মহিলা অঙ্গন

প্রশ্ন: পূর্বের সন্তান অথবা মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে গর্ভপাত করার বিধান কী?

উত্তর : এ সম্পর্কে সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ ২০/০৬/১৪০৭ হিজরী তারিখে ফাৎওয়া দিয়েছে যে,

(১) একান্ত সমস্যা এবং শারঈ সমর্থনযোগ্য কোন কারণ ব্যতীত কোন স্তরের ভ্রুণ নষ্ট করা বৈধ নয়।

(২) ভ্রুণ যদি প্রথম স্তরের তথা ৪০ দিনের হয় এবং তাকে নষ্ট করার মধ্য শারঈ কোন কল্যাণ বা কোন ক্ষতি দূর করার ব্যাপার থাকে, তাহলে নষ্ট করা জায়েয। তবে এ সময়ে ভ্রুণ নষ্ট করার কারণ যদি হয় সন্তান লালন-পালন করার কষ্ট অথবা তাদের ভরণ-পোষণ এবং শিক্ষাদানে দুশ্চিন্তা কিংবা ভবিষ্যৎ গড়ার চিন্তা অথবা যেসব সন্তান আছে তাদেরকে যথেষ্ট মনে করা, তাহলে জায়েয নয়।

(৩) ভ্রুণ যদি রক্তপিণ্ড বা গোসতপিণ্ডের আকার ধারণ করে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে নষ্ট করা বৈধ নয়, যতক্ষণ নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা বোর্ড এ সিদ্ধান্ত না দেয় যে, বাচ্চা পেটে থাকলে তার মায়ের সুস্থতার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে এমনকি তিনি মারাও যেতে পারে। অতঃপর সেসব সমস্যা দূর করণে সমস্ত প্রচেষ্টা প্রয়োগ করার পর ভ্রুণ নষ্ট করা জায়েয হবে।

(৪) তৃতীয় স্তর অতিক্রম করে ভ্রুণের যদি চার মাস পূর্ণ হয় তাহলে ততক্ষণ ভ্রুণ নষ্ট করা জায়েজ হবে না, যতক্ষণ একদল বিশেষজ্ঞ নির্ভরযোগ্য ডাক্তার এ সিদ্ধান্ত না দেয় যে, বাচ্চা পেটে থাকলে তার মায়ের মৃত্যুর সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। অতঃপর বাচ্চার জীবন বাঁচানোর জন্য সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করার পরও যদি সম্ভব না হয় তবে তা নষ্ট করা জায়েয হবে।

দু’টি ক্ষতি থেকে ছোট ক্ষতি দূর করা এবং দু’টি কল্যাণ থেকে বড় কল্যাণটি অর্জনের স্বার্থে উল্লেখিত শর্তে ভ্রুণ নষ্ট করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। তারপরও বোর্ড আল্লাহকে ভয় করার এবং চূড়ান্তভাবে এসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপদেশ দিয়েছে (ফাতাওয়া হাইয়াতু কিবারিল উলামা, ফাৎওয়া নং-১৪০)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button