (ইবনে মাজাহ: ৪৬৮)। কেউ কেউ বলেন, ওযুর পুর্বে দাঁত মাজলে আদায়কৃত নামাযে সত্তর গুণ বেশি সাওয়াব হয়- এ কথাটি ঠিক নয়। এ কথার পক্ষে কোন সহীহ হাদীস নেই । তবে ওযূর পূর্বে দাঁত মাজা সুন্নাত এবং বড়ই সাওয়াবের কাজ।
সূত্র: প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত
লেখক: অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম