Deprecated: Function jetpack_form_register_pattern is deprecated since version jetpack-13.4! Use Automattic\Jetpack\Forms\ContactForm\Util::register_pattern instead. in /home/islamicask.com/public_html/wp-includes/functions.php on line 6078
প্রশ্ন: যাকাতের অর্থ দ্বারা মসজিদ নির্মাণ করার বিধান কী? ফক্বীর বা অভাবী কাকে বলে? – আপনার জিজ্ঞাসা
ফাতাওয়া আরকানুল ইসলামযাকাত

প্রশ্ন: যাকাতের অর্থ দ্বারা মসজিদ নির্মাণ করার বিধান কী? ফক্বীর বা অভাবী কাকে বলে?

উত্তর: যাকাতের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যে আট শ্রেণির কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন, তা ছাড়া অন্য কোনো খাতে যাকাত প্রদান করা জায়েয নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা আয়াতে إِنَّمَا অব্যয় দ্বারা যাকাত প্রদানের খাতকে আট শ্রেণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন,

﴿إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡعَٰمِلِينَ عَلَيۡهَا وَٱلۡمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمۡ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَٱلۡغَٰرِمِينَ وَفِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٦٠﴾ [التوبة: ٦٠]

“যাকাত তো হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের আর এ যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং ইসলামের প্রতি তাদের (কাফিরদের) হৃদয় আকৃষ্ট করতে, ঋণ পরিশোধে, আল্লাহর পথে জিহাদে, আর মুসাফিরদের সাহায্যে। এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী অতি প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬০]

সুতরাং তা মসজিদ নির্মাণের কাজে বা জ্ঞানার্জনের কাজে খরচ করা জায়েয হবে না। আর নফল সাদকাসমূহের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে যেখানে বেশি উপকার পাওয়া যাবে সেখানে প্রদান করা।

ফকীরের সংজ্ঞা হচ্ছে: স্থান ও কাল ভেদে যার কাছে পূর্ণ এক বছরের নিজের ও পরিবারের খরচ পরিমাণ অর্থ না থাকবে তাকে বলা হয় ফক্বীর। স্থান-কাল ভেদে এ জন্য বলা হয়েছে, হয়তো কোনো কালে বা কোনো স্থানে এক হাজার রিয়ালের অধিকারীকে ধনী বলা হয়। আবার কোনো কালে বা কোনো স্থানে এটা কোনো সম্পদই নয়। কেননা সে সময় বা স্থানে জীবন ধারণের উপকরণ খুবই চড়া মূল্যের।

সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম।
লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button