তাওহীদপ্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা

আপনার নবী কে?

 

আমার নবী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম ইবনে আবদে মানাফ। তাঁকে আল্লাহ  ইসমাঈল-এর উত্তরসূরী কুরাইশ বংশ থেকে মনোনীত করে মানব এবং জিন জাতির নিকট নবী হিসাবে প্রেরণ করেন। আর তার উপর অবতীর্ণ করেন অহি। ফলে তিনি মানুষকে একমাত্র আল্লাহ্‌র ইবাদত করার উদাত্ত আহ্বান জানান। পক্ষান্তরে আল্লাহ ছাড়া তারা যেসব প্রতিমা, পাথর, গাছ-গাছালি, নবী-রাসূল, নেককার ব্যক্তি, ফেরেশতা ইত্যাদির ইবাদত করত, তা ছেড়ে দিতে আহ্বান জানান। এক কথায় তিনি শির্ক বর্জন করে খালেছ তাওহীদ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। সাথে সাথে তিনি একথাও ঘোষণা করেন যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউ কল্যাণ সাধন বা অকল্যাণ দূরীকরণে সক্ষম নন। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ وَيَجۡعَلُكُمۡ خُلَفَآءَ ٱلۡأَرۡضِۗ أَءِلَٰهٞ مَّعَ ٱللَّهِۚ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ ٦٢ ﴾ [النمل: ٦٢] 

“কে নিরূপায়ের ডাকে সাড়া দেন, যখন সে ডাকে এবং কে কষ্ট দূরীভূত করেন? আর কে তোমাদেরকে পৃথিবীতে পূর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেন? সুতরাং আল্লাহ্‌র সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তোমরা অতি সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর” (নামল ৬২)। অনুরূপভাবে তিনি মানুষকে একথাও অবগত করেছেন যে, কল্যাণ সাধন এবং অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্‌র নিকটেই। এক্ষেত্রে নবী-রাসূল, ফেরেশতামণ্ডলী, অলী-আউলিয়া কারো কোনো ক্ষমতা নেই। এরশাদ হচ্ছে,

﴿ قُل لَّآ أَقُولُ لَكُمۡ عِندِي خَزَآئِنُ ٱللَّهِ وَلَآ أَعۡلَمُ ٱلۡغَيۡبَ وَلَآ أَقُولُ لَكُمۡ إِنِّي مَلَكٌۖ ﴾ [الانعام: ٥٠] 

“আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ্‌র ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয়ও অবগত নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফেরেশতা”(আন‘আম ৫০)

 

সূত্র: প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা।
লেখক: আব্দুল আলীম ইবনে কাওসার।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button