অন্যান্য

প্রশ্ন : শরী‘আত সম্পর্কে জ্ঞানহীন অনেক সাধারণ মানুষকে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে ফৎওয়ার ক্ষেত্রে নিজ সিদ্ধান্ত পেশ করতে দেখা যায়। এক্ষণে সাধারণ মানুষের জন্য ফৎওয়া দেওয়ার আদব কি?

উত্তর : সাধারণ মানুষ হৌক বা আলেম হৌক, প্রত্যেকের জন্যই বিশুদ্ধ দলীল ভিত্তিক সঠিক উত্তর না জেনে ফৎওয়া দেয়া নিষিদ্ধ (ইসরা ১৭/৩৬)। কারণ দলীলবিহীন ভুল ফৎওয়া দিলে তার পাপ তার উপরেই বর্তাবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৪২)

তাই সাধারণ মানুষের জন্য কর্তব্য হবে, সম্ভব হ’লে দলীল জেনে ফৎওয়া দেওয়া অথবা বিশুদ্ধ ফৎওয়া দেওয়ার ব্যাপারে প্রসিদ্ধ কোন নির্ভরযোগ্য আলেমের ফৎওয়া পেশ করা।

স্মর্তব্য যে, ছাহাবীগণ একটি বিষয়ে একাধিক ছাহাবীর কাছে জানতেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১৫) এবং পরস্পরের নিকট দলীলও চাইতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৫৫৪)। আর অজানা বা সামান্য জানা বিষয়ে চুপ থাকতে হবে, এতেই মুক্তি নিহিত (তিরমিযী হা/২৫০১)

ইমাম মালেক (রহঃ) দুই-তৃতীয়াংশ ফৎওয়ার ক্ষেত্রে না জানার ওযর পেশ করেছেন। তিনি বলতেন, ‘আলেমের রক্ষাকবচ হ’ল ‘আমি জানি না বলা’। যদি সে এ রক্ষাকবচ ব্যবহারে গাফেল হয়, তাহ’লে সে ধ্বংসে নিক্ষিপ্ত হবে’ (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৭/১৬৭)

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button