শিরক ও বিদ’আত

প্রশ্ন : একজন ব্যক্তি কোন পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতী হ’লে তাকে সালাম দেয়া জায়েয হবে না?

উত্তর : বিদ‘আত যদি এমন বিদ‘আত হয় যা মানুষকে দ্বীন থেকে বের করে দেয়, তাহ’লে তাকে সালাম দেওয়া যাবে না। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, জমহূর বিদ্বানগণের মতে, বিদ‘আতী ও ফাসেক তথা পাপাচারীদের সালাম দেওয়া যাবে না।

ইমাম নববী বলেন, বিদ‘আতী যারা বড় পাপের সাথে জড়িত তাদের সালাম দেওয়া ও উত্তর প্রদান করা যাবে না। তবে এতে ফিৎনা তথা দুনিয়াবী বিপদাপদের আশংকা থাকলে সালাম দিবে (ফাৎহুল বারী ১১/৪১)

ইবনুল ‘আরাবী বলেন, এই সকল লোককে সালাম দেওয়ার সময় নিয়ত করবে যে, ‘সালাম’
আল্লাহর অন্যতম ছিফাত। এ সময় তার অর্থ হবে আল্লাহ রাক্বীব তথা আল্লাহ রক্ষাকারী। মুহাল্লাব বলেন, বিদ‘আতীদের সালাম প্রদান না করা সালাফদের সুন্নাত (ফাৎহুল বারী ১১/৪০)। ছাহাবী কা‘ব বিন মালেক অলসতা বশতঃ যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করায় রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম তার সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন (বুখারী হা/৪৪১৮; মুসলিম হা/২৭৬৯)

তবে সাধারণভাবে তাদের হেদায়াতের উদ্দেশ্যে সালাম প্রদান করা যায়। যেমন আবু উমামা (রাঃ) মুসলিম, ইহূদী-নাছারা সবাইকে সালাম প্রদান করতেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৬২৬৫-৬৮; ফাৎহুল বারী ১১/৪১)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button