অন্যান্য

প্রশ্ন : গল্পচ্ছলে অনেক সময় অকারণ এমন কিছু মিথ্যা কথা বলে ফেলি বা অতিরঞ্জন করি, যাতে অন্যের কোন ক্ষতি হয় না বা তাতে কোন অসৎ উদ্দেশ্যও থাকে না। এরূপ মিথ্যা কথা বলায় কি গুনাহ হবে?

উত্তর: মিথ্যা বলা সর্বাবস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (তওবাহ ৯/১১৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির, যে মিথ্যা বলে লোকদেরকে হাসায়। দুর্ভোগ তার জন্য, দুর্ভোগ তার জন্য’ (আবুদাউদ হা/৪৯৯০; আহমাদ হা/২০০৩৫; ছহীহুত তারগীব হা/২৯৪৪)

তিনি আরো বলেন, মিথ্যা গুরুত্বের সাথে এবং ঠাট্টাচ্ছলেও সংগত নয়। আর তোমাদের কেউ তার সন্তানকে কিছু দেয়ার ওয়াদা করলে তাকে তা না দেওয়াটাও সংগত নয় (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৩৮৭; তাবারাণী কাবীর হা/৮৫২৩, সনদ ছহীহ)

রাসূল (ছাঃ) মিথ্যা পরিহারের ফযীলত সম্পর্কে বলেন, আমি জান্নাতের সমতলে এক গৃহের যিম্মাদার হব সেই ব্যক্তির জন্য, যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও তর্ক বর্জন করে। আর আমি জান্নাতের মধ্যখানে এক গৃহের যিম্মাদার হব তার জন্য, যে
উপহাসচ্ছলেও মিথ্যা পরিত্যাগ করে এবং আমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরের এক গৃহের যিম্মাদার হব তার জন্য, যার চরিত্র সুন্দর হয়’ (আবূদাউদ হা/৪৮০০; ছহীহাহ হা/২৭৩)

অতএব মিথ্যা সর্বাবস্থায় বর্জনীয় এবং গল্পচ্ছলেও মিথ্যা বলা যাবে না। বলে ফেললে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button