অন্যান্য

প্রশ্ন : পিতা-মাতা যদি ব্যাপক প্রহার করে ও গালি-গালাজ করে তাহ’লে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফৌজদারী আদালতে নালিশ করা যাবে কি? যাতে এধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

উত্তর : প্রথমত: পিতার জন্য সন্তানকে কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত শাসন বা মারপিট করা সমীচীন নয়। সন্তানকে শাসনের ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধান রয়েছে। প্রথমে তাদের বুঝাতে
হবে, এরপর শাস্তির ভয় দেখাতে হবে, তারপর ভৎর্সনা করতে হবে। এতেও সংশোধন না
হ’লে মৃদুভাবে ৩-১০ বেত্রাঘাত করা যেতে পারে। সর্বাবস্থায় উদ্দেশ্য থাকবে সন্তানকে সংশোধন করা (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৪৫/১৭০)

রাসূল (ছাঃ) বলেন যে, আল্লাহর নির্দিষ্ট হদসমূহের কোন হদ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে দশবার বেত্রাঘাতের অধিক কোন শাস্তি নেই’ (বুখারী হা/৬৪৫৬; মুসলিম হা/১৭০৮)

তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা চাবুক (লাঠি বা বেত) ঐ জায়গায় লটকিয়ে রাখবে, যেখানে
গৃহবাসীর দৃষ্টি পড়ে। কারণ এটা তাদের জন্য আদব তথা শিষ্টাচার শিক্ষাদানের মাধ্যম (ছহীহাহ হা/১৪৪৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০২১)

কতিপয় বিদ্বানের মতে, দশ বছরের নীচের শিশুদের লাঠি বা চাবুক দ্বারা শাসন করা যাবে না, কেননা হাদীছে দশ বছর হ’লেই কেবল ছালাতের জন্য প্রহারের কথা বলা হয়েছে, তৎপূর্বে নয় (মাওয়াহিবুল জালীল ১/৪১৩)

দ্বিতীয়ত: যদি পিতা-মাতার নির্যাতন সহ্যসীমা অতিক্রম করে, তবে আত্মরক্ষার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা যাবে এবং এর প্রতিকার চাওয়া যাবে (বাক্বারা ২/২৭৯)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button