অন্যান্য

পিতা-মাতা কর্তৃক তাদের সন্তানের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা

প্রশ্ন: আমি পনের বছরের যুবক, কিন্তু আমি একটা সমস্যার শিকার, তা হচ্ছে আমার পিতা ও মাতা যখন স্বচক্ষে আমাকে দেখতে আসে এমন অবস্থায় যে আমি তখন অধ্যয়নরত ছিলাম না, ফলে তারা আমাকে বলে: নিশ্চয়ই তুমি পড়ালেখা কর না, অথচ আমি পড়ালেখা করি; আর তারা উভয়ে আমাকে খারাপ মনে করে, অথচ আমি তার কারণ জানি না এবং আমার পক্ষ থেকে কোন বিষয়টি তারা শুনলে বিশ্বাস করবে, তাও বুঝতে পারছি না; সুতরাং আমি কী করব?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্‌।

এই সমস্যার সমাধান তো খুব সহজ ইনশাআল্লাহ; আর তা হল, তুমি এটা প্রমাণ করবে তোমার পিতাকে মাদরাসায় (বিদ্যালয়ে) নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, যাতে তিনি স্বয়ং নিজেই সরেজমিনে বিষয়টি জেনে আসতে পারেন; অথবা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে এমন প্রমাণপত্র দাবি করবে, যা প্রমাণ করবে যে, তুমি ছাত্র এবং ঐ শ্রেণীর ছাত্র, যাতে তুমি পড়ালেখা কর; আর তাতে মাদরাসার প্রধান স্বাক্ষর করে দেবেন এবং প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর লাগিয়ে দেবেন।

আর পিতা-মাতার জন্যও উচিত কাজ হবে না যে, তাদের নিকট যা কিছু বলা হবে, তাই বিশ্বাস করবে; বরং তাদের উচিত হল প্রতিটি বিষয়কে তার জায়াগায় স্থান করে দেয়া; সুতরাং তোমার ব্যাপারে যা বলা হবে, তুমি যখন সেই অভিযোগে অভিযুক্ত নও, তখন তোমার ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে খারাপ ধারণা পোষণ করা উচিত নয়; কারণ, খারাপ ধারণার জন্যও একটা যুক্তিযুক্ত পাত্র আছে; অথচ তুমি যখন অসুস্থ অবস্থায় ছিলে, তখন তাদের জন্য তোমার ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়; আর আমরা আল্লাহর নিকট তোমার জন্য অটল মনোবল ও দৃঢ়চিত্তের আবেদন করি এবং তোমার পিতা-মাতার জন্য প্রার্থনা করি হেদায়াত ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির। আর আল্লাহই হলেন তাওফীক দানকারী।  

সুত্রঃ শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; ফতোয়ায়ে মানারুল ইসলাম (فتاوى منار الإسلام ): ৩ / ৭২৬

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button