দেশের বাইরে প্রেরিত ছাত্র কর্তৃক স্বলাতসমূহ একত্র করে আদায় করা
প্রশ্ন: কোনো কোনো সময় আমি আসরের স্বলাতকে মাগরিবের স্বলাতের সাথে আদায় করি এবং অধিকাংশ সময়ে এই রকম হয়; আর এর কারণ হল আমি পররাষ্ট্র মিশনে বৃটেনে অধ্যয়ন করি এবং আমি এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করি, যাতে অযু করার মত জায়গা নেই, আর স্বলাত আদায় করার জায়গাও নেই; সুতরাং আমার জন্য আসরের স্বলাতকে মাগরিবের স্বলাতের সাথে আদায় করা জায়েয (বৈধ) হবে কি? অথবা আমার জন্য আসরের স্বলাতকে তার নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা বিলম্ব করে আদায় করা জায়েয (বৈধ) হবে কি?
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
অবিরাম বৃষ্টি, লাগাতার ভ্রমণ, প্রচণ্ড অসুস্থতা ইত্যাদির মত ওযরের কারণে দুই স্বলাত একত্রিত করে আদায় করা বৈধ; আর বিনা ওযরে দুই স্বলাত একত্রিত করে আদায় করা বৈধ নয়; তাছাড়া (ওযরের কারণে) শুধু যোহর ও আসরের স্বলাতকে তাদের উভয় ওয়াক্তের যে কোন একটি ওয়াক্তের মধ্যে এগিয়ে বা পিছিয়ে এক সাথে আদায় করবে; আর অনুরূপভাবে মাগরিব ও এশার স্বলাতকে তাদের উভয় ওয়াক্তের যে কোন একটি ওয়াক্তের মধ্যে এক সাথে আদায় করবে। আর কোন প্রকার ওযর ছাড়া স্বলাতকে তার নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বিত করে আদায় করা বৈধ নয়। সুতরাং আসরের স্বলাতকে দ্রুততার সাথে আদায় করাটাই বাঞ্চনীয়; কারণ, হাদিসের মধ্যে বর্ণিত আছে: নিশ্চয়ই যে ব্যক্তির আসরের স্বলাত ছুটে গেল, সে যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ হারাল। আর প্রশ্নকারী যখন উল্লেখ করেছে তার কর্মক্ষেত্রে অযু ও স্বলাত আদায় করার মত কোন জায়গা পাওয়া যায় না, তখন তার উপর আবশ্যক হল যখনই সে অবসর হবে এবং ওযর বা সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে যাবে, তখনই স্বলাত আদায় করে নেয়া এবং তার কর্তব্য হল দ্রুততার সাথে আসরের স্বলাতকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই আদায় করে নেয়া; আর এর পূর্বে যখনই সম্ভব হবে, তখনই তা দ্রুত আদায় করে নেয়া। আর আল্লাহই হলেন তাওফীক দাতা।
সূত্রঃ শাইখ ইবনু জিবরীন; ফতোয়ায়ে ইসলামীয়া (فتاوى إسلامية): ১ / ৪০৬