অন্যান্য

প্রশ্ন : অনেক সময় গণকদের কথা সত্য হয়। এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।

উত্তর : গণকের নিকট যাওয়া যাওয়া যাবে না। কারণ সে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বলে। গণকদের কিছু কথা কখনো সত্যের সাথে মিলে যেতে পারে। কিন্তু সেটি শয়তানের চুপিসারে শ্রুত কথা মাত্র।

রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ফেরেশতাগণ মেঘমালার উপরে অবতরণ করেন এবং আকাশে (আল্লাহর) নির্ধারিত বিধান আলোচনা করেন। তখন শয়তানেরা চুরি করে তা শোনার চেষ্টা করে এবং তার কিছু শুনেও ফেলে। এরপর তারা তা গণকের কাছে পৌঁছে দেয়। অতঃপর সেই শোনা কথার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে শত মিথ্যা মিলিয়ে (মানুষের কাছে) বলে’ (বুখারী হা/৩২১০; মিশকাত হা/৪৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৯৫৫)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা যখন আকাশে কোন ফায়ছালা করেন। অতঃপর তা নিয়ে ফেরেশতাগণের আলাপ করেন, তখন শয়তান চুরি করে তার কিছু কিছু শ্রবণ করে এবং প্রথমজন তার নীচের জনকে এবং সে তার নীচের জনকে জানিয়ে দেয়। এমনিভাবে এ খবর দুনিয়ার জাদুকর ও জ্যোতিষীদের কাছে পৌঁছে যায়। অতঃপর তারা তাতে শত মিথ্যা মিশিয়ে মানুষের কাছে বলে। এরপর লোকেরা বলাবলি করে যে, সে কি অমুক দিন অমুক অমুক কথা আমাদের বলেনি? অতঃপর আসমান থেকে শ্রুত কথাগুলি সত্য হয়ে যায় (বুখারী হা/৪৮০০; মিশকাত হা/৪৬০০)

কিন্তু এগুলোতে বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৩০; মিশকাত হা/৪৫৯৫)। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মদ-এর প্রতি যা অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার সাথে কুফরী করল’ (আবুদাঊদ হা/৩৯০৪; মিশকাত হা/৪৫৯৯)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button