অন্যান্য

পরীক্ষায় অকৃতকার্যতায় ধৈর্যধারণ করা

প্রশ্ন: আমি সতের বছর বয়সের যুবক, আমার নিকট গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করাটা খুবই কষ্টকর, এমনকি গত বছর আমি এই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছি, জানা থাকা দরকার যে, আমি বাকি বিষয়সমূহ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে খুবই ভাল; আমি আশা করি আপনি এর উপর আলোকপাত করবেন, তবে জেনে রাখা দরকার যে, কোনো কোনো যুবক এই কারণে তার পড়ালেখা ছেড়ে দেয়?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্‌।

এই গণিত বিষয়টির ব্যাপারে (কর্তৃপক্ষের) বিশেষ নজর দেয়া উচিত; এই বিষয়টি কি ছাত্রদের মানের উপর ভিত্তি করে প্রণীত হয়েছে, নাকি ছাত্রদের মানের চেয়ে আরও উন্নত স্তরের উপর ভিত্তি করে প্রণীত হয়েছে; আর এই ক্ষেত্রে সকল ছাত্রের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে; আর সিলেবাস প্রণয়নের ক্ষেত্রে সাধারণত অন্যান্য ছাত্রের চেয়ে নিম্নমানের বা কম সংখ্যক ছাত্রের মানের দিকে লক্ষ্য করা হয় না, বরং লক্ষ্য করা হয় অধিকাংশ ছাত্রের মানের দিকে; সুতরাং অধিকাংশ ছাত্র যখন তা আত্মস্থ করতে সক্ষম হয় এবং তাতে ভাল করে, তখন তাকে সকল ছাত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর পাঠ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়; তবে অধিকাংশ ছাত্র যখন তাতে ভাল করতে পারে না এবং তা হজম করতে সক্ষম হয় না, তখন কর্তৃপক্ষের জন্য উচিত হবে তার প্রতি দৃষ্টি দেয়া।

আর তোমার ব্যাপারে কথা হল, তুমি তো শুধু এই বছরে তাতে অকৃতকার্য হয়েছে; সুতরাং এক বছরের জন্য এই ধরনের একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে বিষয়টি জটিল বলে গণ্য করা যায় না; আর তোমার জন্য যা করা উচিত, তা হল: তুমি বিষয়টিকে জটিল মনে করবে না এবং তুমি তোমার চারপাশে যার অবস্থান করে, তাদের মধ্য থেকে যারা দুই বিষয় বা তার অধিক সংখ্যক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, অথবা যারা দুই বছর বা তার অধিক সময় ধরে অকৃতকার্য হচ্ছে, তাদের প্রতি দৃষ্টি দেবে, শেষ পর্যন্ত তোমার নিকট ব্যাপারটি সহজ মনে হবে; কারণ নবী (ﷺ) এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন, তিনি বলেছেন:

« انْظُرُوا إِلَى مَنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَلاَ تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ ». (أخرجه مسلم ) .

“তোমরা তোমাদের চেয়ে নীচু মানের লোকজনের প্রতি লক্ষ্য কর; আর তোমাদের চেয়ে উঁচু মানের লোকজনের প্রতি লক্ষ্য কর; কারণ, তোমাদের উপর আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতকে তুচ্ছ মনে করার চেয়ে এটাই হল যথাযথ পদক্ষেপ।” – (মুসলিম, হাদিস নং- ৭৬১৯)।

সুত্রঃ শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; ফতোয়ায়ে মানারুল ইসলাম (فتاوى منار الإسلام ): ৩ / ৬৯৭ (ঈষৎ পরিবর্তিত)

➥ লিংকটি কপি অথবা প্রিন্ট করে শেয়ার করুন:
পুরোটা দেখুন

মোঃ মামুনূর রশিদ (বকুল)

❝ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল।❞ যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলিম, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" আমি একজন তালিবুল ইলম। আমি নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করি না এবং আমিই হক্ব বাকি সবাই বাতিল এমনও ভাবিনা। অতএব, আমার দ্বারা ভুলত্রুটি হলে নাসীহা প্রদানের জন্যে অনুরোধ রইল।
এছাড়াও পড়ে দেখুন
Close
Back to top button