প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ) কর্তৃক মন্ত্রীত্ব চেয়ে নেওয়ার দ্বারা বর্তমান যুগের গণতান্ত্রিক রাজনীতির যথার্থতা প্রমাণিত হয় কি?
উত্তর : প্রথমতঃ ইউসুফ (আঃ)-এর মাধ্যমে দেশের নেতার কাছে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরে তা
সুযোগ প্রার্থনা করেছিলেন মাত্র। যেমনটি এ যুগেও যেকোন কর্মের ক্ষেত্রে
পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরা হয়। ইবনু কাছীর বলেন, এর মধ্যে
নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার দলীল রয়েছে ঐ ব্যক্তির জন্য, যিনি কোন বিষয়ে নিজেকে
আমানতদার ও যোগ্য বলে নিশ্চিতভাবে মনে করেন’ (আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ১/১৯৬)।
কুরতুবী বলেন, মিসরে ঐ সময় ইউসুফের চাইতে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় যোগ্য ও
আমানতদার কেউ ছিল না বিধায় ইউসুফ উক্ত দায়িত্ব চেয়ে নিয়েছিলেন’ (কুরতুবী, ইউসুফ ৫৫ আয়াতের তাফসীর)।
দ্বিতীয়তঃ
উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য কেবল শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আনীত শরী‘আতই
অনুসরণীয়। পূর্ববর্তী উম্মতগণের জন্য প্রবর্তিত কোন বিধান অনুসরণীয় নয় (মায়েদাহ ৫/৪৮; মুসলিম হা/১৫৩, মিশকাত হা/১০)।
আর শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) নেতৃত্ব চেয়ে নিতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮০, ৩৬৮৩)।
তৃতীয়তঃ
গণতন্ত্রে কেবল নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়া হয় না বরং এখানে মানুষের মনগড়া আইন
রচনার ও মানুষের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ভোট চাওয়া হয়। ইউসুফ (আঃ)
দায়িত্ব চেয়ে নিয়ে নিজের মনগড়া আইন চালু করতে চাননি। বরং নবী হিসাবে তিনি
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মিশরের ভঙ্গুর অর্থব্যবস্থা সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে
চেয়েছিলেন। সুতরাং এর সাথে প্রচলিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের তুলনা করার কোন
সুযোগ নেই (নবীদের কাহিনী ১/২০৭ পৃঃ)।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।