প্রশ্ন : কোন কোন আমল করলে আমার আববা বারযাখী জীবনে শান্তিতে থাকতে পারবেন এবং তার গুনাহগুলো আল্লাহ মাফ করে দিয়ে তাকে জান্নাতে দাখিল করাবেন?
তাঁর মাগফিরাতের জন্য দো‘আ করা।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ
করে, তখন তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত-
(১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ (যেমন মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ, অনাবাদী জমিকে আবাদকরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণ, দাতব্য চিকিৎসালয় ও হাসপাতাল স্থাপন, বই ক্রয় করে বা ছাপিয়ে বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি)।
(২) ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় (যা মানুষকে নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর পথ দেখায় এবং যাবতীয় শিরক ও বিদ‘আত হ’তে বিরত রাখে)।
(৩) সুসন্তান, যে তার জন্য দো‘আ করে’ (মৃতের জন্য সর্বোত্তম হাদিয়া হ’ল সুসন্তান, যে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, ছাদাক্বা করে, তার পক্ষ হ’তে হজ্জ করে ইত্যাদি) (মুসলিম হা/১৬৩১, মিশকাত হা/২০৩)।
অন্য বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মৃত্যুর পর কবরে থাকা অবস্থায় বান্দার সাতটি
আমল জারী থাকে।
(১) দ্বীনী ইলম শিক্ষা দান করা
(২) নদী-নালা প্রবাহিত করা
(৩) কূপ খনন করা
(৪) খেজুর তথা ফলবান বৃক্ষ রোপণ করা
(৫) মসজিদ নির্মাণ করা
(৬) কুরআন বিতরণ করা
(৭) এমন সন্তান রেখে যাওয়া, যে পিতার মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে’
(মুসনাদ বাযযার হা/৭২৮৯; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬০২)। এটি পূর্বোক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা স্বরূপ।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।