শিরক ও বিদ’আত

প্রশ্ন : যদি কেউ প্রকাশ্যে শিরক ও কুফরী করে এবং পর্দা করাকে জীবন্ত মূর্তি বলে তাচ্ছিল্য করে, তাহলে তার হুকুম কী?

উত্তর : কোন মুসলিম এমন মন্তব্য করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। কারণ দ্বীনের কোন বিধানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে কেউ মুসলিম থাকতে পারে না।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে অবশ্যই তারা বলবে, আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেলা-তামাশা করছিলাম। বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ কর না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করেছ’ (সূরা আত-তওবাহ : ৬৫-৬৬)।

তবে কেউ কোন ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করলে হয়তো সে ফাসিক হিসাবে গণ্য হবে (সূরা আল-হুজুরাত : ১১)।

যেমন কুরআন ও হাফেয, দাড়ি এবং দাড়িওয়ালা ব্যক্তি। কুরআন বা দাড়িকে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে, আর ব্যক্তি হাফেয বা দাড়িওয়ালাকে নিয়ে কটুক্তি করলে সে ফাসেক হবে (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২৮তম খণ্ড, পৃ. ৩৬৫-৩৬৬)।

 

সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button