অন্যান্য

প্রশ্ন : নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য কি? কুরআন ও হাদীছে এ পৃথকীকরণের পক্ষে কোন দলীল আছে কি?

উত্তর : নবী ও রাসূল দু’টি শব্দের অর্থই বার্তাবাহক। তারা সকলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর
বাণী প্রচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এক্ষণে উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় সূরা হজ্জের ৫২ আয়াতে। তবে সে পার্থক্যের স্বরূপ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

ফার্রা বলেন, ‘রাসূল’ তিনি, যার নিকটে
প্রকাশ্যভাবে জিব্রীলকে পাঠিয়ে আল্লাহ রিসালাত প্রদান করেছেন। পক্ষান্তরে ‘নবী’ তিনি, যার নিকটে আল্লাহ কোন খবর পাঠিয়েছেন ইলহাম অথবা স্বপ্নের মাধ্যমে (যেমন ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন)।

অতএব প্রত্যেক রাসূলই নবী, কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। মাহদাভী (المهدوى) বলেন, এটাই সঠিক।
কাযী ইয়ায বলেন, বিদ্বানগণের বিরাট অংশ এ মতকেই সঠিক বলেন যে, প্রত্যেক রাসূলই নবী। কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। তিনি আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ থেকে দলীল নিয়েছেন যে, ১ লাখ ২৪ হাযার পয়গাম্বরের মধ্যে ৩১৫ জনের বিরাট সংখ্যা ছিলেন ‘রাসূল’ (তাফসীর কুরতুবী; আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৮; ছহীহাহ হা/২৬৬৮)

সম্ভবতঃ এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে কুরআনে ‘শেষনবী’ বলা হয়েছে (আহযাব ৩৩/৪০), শেষ রাসূল নয়। হাদীছেও তিনি বলেছেন, আমি শেষনবী, আমার পরে কোন নবী নেই’ (আবুদাঊদ হা/৪২৫২; মিশকাত হা/৫৪০৬)। কেননা নবী ব্যতীত কেউ রাসূল হ’তে পারেন না।

সূরা মারিয়াম ৫৪ আয়াতে ইসমাঈলকে ‘রাসূল’ ও ‘নবী’ একত্রে বলা হয়েছে। এতে বুঝা যায় যে, তিনি হাদীছে বর্ণিত ৩১৫ জন রাসূলের (ছহীহাহ হা/২৬৬৮) অন্যতম ছিলেন। যদিও আমরা কেবল মূসা, দাঊদ, ঈসা ও মুহাম্মাদ চারজন কিতাবধারী রাসূলের নাম জানি।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button