লেখাপড়া ছেড়ে দেয়ার জন্য মানত করা
প্রশ্ন: জনৈক ছাত্রী মাদরাসার কোন একটি বিষয়ে অকৃকার্য হয়েছে, অতঃপর সে প্রচণ্ডভাবে রেগে গিয়ে বলল: আল্লাহর কসম! আমি যদি পুনরায় মাদরাসায় ফিরে যাই, তাহলে আমি দুই বছর সাওম (রোযা) পালন করব; অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে মাদরাসায় যাওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করল এবং তাকে উৎসাহ দিতে শুরু করল; অতঃপর সে ঐ বিষয়টি পরীক্ষা দেয়ার জন্য মাদরাসায় গেল; সুতরাং এই ব্যাপারে তার কাফফারা কি হবে?
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
এই প্রশ্নের উত্তরের দু’টি অংশ:
প্রথম অংশ: কোনো মানুষের জন্য দ্রুত রেগে যাওয়া উচিত নয়; আরও উচিত নয় এমন সব পরিশ্রম করাকে আবশ্যক করে নেয়া, যার শক্তি-সামর্থ্য তার নেই; কারণ, নবী (ﷺ) জনগণকে এমন কাজের আগ্রহ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন, যা তাকে উপকৃত করবে, আর সে আল্লাহ কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং অক্ষমতা প্রকাশ করবে না; সুতরাং সে যদি চেষ্টা-প্রচেষ্টায় আত্মনিয়োগ ও প্রতিপালকের নিকট সাহায্য কামনার পর কিছু অর্জন করে, অথবা উদ্দেশ্য হাসিল না হয়, তবে সে যেন বলে: এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার জন্য নির্ধারিত এবং তিনি যা চেয়েছেন, তাই করেছেন; আর এর মাধ্যমেই তার দুনিয়ার জীবন সুন্দর ও সুখময় হবে।
দ্বিতীয় অংশ: যখন তুমি মাদরাসায় ফিরে যাবে, তখন তোমার উপর আবশ্যক হল শপথের কাফফারা দিয়ে দেয়া, অর্থাৎ দশ জন মিসকীনকে খাবার খওয়াবে, আর তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর দু’টি পদ্ধতি হতে পারে: হয় তুমি খাবার তৈরি করবে এবং তাদেরকে দুপুর বা রাতের খাবারে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে, অথবা তুমি তাদের মাঝে মধ্যম মানের রান্নাবিহীন খাবার বণ্টন করে দেবে, যা সাধারণত লোকজন তাদের পরিবার-পরিজনকে খাওয়ায়; আর বর্তমানে তা হলো চাল এবং তার সাথে থাকবে গোশত বা অনুরূপ কোনো তরকারি। কারণ, এটা হল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম; আর প্রতি দশ জনের জন্য দুই সা‘ চালই যথেষ্ট, অর্থাৎ পাঁচ জনের জন্য এক সা‘; আর আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
সুত্র: শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; ফতোয়ায়ে মানারুল ইসলাম (فتاوى منار الإسلام ): ৩ / ৬৬১