সালাত / নামায

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদে আযানের পূর্বে মাইকে ‘আছ-ছালাতু আস-সালামু আলায়কা ইয়া রাসুলাল্লাহ’ ইত্যাদি পাঠ করে তারপর আযান দেওয়া হয়। ইমাম ছাহেবের বক্তব্য এগুলি পড়লে নেকী না পড়লে গুনাহ নেই। এক্ষণে এসব বলা যাবে কি?

উত্তর : বলা যাবে না। কারণ এগুলি বিদ‘আতী রেওয়াজ মাত্র। শরী‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই। শুধু ফজর নয়, কোন আযানের পূর্বেই দরূদ পাঠ, কুরআন পাঠ বা আহবানসূচক অন্য কিছু পাঠ করা বা বক্তব্য রাখা কিছুরই কোন ভিত্তি নেই। ইসলামের স্বর্ণযুগে এগুলির কোন রেওয়াজ ছিল না। (ইবনু তায়মিয়াহ, ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিইয়াহ, ৪০৭ পৃঃ; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/৪০)

ইবনু হাজার আসক্বালানী ও ইবনুল জাওযী (রহঃ)ও একে বিদ‘আত বলেছেন (ফাৎহুল বারী ২/৯২; তালবীসু ইবলীস ১/১২৩)

অনেকে আযানের দো‘আর সাথে অনেক কিছু যোগ করেন, যা ভিত্তিহীন। তাছাড়া উক্ত দো‘আ মাইকে পাঠ করা আরও অন্যায়’ (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃ. ৭৯)। উল্লেখ্য যে, ইমামের উক্ত কথাগুলি অত্যন্ত আপত্তিকর। এভাবেই মুসলিম সমাজে শিরক ও বিদ‘আতের প্রচলন হয়েছে। অতএব সাবধান!

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button