অন্যান্য

প্রশ্ন : আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে কেবল এক জন এমএ পর্যন্ত পড়াশুনা করে ভালো বেতনে চাকুরী পেয়েছে। যে পড়াশুনা করতে আমাদের চেয়ে ভাইয়ের পিছনে ৬-৭ লক্ষ টাকা বেশী খরচ হয়েছে। এক্ষণে আমি আমার পিতা বা চাকুরীজীবী ভাইয়ের কাছে ইনছাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্থ চাইতে পারি কি? আর কি পরিমাণ দাবী করা ন্যায়সঙ্গত হবে?

উত্তর : উক্ত কারণে পিতা বা ভাইয়ের নিকট থেকে টাকা দাবী করার শারঈ কোন অধিকার নেই। কারণ
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এটা পূরণ করতে সন্তানদের মাঝে তারতম্য হওয়া স্বাভাবিক। তবে উক্ত চাকুরীজীবী ভাইয়ের উচিৎ হবে, অন্যান্য ভাই-বোনের প্রতি ইহসান করা।

উল্লেখ্য যে, কোন সন্তানের জন্য বাড়তি সম্পদ
প্রদানের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষ্যণীয়। এক- যদি পিতা সন্তানদের কোন সম্পদ হেবা বা দান করতে চান, তাহ’লে সকল সন্তানকে সমানভাবে দিতে হবে। আর মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক দিতে হবে। তবে কাউকে বেশী দিতে চাইলে অন্য শরীকদের সম্মতি থাকতে হবে, যাতে তাদের মাঝে পক্ষপাতিত্ব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি না হয়। দুই- বিষয়টি যদি সাধারণ ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে হয়, তাহ’লে কম-বেশীতে বাধা নেই। যেমন দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে মেডিকেল কলেজে পড়ে যার খরচ অনেক বেশী। অপরদিকে আরেক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যার খরচ অনেক কম।

অনুরূপভাবে কোন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী বা অভাবী সন্তানের জন্য অতিরিক্ত খরচ করা ইত্যাদি। এরূপ খরচের ক্ষেত্রে কমবেশী করাতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৫/৩৮৯, ৬/৫৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩৪/১০৫; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/৬৩)। উল্লেখ্য যে, ‘যদি তুমি দানের ক্ষেত্রে কাউকে প্রাধান্য দিতে চাও তাহ’লে মেয়েদের প্রাধান্য দিবে’- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৩৪০)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button