শিরক ও বিদ’আত

ভিত্তিহীন, বিদ‘আত এবং নিন্দনীয় কথা

প্রশ্ন: ব্রিটেন থেকে ইসলামি জামাত প্রশ্ন করেছে যে, কেউ কেউ দো‘আ কুনুতে বলে থাকেন: بين سقفنا وكهيعص تكفينا     (বাইনা সাকফিনা ও কাফ-হা-ইয়া-আইন সদ তাকফীনা) এর হুকুম কি? যারা তা বলে তাদের পিছনে কি স্বলাত হবে?


উত্তর: এ আমলটি নিন্দনীয় এবং বিদ‘আত, ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। সে যদি এ বিদ‘আত ছেড়ে দিয়ে তাওবা না করে তাহলে দায়িত্বশীলদের উচিৎ হলো; তাকে ইমামতি থেকে বাদ দিয়ে ভালো একজন ইমাম নিয়োগ করা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡض ۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ﴾ [التوبة: ٧١]“মুমিন নর-নারী একজন অপরজনের বন্ধু, তারা সৎকর্মের নির্দেশ দেয় এবং অস কর্মের নিষেধ করে।” [সূরা তাওবা/৭১]রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
«مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ»
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় হতে দেখবে সে যেন তা হাত দ্বারা প্রতিহত করে, তা করা সম্ভব না হলে মুখ দ্বারা নিষেধ করবে, অতঃপর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তরে ঘৃনা করবে, আর এটিই সবচেয়ে দুর্বলতম ঈমান।”[34] 

বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব
সংকলক: শাইখ আবদুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button