অন্যান্য
প্রশ্ন : আমি দুইবার সন্তান এ্যাবোরশন করেছি। এখন আমি ভুল বুঝে তওবা করেছি। আল্লাহ কি আমার এ গোনাহ মাফ করবেন? এজন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে কি?
উত্তর : মায়ের জীবননাশের আশংকা বা শারঈ ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তান নষ্ট করা হারাম ও কবীরা গুনাহের কাজ। এক্ষণে সন্তানের বয়স ১২০ দিন হওয়ার পূর্বে যেহেতু প্রাণের সঞ্চার হয় না, সেহেতু ভ্রূণের বয়স ১২০ দিন হওয়ার পূর্বে গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকলে কোন দিয়াত বা কাফ্ফারা লাগবে না। তবে আল্লাহর নিকট খালেছ নিয়তে তওবা ও ইস্তিগফার করতে হবে। আর যদি সন্তানের বয়স ১২০ দিন অতিক্রম করার পর গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকে, তাহ’লে খালেছ তওবার সাথে সাথে দিয়াত বা রক্তপণ এবং
কাফফারা দিতে হবে। কারণ ১২০ দিন হ’লে ভ্রূণে প্রাণের সঞ্চার হয় এবং তা মানবসত্ত্বায় রূপ নেয়। এক্ষেত্রে রক্তপণ হ’ল গুর্রাহ বা ৫টি উট বা
সমমূল্যের অর্থ, যা তার উত্তরাধিকারীরা পাবে। তবে তারা যদি মাফ করে দেয়, তাহ’লে রক্তপণ লাগবে না। আর কাফ্ফারা হ’ল একজন দাস মুক্ত করা। এতে অক্ষম হ’লে ধারাবাহিকভাবে দু’মাস ছিয়াম পালন করতে হবে (বুখারী হা/৬৯১০; মুসলিম হা/১৬৮১; আল-মুগনী ৮/৩২৭; ফাতাওয়া লাজানা দায়েমাহ ২১/২৫৫, ৩১৬, ৪৩৪-৪৫০)।
কাফফারা দিতে হবে। কারণ ১২০ দিন হ’লে ভ্রূণে প্রাণের সঞ্চার হয় এবং তা মানবসত্ত্বায় রূপ নেয়। এক্ষেত্রে রক্তপণ হ’ল গুর্রাহ বা ৫টি উট বা
সমমূল্যের অর্থ, যা তার উত্তরাধিকারীরা পাবে। তবে তারা যদি মাফ করে দেয়, তাহ’লে রক্তপণ লাগবে না। আর কাফ্ফারা হ’ল একজন দাস মুক্ত করা। এতে অক্ষম হ’লে ধারাবাহিকভাবে দু’মাস ছিয়াম পালন করতে হবে (বুখারী হা/৬৯১০; মুসলিম হা/১৬৮১; আল-মুগনী ৮/৩২৭; ফাতাওয়া লাজানা দায়েমাহ ২১/২৫৫, ৩১৬, ৪৩৪-৪৫০)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।