আদব ও শিষ্টাচার

প্রশ্ন: শরী‘আতে একাকী সফর করা সম্পর্কে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে- তা কি ছহীহ? যদি ছহীহ হয় তবে সফরসঙ্গী না পেলে দূরবর্তী সফরে করণীয় কী?

উত্তর : উক্ত হাদীছ ছহীহ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي الوَحْدَةِ مَا أَعْلَمُ مَا سَارَ رَاكِبٌ بِلَيْلٍ وَحْدَهُ ‘যদি লোকেরা একাকী সফরে কী ক্ষতি আছে তা জানত, যা আমি জানি, তবে কোন আরোহী রাতে একাকী সফর করত না’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৯৯৮)। অন্য হাদীছে এসেছে, الرَّاكِبُ شَيْطَانٌ وَالرَّاكِبَانِ شَيْطَانَانِ وَالثَّلَاثَةُ رَكْبٌ ‘একাকী সফরকারী হচ্ছে একটি শয়তান, আর একত্রে দু’জন সফরকারী দু’টি শয়তান। তবে একত্রে তিনজন সফরকারীই হচ্ছে প্রকৃত কাফেলা’ (আবু দাঊদ, হা/ ২৬০৭; মিশকাত, হা/৩৯১০, সনদ হাসান)।

এ ব্যাখ্যায় শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে একাকী সফর করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিধান তখনই প্রযোজ্য হবে যখন রাস্তা নিরাপদ হবে না এবং অনেক লোকের সমাগম থাকবে না। কিন্তু যদি রাস্তা নিরাপদ হয় এবং অনেক লোকের সমাগম থাকে, তাহলে তা মূলত একাকী সফর হিসাবে গণ্য হবে না। কেননা বর্তমানে অনেক মানুষ চলাফেরা করছে। সে যদিও গাড়িতে একাই রয়েছে কিন্তু সফরে অনেক মানুষ তার আশেপাশে অবস্থান করছে’ (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দার্ব, ২৪তম খণ্ড, পৃ. ২)। শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘সম্ভবত হাদীছের উদ্দেশ্য হল, মরু প্রান্তর বা নির্জন পথে ভ্রমণ করা, যেখানে একজন ভ্রমণকারী খুব কমই অন্য কাউকে দেখতে পায়। সুতরাং বর্তমানে ব্যাপক জনবহুল ও প্রচুর যানবাহন চলাচল করে এমন পথ দিয়ে ভ্রমণ করা এর আওতাভুক্ত নয়। আল্লাহু ‘আলাম, আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন’ (সিলসিলা ছহীহাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৩১, হা/৬২ দ্র.)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button