অন্যান্য

প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, বুখারীতে জোরে আমীন বলার কোন হাদীছ নেই। বক্তব্যটি কতটুকু সঠিক?

উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘ইমাম ও মুক্তাদীর জোরে আমীন বলা’ শিরোনামে অধ্যায় রচনা করেছেন (বুখারী ৩/৩১৯)

‘ইমামের সশব্দে আমীন বলা’ অনুচ্ছেদে ইমাম বুখারী বলেন, আতা‘ (রহঃ) বলেন, আমীন হ’ল দো‘আ। তিনি আরো বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) ও তাঁর পিছনের মুছল্লীগণ এমনভাবে আমীন বলতেন যে, মসজিদে গুঞ্জরিত হ’ত। …নাফে‘
(রহঃ) বলেন, ইবনু ওমর (রাঃ) কখনই আমীন বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য) উৎসাহিত করতেন।… (বুখারী ৩/৩১৫)

অতঃপর ইমাম বুখারী উক্ত অনুচ্ছেদে একটি হাদীছ এনেছেন, যেখানে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ইমাম যখন আমীন বলেন, তখন তোমরাও আমীন বল। কেননা যার আমীন ও ফেরেশতাদের আমীন এক হয়ে যায়, তার পূর্বের গুনাহ্সমূহ মাফ করে দেওয়া হয় (বুখারী হা/৭৮০; মিশকাত হা/৮২৫)

ইমাম আমীন বললে মুক্তাদী আমীন বলবে’ বাক্যটি প্রমাণ করে ইমামের জোরে আমীন বলা শুনে মুক্তাদীগণ আমীন বলবে (হাশিয়াতুস সিন্ধী ‘আলা ছহীহিল বুখারী ১/১৩৫)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button