শিরক ও বিদ’আত

প্রশ্ন : চিকিৎসা হিসাবে তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? যদি এটা শিরক হয়, তবে অন্যান্য চিকিৎসা গ্রহণ করাও কি শিরক হবে?

উত্তর : তাবীয কোন ঔষধ নয়। বরং তা রোগমুক্তির জন্য গৃহীত অসীলা মাত্র। মানুষ যখন তাবীয নেয়, তখন সে তার উপরেই ভরসা করে। ফলে এই বিশ্বাসটি শিরকে পরিণত হয়।

অতএব আক্বীদাগত কারণে তাবীয ব্যবহার করা শিরক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে
ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; ছহীহাহ হা/৪৯২)

অন্যদিকে ঔষধ বা প্রতিষেধক সরাসরি রোগের চিকিৎসা। যা আল্লাহ্র হুকুমে
কার্যকর হয়। সুতরাং এগুলি তাবীয বা পীরের কবরে মানত ইত্যাদির ন্যায় কোন
শিরকী অসীলা নয়। অতএব ঔষধ ব্যবহারে কোন বাধা নেই। একদা ছাহাবীগণ রোগের জন্য
ঔষধ সেবন করতে চাইলে তিনি অনুমতি দিয়ে বলেন, তোমরা ঔষধ সেবন কর, নিশ্চয়
মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৫৩২)। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক রোগের ঔষধ রয়েছে। যখন সেটা পৌঁছে যায়, তখন সে রোগমুক্ত হয় আল্লাহ্র হুকুমে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১৫)। অতএব আল্লাহ্র উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল সহ ঔষধ সেবন করবে। এর বেশী কিছু নয়।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button