অন্যান্য

প্রশ্ন : পিতা-মাতা চান আমি ডাক্তার হই। আমি চাই ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশুনা করতে। যাতে আমার অন্তরজগৎ আলোকিত হয় এবং আমি বেশী বেশী ইবাদত করতে পারি। ডাক্তার হতে গেলে আমাকে বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে এত বেশী সময় ব্যয় করতে হবে যে, আমি আবশ্যিক ইবাদতগুলিই ঠিকমত করতে পারব না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?

উত্তর : সন্তানকে মানবতার সেবাদানের লক্ষ্যে গড়ে তোলার ব্রতে পিতা-মাতা যদি এরূপ কামনা করেন, তবে তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং আল্লাহর নিকটে তাওফীক কামনা করতে হবে। কারণ উক্ত পেশার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়। যা অত্যন্ত নেকীর কাজ। আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি একজন মানুষকে বাঁচালো, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচালো (মায়েদাহ ৫/৩২)

নববী যুগে যুদ্ধের ময়দানে নারীরা সৈনিকদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। যেমন ওহোদ যুদ্ধ শেষে হযরত আয়েশা, উম্মে সুলায়েম, উম্মে সুলাইত্ব, হামনাহ বিনতে জাহশ প্রমুখ প্রখ্যাত নারীরা পিঠে পানির মশক বহন করে এনে আহত সৈনিকদের পানি পান করান ও চিকিৎসা সেবা দান করেন (বুখারী, হা/৪০৬৪, ২৮৮১; ত্বাবারাণী, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৫৪২৪, সনদ হাসান; সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩৬১ পৃঃ)

স্মর্তব্য যে, শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্য হ’ল স্রষ্টাকে জানা এবং তাঁর প্রেরিত বিধানসমূহ অবগত হওয়া। প্রকৃত শিক্ষা হ’ল সেটাই যা খালেক্ব-এর জ্ঞান দান করার সাথে সাথে ‘আলাক্ব-এর চাহিদা পূরণ করে। অর্থাৎ নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাই হ’ল পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা (তাফসীরুল কুরআন, সূরা  আলাকের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। তাই চিকিৎসা বিদ্যা যদি আল্লাহর পথে ব্যয়িত হয়, তবে সেটি জান্নাত লাভের অসীলা হবে ইনশাআল্লাহ।

সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button