অন্যান্য

প্রশ্ন : ছবি তোলা কি জায়েজ?

আপনার জিজ্ঞাসা  ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব ইসলামিক প্রশ্নোত্তর 

 

উত্তর : এ প্রশ্নের পিছনে রয়েছে মূলত একটি হাদীস যেটা আছে সহীহ্ বুখারিতে। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেছেন:
“কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করবে [জীবন্ত বস্তুর] ছবি তৈরী কারীরা।” [বুখারী: ৫৯৫০; মুসলিম: ২১০৯]

 

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে কেউই ছবি তৈরী করল, আল্লাহ তাকে [কিয়ামতের দিন] ততক্ষণ শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে এতে প্রাণ সঞ্চার করে, আর সে কখনোই তা করতে সমর্থ হবে না।” [বুখারী:২২২৫; মুসলিম: ২১১০]

 

এখন একজন মানুষের পক্ষে তো ছবিতে জীবন দেয়া সম্ভব না। এ হাদীস টা বলছে আসলে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্যের কথা। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন যে এর মধ্যে ফটোগ্রাফ ও পড়বে।
তবে পরে যখন ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম, এ হাদীসটা ফটোগ্রাফ এর কথা বলছে না কারণ ফটোগ্রাফি হল আসলে প্রতিবিম্ব, যেটা ধারণ করা হয় কাগজে।

ভিডিওগ্রাফিও একই রকম, ভিডিওগ্রাফি এক ধরনের প্রতিবিম্ব যেটা হয়ত ধারণ করা হয় ফিল্মে। নবীজির সময় কোন সাহাবী যদি পানিতে প্রতিবিম্ব দেখে চুল আঁচড়াতেন
নবী (সা:) তাকে কখনই বাঁধা দেন নি, তিনি কখনো মুসলিমদের আয়না দেখতে নিষেধ করেন নি। এ ভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে ফটোগ্রাফি এ ক্যাটাগরিতে পরে না।

 

ছবি আঁকার যে ক্যাটাগরিটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এখানে মুলত বলা হচ্ছে হাতে আঁকা ছবি ও ভাস্কর্যের কথা। ফটোগ্রাফি জিনিসটা আসলে নিষিদ্ধ না।
তবে এখানে আমাদের এটা দেখতে হবে যে কোন উদ্দেশ্যে সেটা ব্যাবহার করছি। এখন যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ছুরি জিনিসটা ভাল না খারাপ,
যদি ছুরি দিয়ে শাক-সবজি কাটা হয় তাহলে ভাল, যদি ডাকাতির জন্য ব্যবহার করা হয় তাহলে খারাপ, একই ভাবে ফটোগ্রাফির ব্যাপারেও।

 

যদি ফটোগ্রাফি ব্যাবহার করেন কোন ভাল উদ্দেশ্যে, তাহলে অবশ্যই অনুমতি আছে, তবে যদি ফটো ব্যবহার করেন খারাপ উদ্দেশ্যে
যেমন – পর্নোগ্রাফি, অশ্লীলতা ইত্যাদি, তাহলে ইসলামে এটা নিষিদ্ধ এবং কেউ যদি অশ্লীল ফটো তুলে, যেটা শরীয়ত বিরোধী তাহলে এর দ্বারা উপার্জিত অর্থও হারাম হবে।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন। –

 

▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
ডাঃ জাকির নায়েক

 

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button