অন্যান্য

যারা কুরআন শেখে না, শিখে থাকলেও নিয়মিত তিলাওয়াত করে না, তিলাওয়াত করলেও মানে বুঝে (পড়ে) না, বুঝলেও যথাযথভাবে আমল করে না। এদের ব্যাপারে উপদেশ

প্রশ্ন: অনেক শিক্ষিত মুসলিম পরিবার আছে, যারা কুরআন শেখে না, শিখে থাকলেও নিয়মিত তিলাওয়াত করে না, তিলাওয়াত করলেও মানে বুঝে (পড়ে) না, বুঝলেও যথাযথভাবে আমল করে না।এদের আলমারি অথবা দেয়াল এর তাকে বড় যত্নের সাথে কুরআন রাখা থাকে। এদের ব্যাপারে উপদেশ কি?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য।

এই শ্রেণীর মুসলিমরা সেই লোকেদের মতো, যাঁদের বিরুদ্ধে কুরআন বর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
রাসুল বলে, “হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় তো এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।” (ফুরকানঃ৩০)
তাঁদের মধ্যে এমন লোকও থাকতে পারে, যাঁদের ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেছেন,
“যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হবে, অবশ্যই তাঁর হবে সংকীর্ণতাময় জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামতের দ্বীন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।” (ত্বা-হাঃ১২৪)
“সেদিন আমি জাহান্নামকে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত করব সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের নিকট। যাঁদের চক্ষু ছিল আমার স্মরণ (কুরআন) এর ব্যপারে অন্ধ এবং যারা শুনতে ও ছিল অপারগ।” (কাহফঃ ১০০-১০১)

এদের মধ্যে অনেকে দুনিয়াদার, এরা পত্র-পত্রিকা পড়ে, গল্প-উপন্যাস পড়ে, কিন্তু কুরআন পড়ার সময় পায় না। এই শ্রেণীর লোকেদের থেকে বিমুখ হতে নির্দেশ রয়েছে,
“অতঃএব তাকে উপেক্ষা করে চল, যে আমার স্মরনে বিমুখ এবং যে শুধুই পার্থিব জীবনই কামনা করে। তাঁদের জ্ঞ্যানের দৌড় এই পর্যন্ত। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকই ভাল জানেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত এবং তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথপ্রাপ্ত।” (নাজমঃ২৯-৩০)

অনেকে কুরআনকে কেবল তাবীয ও মৃতের আত্মার কল্যাণে ব্যবহার করে। অথচ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে জীবিত মানুষের আমল এর জন্য। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“ আমি এ কল্যাণময়য় গ্রন্থ তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তিগন গ্রহণ করে উপদেশ।” (স্বাদঃ ২৯)

“নিশ্চয় যারা আল্লাহ্‌র গ্রন্থ পাঠ করে, যথাযথভাবে নামায পড়ে, আমি তাঁদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যাতে কখনোই লোকসান হবে না। এ জন্য যে, আল্লাহ তাঁদেরকে তাঁদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাঁদেরকে আরেও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।” (ফাত্বিরঃ ২৯-৩০)

আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা তা কিয়ামত দিন তাঁর পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারীরূপে উপস্থিত হবে।” ৭১(মুসলিমঃ ৮০৪ নং)
“ যে ব্যাক্তি আল্লাহ্‌র কিতাব (কুরআন মজিদ)এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তাঁর একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী, দশটি নেকীর সমান হবে। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মিম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মিম একটি বর্ণ।” (অর্থাৎ তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মিম’, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।) ৭২ (তিরমিযী)

সূত্র: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Dihan Mirza

❝আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনাে সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ আমি নিজেকে ভুলের উর্ধে মনে করি না এবং আমিই হ্বক বাকি সবাই বাতিল তেমনটাও মনে করিনা। অতএব ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ☞আমাদের পূর্বের সালাফেরা যেসকল বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি করেছেন সেসকল বিষয়ে আমি তাদের অনুসরণকারী।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button