অন্যান্য

প্রশ্ন : ‘তাওহীদ’ নামে আমাদের এখানে একটি দল কুরআন পড়িয়ে, ইমামতি করে, সরকারী চাকুরী করে বেতন নেওয়া হারাম বলে। একথার কোন সত্যতা আছে কি?

উত্তর : উক্ত দলের বক্তব্য ভিত্তিহীন। ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক রূযীর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রুযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (আবূদাঊদ হা/৩৫৮৮; মিশকত হা/৩৭৪৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০২৩)

তবে পারিশ্রমিক নিয়ে বাক-বিতন্ডা করা, মনকষাকষি করা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা এরূপ দায়িত্বশীলদের জন্য আবশ্যক। আর সরকারী হৌক বা বেসরকারী হৌক বৈধ কর্মের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণে কোন বাধা নেই। যেন সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা, অফিস ম্যানেজমেন্ট সহ বৈধ সকল কাজ। সরকার যদি অন্যায় কোন উৎস থেকে পারিশ্রমিক দেয়, সেজন্য সরকার দায়ী হবে। পক্ষান্তরে ব্যাংক, বীমা এনজিও সহ শরী‘আতবিরোধী কারবারই যেসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, সেখানে চাকুরী করা জায়েয হবে না। চাই তা সরকারী হৌক বা বেসরকারী হৌক।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

Mahmud Ibn Shahid Ullah

"যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল। ❛❛যখন দেখবেন বাত্বিল আপনার উপর সন্তুষ্ট, তখন বুঝে নিবেন আপনি ক্রমের হক্ব থেকে বক্রপথে ধবিত হচ্ছেন।❞
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button