অন্যান্য

প্রশ্ন : কিছু কিছু কাজ আছে, যা করলে নাকি আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে। এটি কিভাবে সম্ভব এবং কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

উত্তর : কেবল সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ)-এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশে কম্পন সৃষ্টি হয় বলে ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল (বুখারী হা/৩৮০৩; মুসলিম হা/২৪৬৪; মিশকাত হা/৬১৯৭)

তিনি আরো বলেন, সা‘দ বিন মু‘আযের জানাযায় ৭০ হাযার ফেরেশতা অংশগ্রহণ করেন (মুসনাদে বাযযার, ছহীহাহ হা/৩৩৪৫) এবং ফেরেশতাগণ তাঁর লাশ বহন করেন (তিরমিযী হা/৩৮৪৯; মিশকাত হা/৬২২৮; ছহীহাহ হা/৩৩৪৭)

এক্ষণে আরশের কম্পন সম্পর্কে বলা যায়-

প্রথমতঃ এটা গায়েবের বিষয়। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় যুক্তি না খুঁজে এবং কোন প্রকার তাবীলের আশ্রয় না নিয়ে এর প্রতি বিশ্বাস আনাই মূমিনের কর্তব্য।

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ রববুল ‘আলামীন স্বয়ং আরশের স্রষ্টা। তিনিই তাঁর পরিচালক। তিনি যদি চান আরশে কম্পন সৃষ্টি করতে বা সা‘দের ভালোবাসায় তার মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করতে, সেটা তাঁর ইচ্ছা মাত্র। যেভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর ভালোবাসায় ওহোদ পাহাড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১/২৯৭)

উল্লেখ্য, ইয়াতীম ক্রন্দন করলে (যঈফাহ হা/৫৮৫২), ফাসেকের প্রশংসা করা হ’লে (বায়হাক্বী-শো‘আব হা/৪৮৮৬; মিশকাত হা/৪৮৫৯), স্ত্রী তালাক দিলে (যঈফাহ হা/১৪৭) আল্লাহর আরশ প্রকম্পিত হয় মর্মে বর্ণনাগুলির সবই জাল ও যঈফ।

এছাড়া কারো প্রতি যুলুম করা হ’লে, পিতা-মাতার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালে আল্লাহর আরশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় মর্মে বর্ণিত কথাগুলি ভিত্তিহীন।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button