অন্যান্য

প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি বলেন, আমরা বর্তমান উম্মাহর কেউ আল্লাহর হেদায়াত পাব না। কারণ আল্লাহ শুধুমাত্র ছাহাবীগণকে হেদায়াত দান করেছিলেন। এর পর থেকে যারা এসেছেন তাদের আল্লাহ কেবল দয়া দিয়েছেন, হেদায়াত নয়। এক্ষণে দয়া আর হেদায়াত কি ভিন্ন বস্ত্ত?

উত্তর : বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। কারণ হেদায়াত কোন সময় বা নির্দিষ্ট একদল মানুষের সাথে
সংশ্লিষ্ট নয়। সূরা ফাতিহায় হেদায়াত প্রার্থনা করা হয়েছে, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য (ফাতিহা ১/৫)। সূরা বাক্বারার শুরুতে কুরআনকে আল্লাহভীরুদের জন্য হেদায়াত বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২)

কুরআনে ত্রিশেরও অধিক স্থানে হেদায়াতের কথা বলা হয়েছে, যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। দ্বিতীয়তঃ শাব্দিকভাবে দু’টি শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হেদায়াত অর্থ- পথ প্রদর্শন, দিকনির্দেশনা ইত্যাদি।
আর দয়া অর্থ রহমত, অনুগ্রহ, করুণা ইত্যাদি। উভয়টিই আল্লাহ ছাহাবীগণসহ অন্যান্য সকলকে দান করেছেন।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button