তাবীয লেখকের জন্য রহমতের দো‘আ করা
প্রশ্ন: আমার এক শিক্ষক ছিলেন, যিনি আমাকে আল-কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমার মায়ের পিতার নানা, তারা উভয়ে মারা গেছেন; তারা তাবিযের জন্য আল-কুরআনের আয়াত লিখতেন, অতঃপর তা মানুষকে দিতেন; অতঃপর তারা আমাকে নিয়মিত কুরআন অধ্যয়নের নির্দেশ দেন এবং আমিও নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকি, এমনকি শেষ পর্যন্ত আমার রব (প্রতিপালক) আমাকে তাওহীদ তথা একত্ববাদের বুঝ দান করলেন; অতঃপর আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তারা উভয়ে কিছু অশুদ্ধ (ভুল) কাজ করেছেন; সুতরাং আমি কি তাদের জন্য দো‘আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারব (و السلام عليكم و رحمة الله و بركاته ) [আপনাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হউক]?
উত্তর: আলহামদু লিল্লাহ।
তাবীয হিসেবে ঝুলিয়ে রাখার জন্য আল-কুরআনের আয়াত লিখা বৈধ নয়; অনুরূপভাবে বিশুদ্ধ দলিলের ভিত্তিতে হেফাজত (সংরক্ষিত) রাখা, অথবা রোগ নিরাময়, অথবা বালা-মুসিবত দূর করার আশায় লিখিত কুরআনের আয়াত ঝুলিয়ে রাখাও বৈধ নয়; কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমার জন্য তোমার শিক্ষক ও নানার উদ্দেশ্যে রহমত ও মাগফিরাত (ক্ষমা) কামানা করে দো‘আ করা বৈধ, যদিও তারা তাদের জীবদ্দশায় এই কাজ করতেন; কেননা, তা শির্ক নয়, যদিও তা জায়েয (বৈধ) নয়; তবে যদি তুমি তাদের ব্যাপারে এ বিষয় ছাড়া এমন কোন বিষয় সম্পর্কে জান, যা তাদের কুফরীকে নিশ্চিত করে, যেমন: মৃত ব্যক্তিকে ডাকা বা তার নিকট প্রার্থনা করা, জিনের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা ইত্যাদি, যা বড় প্রকারের শির্কের অন্তর্ভুক্ত, তাহলে তুমি তাদের জন্য দো‘আ করবে না এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে না।
و صلى الله على نبينا محمد و آله و صحبه و سلم .
(আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর)।
সূত্রঃ স্থায়ী পরিষদ, শিক্ষা-গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক; স্থায়ী পরিষদের ফতোয়া (فتاوى اللجنة الدائمة): ১ / ২০৯, ফতোয়া নং- ৪১৮৪