ঋতুবর্তী ছাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক নামায ঘরে প্রবেশ করা
প্রশ্ন: মাদরাসার মধ্যে শুধু যোহরের স্বলাত আদায়ের জন্য একটি মুসাল্লা (নামায ঘর) তৈরি করা আছে, যোহরের স্বলাতের সময়ে মেয়েদেরকে ঐ ঘরে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়, অথচ তাদের কেউ কেউ মাসিক অভ্যাসের শিকার; সুতরাং ঐ মুসাল্লা বা নামায ঘরের জন্য কি মাসজিদের বিধান প্রযোজ্য হবে; অর্থাৎ তার জন্য কি তাকে বসা জায়েয (বৈধ) হবে? আর এই অবস্থায় তারা যখন শ্রেণীকক্ষে বসবে, তখন তারা হয়তো অনৈতিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবে, সুতরাং তাদেরকে এই মুসাল্লা বা নামায ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধ্য করা যাবে কি?
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
মাদরাসার (বিদ্যালয়ের) মধ্যকার মুসাল্লা (নামায ঘর) মাসজিদের বিধানের আওতায় আসবে না; বরং তা হল স্বলাতের জন্য একটি নির্ধারিত স্থান; আর এমন প্রত্যেক স্থান, যাতে স্বলাত আদায় করা হয়, তাকে এমন মাসজিদ বলে বিবেচনা করা যাবে না, যার জন্য প্রকৃত মাসজিদসমূহের বিধান প্রযোজ্য হবে; আর মাসজিদ বলা হয় ঐ ঘরকে, যা সার্বজনীনভাবে এবং কাঠামোগত ও পরিষ্কারভাবে শুধু স্বলাতের জন্য তৈরি করা হয়; আর কোন জায়গায় স্বলাত পড়া হয়, শুধু এই কারণে তাকে মাসজিদ বলে গণ্য করা যায় না; আর এর উপর ভিত্তি করে ঋতুবর্তী নারীর জন্য মাদরাসার (বিদ্যালয়ের) মধ্যকার মুসাল্লা বা নামায ঘরে প্রবেশ করা এবং তাতে অবস্থান করা বৈধ হবে।
সূত্রঃ শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন; শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য ফতোয়া (فتاوى للمدرسين و الطلاب ): পৃ. ২৪