অন্যান্য

বাড়িতে সালাত সংক্রান্ত কতিপয় মাসায়েল:

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে সালাত আদায় করছে। তাই সঙ্গত কারণে অনেকেই এ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করছে।
নিম্নে ফেসবুকের ভাইবোনদের বাড়িতে জামাআতে সালাত, একাকী সালাত এবং সালাত সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে করা কিছু প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো। হয়ত অনেকেই এখান থেকে উপকৃত হবে আশা করি।

১. প্রশ্ন: পুরুষদের জন্য বাড়িতে মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী-সন্তান ইত্যাদি সবাইকে নিয়ে এক সাথে জামাআতে সালাত আদায় কি জায়েজ আর তার পদ্ধতি কি?
উত্তর:
● শরিয়ত সম্মত ওজরের কারণে (যেমন: ঝড়বৃষ্টি, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা, ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি) যদি মসজিদে সালাত আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে বাড়িতে সালাত আদায় করা জায়েজ। এ ক্ষেত্রে মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী-সন্তান ইত্যাদি পরিবারের সকলকে নিয়ে জামাতের সাথে সালাত আদায় করা উত্তম।
পদ্ধতি হল:
● পুরুষদের মধ্য থেকে যার কুরআন তিলাওয়াত সবচেয়ে ভালো সে ইমাম হয়ে সালাত পড়াবে আর তার পেছনে অন্যান্য পুরুষ বা ছেলে-সন্তানরা দাঁড়াবে। সবচেয়ে পেছনে দাঁড়াবে মহিলারা।
● যদি পুরুষ/ছেলে মাত্র দু জন হয় তাহলে তারা পাশাপাশি দাঁড়াবে এবং অন্যান্য মহিলারা (এমনকি একজন হলেও) তাদের পেছনে দাঁড়াবে।
● স্বামী-স্ত্রী কেবল দু জন হলে স্বামী ইমাম হয়ে সামনে দাঁড়াবে আর স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে।
● কোন মহিলার জন্য পুরুষের ইমামতি করা জায়েজ নেই। তবে মহিলারা মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে।
● অনুরূপভাবে পুরুষ এবং মহিলা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে জামাআতের সাথে সালাত আদায় করা জায়েজ নেই।
———————

❖ ২. প্রশ্ন: দু জন ব্যক্তি মিলে কি জামেআতে সালাত আদায় করা যাবে?

উত্তর: হ্যাঁ, দুজনেও জামাআতে সালাত আদায় করা যাবে এবং এতেও জামাআতের সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
মালিক ইবনে হুওয়ায়ইরিস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু জন লোক সফরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এলে তিনি তাদেরকে বললেন,
إِذَا أَنْتُمَا خَرَجْتُمَا فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا
“তোমরা বের হলে (পথে সালাতের সময় হলে) আজান দিবে। অতঃপর ইক্বামাত দিবে এবং তোমাদের উভয়ের মধ্যে যে বয়সে বড় সে ইমামতি করবে।” (সহিহ বুখারি, অধ্যায়: আজান, অনুচ্ছেদ: মুসাফিরদের জামা’আতের জন্য আযান ও ইক্বামাত দেয়া। হা/ ৬২৮)
———————

❖ ৩. প্রশ্ন: দু জন কি এক সাথেই দাঁড়াবে নাকি একজন সামনে এবং একজন পেছনে দাঁড়াবে?

উত্তর:
দু জন সালাত আদায়কারী পুরুষ হলে পাশাপাশি দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে সমান্তরালভাবে ইমামের ডান পার্শ্বে মুক্তাদি দাঁড়াবে; চার আঙ্গুল আগেপিছে হয়ে নয়।

[আমাদের সমাজে দু ব্যক্তি জামাআতে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম ও মুক্তাদিকে চার আঙ্গুল আগেপিছে হয়ে দাঁড়াতে দেখা যায়। এটা সুন্নতের বরখেলাফ। বিস্তারিত দেখুন পরবর্তী প্রশ্নোত্তর।]

আর একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হলে পুরুষ সামনে ইমাম হয়ে আর মহিলা তার পেছনে মুক্তাদি হয়ে সালাত আদায় করবে।
———————

❖ ৪. প্রশ্ন: দু জন মিলে জামাআতে সালাত আদায় করলে মুক্তাদি ইমামের ডান পার্শ্বে না কি বাম পার্শ্বে দাঁড়াবে এবং সে ক্ষেত্রে সে কি ইমামের বারাবর দাঁড়াবে না কি কিছুটা পেছনে সরে দাঁড়াবে? এ ব্যাপারে দলিল কি?

উত্তর:

দু জন ব্যক্তি জামাআতে সালাত আদায় করলে মুক্তাদি ইমামের ডান পাশে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে ইমাম মুক্তাদি পাশাপাশি পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। মুক্তাদি ইমাম থেকে চার আঙ্গুল বা কিছুটা পেছনে সরে দাঁড়ানোর প্রচলিত রীতি সুন্নাহ পরিপন্থী।
ইমাম বুখারী সহিহ বুখারীতে এ মর্মে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন:
بَاب يَقُومُ عَنْ يَمِينِ الْإِمَامِ بِحِذَائِهِ سَوَاءً إِذَا كَانَا اثْنَيْنِ
“পরিচ্ছেদঃ দু’জন ব্যক্তি সলাত আদায় করলে, মুক্তাদী ইমামের ডানপাশে সোজাসুজি দাঁড়াবে।”
তারপর তিনি নিম্নোক্ত হাদিসটি পেশ করেন:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ بِتُّ فِي بَيْتِ خَالَتِي مَيْمُونَةَ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ، ثُمَّ جَاءَ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ ثُمَّ نَامَ، ثُمَّ قَامَ فَجِئْتُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ، فَجَعَلَنِي عَنْ يَمِينِهِ، فَصَلَّى خَمْسَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ نَامَ حَتَّى سَمِعْتُ غَطِيطَهُ ـ أَوْ قَالَ خَطِيطَهُ ـ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ‏
ইবনু ‘আববাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,আমি আমার খালা মায়মুনা রা. এর ঘরে রাত কাটালাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত আদায় করে আসলেন এবং চার রাক‘আত সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর উঠে সালাতে দাঁড়ালেন। তখন আমিও তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে তাঁর ডানপাশে নিয়ে নিলেন এবং পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন।
অতঃপর আরও দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নিদ্রা গেলেন। এমনকি আমি তাঁর নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর তিনি (ফজরের) সালাতের জন্য বের হলেন।
[সহীহ বুখারী (তাওহীদ) / অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان), পরিচ্ছেদঃ ১০/৫৭. দু’জন সলাত আদায় করলে, মুক্তাদী ইমামের ডানপাশে সোজাসুজি দাঁড়াবে। হাদিস নং তাওহীদ প্রকাশনী: ৬৯৭ , আধুনিক প্রকাশনী: ৬৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন: ৬৬৩)]

তাছাড়া হাদিসে কাতার সোজা করার ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব এসেছে এবং কাতারে বক্রতা থাকার ব্যাপারে সতর্কতা বর্ণিত হয়েছে।
এখানে ইমাম ও মুক্তাদি দুজন হলেও যেহেতু এটি একটি কাতার সেহেতু মুক্তাদি এভাবে ইমাম থেকে একটু পেছনে সরে দাঁড়ালে কাতারে বক্রতা সৃষ্টি হলো। সে কারণে তা সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ হবে।

সঠিক পদ্ধতি হল, দুজন ব্যক্তি সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম ও মুক্তাদি সমান্তরালভাবে পাশাপাশি দণ্ডায়মান হবে। তবে মুক্তাদি সতর্ক থাকবে যেন, সে ইচ্ছাকৃত ভাবে ইমাম থেকে কিছুটা সামনে চলে না যায়। ইচ্ছাকৃত ইমামের সামনে চলে গেলে মুক্তাদির সালাত বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু বেখেয়ালে সামনে চলে গেলে তৎক্ষণাৎ পেছনে সরে আসবে। এতে সালাতের কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।
——————–
❖ ৫. প্রশ্ন: আমার সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে কি আমি ঘরে জামাআতে সালাত আদায় করতে পারব?

উত্তর:
ঝড়বৃষ্টি, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা, ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে পুরুষ ব্যক্তি যদি ঘরে সালাত আদায় করে তাহলে সে তার স্ত্রী-পরিবারকে নিয়ে জামাআতে সালাত আদায় করতে পারবে। ছেলে যদি বয়সে ছোটও হয় তবুও সে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে পারবে।
———————

❖ ৬. প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ৯ বছর। সে কি আমার ইমাম হতে পারবে?
উত্তর:
হ্যাঁ, সে যদি ভালোভাবে কুরআন পড়তে পারে আর ইমামতির যোগ্যতা রাখে তাহলে সে ইমাম হয়ে সালাত পড়াতে পারবে।
বিস্তারিত পড়ুন:

প্রশ্ন: ৭/৮ বছর বয়সের শিশুর ইমামতিতে সালাত আদায় করা কি বৈধ?
https://bit.ly/2QRPyM6
———————
❖ ৭. প্রশ্ন: যদি কখনো বাড়িতে সালাত (ফরয) পড়া হয় তাহলে কিরাআত এবং তাকবির মনে মনে বললে কি যথেষ্ট হবে?

উত্তর:
একাকী সালাত আদায়ের সময় জেহরি সালাত তথা যে সকল সালাতে কিরাআতে আওয়াজ উঁচু করতে হয় (যেমন: মাগরিব ও ইশার ১ম দু রাকআত ও ফজরের দু রাকআত) সে সকল সালাতে কিরাআতে আওয়াজ উঁচু করা সুন্নত।

তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন, তার পাশের কোন সালাতরত বা কুরআন তেলাওয়াত কারী ব্যক্তি থাকলে তার ডিস্টার্ব না হয়।
আর তাকবীরের ব্যাপারে কথা হল, একাকী নামাজের ক্ষেত্রে তাকবীর উঁচু করবে না। কেননা তাকবীর উঁচু করা ইমামের জন্য কতর্ব্য- যখন তার পেছনে অন্যান্য মুক্তাদি থাকবে, যেন তারা তার অনুসরণ করতে পারে। কিন্তু একাকী সালাত আদায়ের সময় তা প্রয়োজন নাই। (এটাই জুমহুর তথা অধিকাংশ আলেমের অভিমত)
———————
❖ ৮. প্রশ্ন: জেহরি সালাতে চুপিস্বরে কিরাআত পাঠ কলে কি সালাত শুদ্ধ হবে না?
উত্তর:
জেহরি সালাতে চুপিস্বরে কিরাআত পড়লেও সালাত শুদ্ধ হবে। তবে সুন্নত আদায়ের স্বার্থে একটু উঁচুস্বরে কিরাআত পাঠ করা ভালো।
———————
❖ ৯. প্রশ্ন: একাকী ফরজ সালাত আদায়ের সময় দীর্ঘক্ষণ সেজদা করে তাতে কি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে এর শিখানো দুআগুলো পড়া যাবে?
উত্তর:
ফরজ, সুন্নত, নফল ইত্যাদি যে কোনো সালাতে রুকু ও সেজদাকে লম্বা করা জায়েজ আছে। আর সেজদা অবস্থায় প্রথমে সেজদার তাসহিগুলো পাঠ করার পর কুরআন-হাদিসের যে কোন দুআ পাঠ করা জায়েজ আছে।

উল্লেখ্য যে, সাধারণত: রুকু-সেজদা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়েজ নয়। তবে সেজদা অবস্থায় কুরআনের দুআ সম্বলিত আয়াতগুলো দুআর নিয়তে পাঠ করতে কোনো আপত্তি নাই ইনশাআল্লাহ।
———————
❖ ১০. প্রশ্ন: যদি বাইরের কোন পুরুষ মানুষ না থাকে তাহলে মেয়েরা বাড়িতে একাকী সালাত আদায় করার সময় কিছুটা আওয়াজ উুঁচু করে কি কিরাআত পাঠ করতে পারবে?
উত্তর:
হ্যাঁ, মহিলারাও জেহরি সালাত (মাগরিব ও ইশার প্রথম দু রাকআত ও ফজরের দু রাকআত) বাড়িতে পড়ার সময় একটু উঁচু আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করতে করবে- যদি পর পুরুষ তার কণ্ঠ শোনার সম্ভাবনা না থাকে অথবা তার পাশের কোন ঘুমন্ত ব্যক্তির ডিস্টার্ব না হয়।
———————
❖ ১১. প্রশ্ন: আমি জানতাম যে, নামাযের সময় দুই পা চার আঙ্গুল সমপরিমাণ ফাঁকা রাখতে হয়। কিন্তু একটা বইয়ে দেখলাম যে, দু পায়ের মাঝে কোন ফাঁকা না রাখা চলবে না। সঠিক নিয়ম জানালে উপকার হতো।
উত্তর:
সালাতে একজন মানুষ তার সুবিধা অনুযায়ী মধ্যমপন্থায় স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াবে। দু পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল বা তার চেয়ে কম বা বেশি ফাঁকা রাখতে হবে হাদিসে এমন কোন নির্দেশনা আসে নি।
তবে দু পা’কে একসাথে লাগিয়ে রাখা সুন্নত পরিপন্থী। তাই একটু ফাঁকা রাখা উচিত।
روى النسائي: أن عبد الله بن مسعود رأى رجلاً يصلي قد صف بين قدميه، فقال: (أخطأ السنة)، ولو راوح بينهما كان أحب إلي
———————

❖ ১২. প্রশ্ন: ফজরের দু রাকআত সু্ন্নত সালাত কি কি ফরজ নামাজের আগে পড়তে হয় নাকি পরে? আমি কনফিউজড।

উত্তর:
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ফরজের আগে পড়তে হয়। কিন্তু কোন কারণ বশত ফরজের আগে পড়তে না পারলে ফরজের পর অথবা সূর্য উঠার ১৫/২০ মিনিট পর থেকে জোহর সালাতের আগ পর্যন্ত সময়ের মাঝে যে যে কোনো সময় পড়ে নেওয়া যায়।
তবে আমাদের সমাজে যেটা দেখা যায় যে, মসজিদে ইকামত হয়ে যাওয়ার পরে কিছু মানুষ পরে মসজিদে এসে কাতারের পেছনে একাকী সুন্নত শুরু করে। এটা হাদিস পরিপন্থী কাজ। কেননা হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أُقِيمَتْ الصَّلَاةُ فَلَا صَلَاةَ إِلَّا الْمَكْتُوبَةُ (مسلم)
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন ফরয সালাতের ইকামত হয়ে যাবে তখন ফরজ ছাড়া অন্য কোন সালাত নাই।” (সহিহ মুসলিম)
———————
❖ ১৩. প্রশ্ন: এক রাকআত অতিবাহিত হওয়ার পর ২য় রাকআতে শরিক হলে মুক্তাদি কি ২য় রাকআতে বসে আত্তাহিয়্যাতু পড়বে?
উত্তর:
হ্যাঁ, ২য় রাকআতে ইমাম বৈঠক করবে। তার সাথে পেছনের মাসবুক (যে পরে এসে জামাআতে শরিক হয়েছে) সেও ইমামের অনুসরণে বসবে এবং আত্তাহিয়াতু পাঠ করবে।

▬▬▬🔸🔹🔸▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার. KSA

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব। দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button