অন্যান্য

পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মানত করা

প্রশ্ন: আমার একটি বোন মাদরাসায় পড়ালেখা করে; সে মানত করেছে যে, সে যাতে অবশ্যই ইতিহাস বিষয়ে অকৃতকার্য হয়; সে বলেছে: আমার মানত হল, আমি কখনও পরীক্ষায় কৃতকার্য হব না; আমার মানত হল, অবশ্যই আমি অকৃতকার্য হব। কিন্তু সে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে। সুতরাং এই মানতের বিধান কী হবে? তার উপর কি এই মানত পূরণ করা ওয়াজিব হবে?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্‌।

আমরা বারবার আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে উপদেশ পেশ করেছি যে, তারা যেন মানত না করে; কেননা মানত করার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, যেমনটি রাসূল (ﷺ) বলেছেন: « لا يأتي بخير » ( তা কল্যাণ আনতে পারে না ); আর মানুষ এর মাধ্যমে তার নিজের জন্য এমন কিছুকে আবশ্যক করে নেয়, যা থেকে সে মুক্ত।

আর এই ছাত্রীটি, যে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মানত করেছে, সম্ভবত সে এই মানত করেছে তার এই ধারণা থেকে যে, নিশ্চয়ই সে অকৃতকার্য হবে; অতঃপর বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হল তার ধারণার বিপরীত; আর এটার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, তার উপর কোন কিছুই আবশ্যক হয় নি; কারণ, এমন প্রত্যেক ব্যক্তি, যে ভবিষ্যৎ কোন কিছুর ব্যাপারে শপথ করে এমন প্রত্যয়ের ভিত্তিতে যে, তা অচিরেই হবে; অথচ বাস্তবে প্রকাশ পেয়েছে তার উল্টো; এ অবস্থায় তার উপর কোনো কিছুই আবশ্যক হবে না।

তবে সে যদি এমন কোনো কাজের বিষয়ে শপথ করে, যা সে করতে চায়, সে ইচ্ছা করলে তা করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে সে তা বর্জনও করতে পারবে; কিন্তু যদি সে তা না করে, তবে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব (আবশ্যক) হবে। আর আল্লাহই হলেন তাওফীক দানকারী।

সুত্রঃ শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; ফতোয়ায়ে মানারুল ইসলাম (فتاوى منار الإسلام ): ৩ / ৬৭৪

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button