শিরক ও বিদ’আত

প্রশ্ন : ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’, ‘ইয়া হাবীবাল্লাহ’ বলা যাবে কি? যেমন- আমার আব্বু, দাদী এবং আত্মীয়-স্বজন অনেকের মুখে শুনি, তারা ভাত খাওয়ার পর বলেন ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ’, ‘ইয়া হাবীবাল্লাহ’। এমনকি তারা প্রায় সময় আল্লাহর যিকির না করে এইগুলো বলে থাকেন। এভাবে বললে কি শিরক হবে?

উত্তর : মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো শানে এমন আহ্বান করা যাবে না। নবী, অলি অথবা সম্মানিত যেকোন ফেরেশতা কাউকে এভাবে ডাকা হারাম এবং কাবীরা গোনাহ।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘দু‘আ হল ইবাদত’ (আবূ দাঊদ, হা/১৪৭৯; তিরমিযী, হা/২৯৬৯, সনদ ছহীহ)।

দু‘আ মানে আহ্বান করা, ডাকা বা প্রার্থনা করা। যা কেবল মাহান আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। বহু মানুষ অতিভক্তি দেখাতে মূল সুন্নাত পালন না করে বিদ‘আতী পন্থায় রাসূলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু ভালোবাসার নামে বাড়াবাড়ি করা একেবারেই অন্যায়, যা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৪৫)।

অথচ জীবিত ও উপস্থিত ছাড়া কোন ব্যক্তিকে ‘ইয়া’ দ্বারা আহ্বান করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই’ (সূরা আল-জিন : ২১)।

রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন কিছু চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে এবং সাহায্য চাইলে আল্লাহর কাছেই চাইবে’ (তিরিমিযী, হা/২৫১৬; মিশকাত, হা/৫৩০২, সনদ ছহীহ)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি কেউ মনে করে রাসূলুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আমাদের সাহায্য করবেন, বিপদ থেকে রক্ষা করবেন, কল্যাণের জন্য, ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করবেন; তাহলে মুসলিম উম্মার ঐকমত্যে সে কাফের হয়ে যাবে’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১২৪)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button