অন্যান্য

প্রশ্ন: নামাজে সেজদারত অবস্থায় দুয়া সবচেয়ে বেশি কবুল হয়। কিন্তু কিভাবে দুয়াগুলো পড়তে হবে? সিজদার তাসবীহ -সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা ৩ বার পড়ার পর কি দুয়া পড়তে হবে এবং কোন কোন দুয়া পড়তে হয়?

উত্তর: সালাতে সেজদা অবস্থায় দুআ করার গুরুত্ব:

সেজদা অবস্থায় অধিক পরিমাণে দুআ করার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ، فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ

“সেজদারত অবস্থায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী থাকে। তাই সেজদারত অবস্থায় বেশি বেশি দুআ করো।” (সহীহ মুসলিম)

অন্য এক হাদীসে এসেছে :

أَلَا وَإِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ الْقُرْآنَ رَاكِعًا، أَوْ سَاجِدًا، فَأَمَّا الرُّكُوعُ، فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَّا السُّجُودُ، فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ، فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ

“শুনে রাখো, রুকূ বা সেজদাবস্থায় তেলাওয়াত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। তাই রুকূ অবস্থায় তোমরা তোমাদের রবের স্তুতি জ্ঞাপন করো আর সেজদাবস্থায় খুব দুআ করো। কেননা সেজদা অবস্থা দুআ কবুলের উপযুক্ত সময়।” (সহীহ মুসলিম)

🔶 সালাতে সেজদা অবস্থায় দুআ করার পদ্ধতি:

যে কোন সালাতে সেজদা অবস্থায় প্রথমে হাদীসে বর্ণিত সেজদার একাধিক দুআ ও তাসবীহ এর মধ্য থেকে এক বা একাধিক দুআ ও তাসবীহ পাঠ করা। যেমন, সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা (তিন বা ততোধিক বার)

তারপর কুরআন-হাদীসের যত দুআ মুখস্থ আছে সেগুলো পাঠ করা। এমনকি নিজের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরে নিজ ভাষায়ও দুআ করা যায়।

(এ ক্ষেত্রে নিজ ভাষায় দুআ করার ব্যাপারে ইতোপূর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।)

⛔ উল্লেখ্য যে, কিছু মানুষকে দেখা যায়, সালাত পড়ে বসে থাকে। তারপর উঠে যাওয়ার সময় একটি সেজদা দেয় তারপর উঠে চলে যায়। এটি একটি বিদআতী পদ্ধতি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলািইহি ওয়া সাল্লাম এর পক্ষ থেকে এভাবে সেজদা করার কোন প্রমাণ নেই।

▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button