শিরক ও বিদ’আত

প্রশ্নঃ তসবীহ গুনতে “তসবীহ-দানা” বা “তসবীহ-মালা” ব্যবহার করা বিদআত?

উত্তরঃ

আলহামদুলিল্লাহ্‌

“তসবীহ-দানা” ব্যবহারকে বিদআত বলা হয় না। যেহেতু তা ইবাদতের একটু আসীলা। আর ইবাদাতের আসীলাকে বিদআত বলা হয় না। তবে তা সুন্নাহ পরিপন্থী।

যেহেতু মহানবী (সঃ) ডান হাতের আঙ্গুল দ্বারা তসবীহ গুনেছেন। সুতরাং “তসবীহ-মালা” ব্যবহার না করাই উত্তম। এর আরও দুটি কারণ আছে।

একঃ এতে তাসবীহকারী উদাস হয়ে থাকে। যেহেতু গোনা মালাতো গাঁথাই আছে। তাই খেয়াল থাকে না গণনায় এবং খেয়াল থাকেনা তাসবীহতে।

দুইঃ এতে “রিয়া” বা লোকপ্রদর্শনের সম্ভবনা আছে অনেক। যেহেতু তাসবিহ-মালা দেখে লোকে তাঁর প্রশংসাই করবে। ১০৬( ইবা, ইউ)

অনেকে বলবেন, “ আঙ্গুল দ্বারা গণনার সংখ্যায় ভুল হতে পারে। মালা দ্বারা নির্ভুল গননা সম্ভব।” আমরা বলি, “গণনায় ভুল হলে সমস্যা কি? নিয়ত যখন ঠিক থাকে, তখন সওয়াবতো কমে যাবে না। বিশেষ করে আঙ্গুল যখন কিয়ামতে কথা বলে তসবীহকারীর জন্য সাক্ষ্য দেবে, ১০৭(আহমাদ ৬/৩৭১, আবূ দাঊদ ১৫০১, তিরমিযী ৩৫৮৩ নং)তখন তাতেই ফযীলত বেশী নয় কি?

সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button